জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী ২০২০-২১ সালে দেশব্যাপি উদযাপিত হচ্ছে। মুজিববর্ষ আয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে “উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (রউঊঅ)” থেকে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট” সংক্ষেপে “বিগ” আয়োজন। “বিগ” আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তা অর্থাৎ স্টার্টআপদের নতুন উদ্ভাবনী ধারণাকে উৎসাহিত করে দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এবং এই আয়োজনটিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি ফ্ল্যাগশীপ প্রোগ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ২০২০-২১ সালে ৩টি আয়োজন যথা বিশ^বিদ্যালয় ও স্টেকহোল্ডার অ্যাক্টিভেশন ক্যাম্পেইন, টিভি রিয়েলিটি শো এবং আন্তর্জাতিক রোড শো সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উল্লেখ্য, “বিগ” এর আন্তর্জাতিক রোড শো এর মাধ্যমে প্রাপ্ত স্টার্টআপদের মধ্য থেকে সেরা স্টার্টআপগুলো একটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিচারক প্যানেলের মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। আমেরিকা, কম্বোডিয়া, ভারত, দক্ষিন কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চায়না, হংকং, জাপান, ইটালি-সহ বিভিন্ন দেশকে এই “আন্তর্জাতিক রোড শো” এর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ আয়োজনগুলো থেকে নির্বাচিত সেরা ৩৬টি স্টার্টআপকে ১০ লক্ষ টাকা করে “গ্র্যান্ট” এর অর্থ প্রদান করার পাশাপাশি “বিগ” ফাইনাল রাউন্ডের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হবে। পরবর্তীতে, এই চূড়ান্ত পর্ব থেকে দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞ বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত সিলেকশন প্যানেলের মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে মুজিববর্ষের বৃহৎ আয়োজনের চূড়ান্ত ফলাফল। “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০ (বিগ)” এর পুরস্কার হিসেবে সেরা একটি স্টার্টআপকে দেওয়া হবে বিশেষ সম্মাননা এবং গ্র্যান্ট হিসেবে ১ লক্ষ ইউএস ডলার।
বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০ (বিগ) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং সংবাদ সম্মেলন ২৫ নভেম্বর ঢাকার আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটরিয়ামে যথাযথ সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হয়। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি “বিগ” এর শুভ উদ্বোধন করেন। উক্ত আয়োজনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) পার্থপ্রতিম দেব, আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক। এছাড়া করোনা পরিস্থিতির কারণে আইসিটি পরিবারের আরো অনেকে অনলাইনে সংযুক্ত হন।
সংবাদ সম্মেলন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি বলেন, “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট”- এই আইডিয়াটি নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছিল মুলত মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন যা আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ী একটি দৃষ্টান্ত। যদি আমাদের তরুণদেরকে আমরা উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত করতে চাই তবে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ এবং তার যে রাজনৈতিক দর্শন এবং তার যেই সংগ্রামের ইতিহাস, সেটা যদি প্রকৃতপক্ষে আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারি তাহলে কিন্তু তারা কখনোই জীবন সংগ্রামে পরাজিত হবে না। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই আমাদের এই উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবকদের-কে অনুপ্রাণিত করার জন্যই আমরা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।”
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ বিশেষ অতিথি হিসেবে বলেন, আমরা সকলেই বঙ্গবন্ধুর বিশালতার কথা জানি। এই “বিগ” এর মাধ্যমে আমরা বড় বড় কাজ করতে পারব এটা আমাদের প্রত্যাশা। তিনি তরুণদের উৎসাহিত করে বলেন যে তরুনরা চাইলেই তাদের উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে বড় প্রতিষ্ঠান গড়তে পারেন এবং হতে পারেন “বিগ”।
প্রাথমিকভাবে ২৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখ থেকে “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০” এ তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক আগ্রহী স্টার্টআপগণ www.big.gov.bd এই ওয়েবসাইটে নিবন্ধণ করতে পারবেন। জাতীয় পর্যায়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২৫ জানুয়ারি ২০২১ তারিখের মধ্যে যে কোন তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক উদ্যোক্তা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে আগামী মার্চ ২০২১-এ যথাযথ সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র উপস্থিতির মাধ্যমে “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০” এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
বুধবার, ২৫ নভেম্বর ২০২০
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্মশত বার্ষিকী ২০২০-২১ সালে দেশব্যাপি উদযাপিত হচ্ছে। মুজিববর্ষ আয়োজনে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের অধীনে “উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প (রউঊঅ)” থেকে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট” সংক্ষেপে “বিগ” আয়োজন। “বিগ” আয়োজনের মাধ্যমে তরুণ উদ্যোক্তা অর্থাৎ স্টার্টআপদের নতুন উদ্ভাবনী ধারণাকে উৎসাহিত করে দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এবং এই আয়োজনটিকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একটি ফ্ল্যাগশীপ প্রোগ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ২০২০-২১ সালে ৩টি আয়োজন যথা বিশ^বিদ্যালয় ও স্টেকহোল্ডার অ্যাক্টিভেশন ক্যাম্পেইন, টিভি রিয়েলিটি শো এবং আন্তর্জাতিক রোড শো সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। উল্লেখ্য, “বিগ” এর আন্তর্জাতিক রোড শো এর মাধ্যমে প্রাপ্ত স্টার্টআপদের মধ্য থেকে সেরা স্টার্টআপগুলো একটি দক্ষ ও অভিজ্ঞ বিচারক প্যানেলের মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে। আমেরিকা, কম্বোডিয়া, ভারত, দক্ষিন কোরিয়া, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক, নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ, চায়না, হংকং, জাপান, ইটালি-সহ বিভিন্ন দেশকে এই “আন্তর্জাতিক রোড শো” এর মাধ্যমে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ আয়োজনগুলো থেকে নির্বাচিত সেরা ৩৬টি স্টার্টআপকে ১০ লক্ষ টাকা করে “গ্র্যান্ট” এর অর্থ প্রদান করার পাশাপাশি “বিগ” ফাইনাল রাউন্ডের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হবে। পরবর্তীতে, এই চূড়ান্ত পর্ব থেকে দেশি-বিদেশি অভিজ্ঞ বিচারকদের সমন্বয়ে গঠিত সিলেকশন প্যানেলের মাধ্যমে নির্বাচন করা হবে মুজিববর্ষের বৃহৎ আয়োজনের চূড়ান্ত ফলাফল। “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০ (বিগ)” এর পুরস্কার হিসেবে সেরা একটি স্টার্টআপকে দেওয়া হবে বিশেষ সম্মাননা এবং গ্র্যান্ট হিসেবে ১ লক্ষ ইউএস ডলার।
বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০ (বিগ) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং সংবাদ সম্মেলন ২৫ নভেম্বর ঢাকার আগারগাঁও আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি অডিটরিয়ামে যথাযথ সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত হয়। আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি “বিগ” এর শুভ উদ্বোধন করেন। উক্ত আয়োজনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) এর নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) পার্থপ্রতিম দেব, আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মজিবুল হক। এছাড়া করোনা পরিস্থিতির কারণে আইসিটি পরিবারের আরো অনেকে অনলাইনে সংযুক্ত হন।
সংবাদ সম্মেলন ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, এমপি বলেন, “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট”- এই আইডিয়াটি নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছিল মুলত মুজিব বর্ষকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন এবং বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দর্শন যা আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুকরণীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়ী একটি দৃষ্টান্ত। যদি আমাদের তরুণদেরকে আমরা উৎসাহিত এবং অনুপ্রাণিত করতে চাই তবে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ এবং তার যে রাজনৈতিক দর্শন এবং তার যেই সংগ্রামের ইতিহাস, সেটা যদি প্রকৃতপক্ষে আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে পারি তাহলে কিন্তু তারা কখনোই জীবন সংগ্রামে পরাজিত হবে না। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই আমাদের এই উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবকদের-কে অনুপ্রাণিত করার জন্যই আমরা এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করছি।”
আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব জনাব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ বিশেষ অতিথি হিসেবে বলেন, আমরা সকলেই বঙ্গবন্ধুর বিশালতার কথা জানি। এই “বিগ” এর মাধ্যমে আমরা বড় বড় কাজ করতে পারব এটা আমাদের প্রত্যাশা। তিনি তরুণদের উৎসাহিত করে বলেন যে তরুনরা চাইলেই তাদের উদ্ভাবনকে কাজে লাগিয়ে বড় প্রতিষ্ঠান গড়তে পারেন এবং হতে পারেন “বিগ”।
প্রাথমিকভাবে ২৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখ থেকে “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০” এ তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক আগ্রহী স্টার্টআপগণ www.big.gov.bd এই ওয়েবসাইটে নিবন্ধণ করতে পারবেন। জাতীয় পর্যায়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ২৫ জানুয়ারি ২০২১ তারিখের মধ্যে যে কোন তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক উদ্যোক্তা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারবেন।
করোনা পরিস্থিতির কারণে আগামী মার্চ ২০২১-এ যথাযথ সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র উপস্থিতির মাধ্যমে “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২০” এর সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।