বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) গত ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় রাজধানীর আগাঁরগাও-এ আইসিটি ভবনে অবস্থিত বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর অডিটরিয়ামে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয় ।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের সভাপতিত্বে সভায় সরাসরি উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ এবং পরিচালক রাশাদ কবীর। ভার্চুয়ালী বেসিসের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাসহ পরিচালক তামজীদ সিদ্দিক স্পন্দন, মোস্তফা রফিকুল ইসলাম এবং দিদারুল আলম অংশ নেন। ।
সভায় বেসিস সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থান করেন এবং কর্মকান্ডের সংক্ষিপ্ত বিবরণী তুলে ধরেন। অপরপক্ষে সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান বিগত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করেন।
আলোচনায় বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, সরকারি-বেসরকারি সব তথ্য-প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতিতে বেসিস সর্বদাই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ২০২০ সালে বেসিসের পক্ষ থেকে সদস্যদের কল্যানে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল, সরকারী ক্রয় নীতিমালায় দেশের সফটওয়্যার ও আইটি সেবা খাতের স্থানীয় কোম্পানীসমূহকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটা জঋচ টেমপ্লেট জারি করার প্রক্রিয়া ত্বরান্নিতকরণ, আইটিইএস সেবাখাতের জন্য নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন, দাতা/সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্থায়নসহ সরকারি ক্রয়ে বাংলাদেশে উৎপাদিত ডিজিটাল ডিভাইস পণ্য, সফটওয়্যার বা আইটি পরিষেবাকে অগ্রাধিকার প্রদান করার পাশাপাশি দাতা/সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্থায়নে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার যোগ্যতার শর্তাবলীতে দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করার প্রস্তাব প্রেরণ, ই-গভ পোর্টাল তৈরী, করোনকালীন সময়ে সফটওয়্যার ও আইটিএস প্রতিষ্ঠান চলমান রাখার জন্য এবং এ খাতে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দাখিল করা, মানবসম্পদ বিধিমালা ও নির্দেশিকা (HR Handbook) প্রণয়ন, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বেসিস সদস্যদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা চালু করা, “ডাটা প্রাইভেসি এবং ডাটা প্রটেকশন “সংক্রান্ত খসড়া গাইডলাইন তৈরী প্রভৃতি।
সভায় বেসিস কর্তৃক আন্তর্জাতিক বাজার তৈরী নিয়ে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ, সরকারি কাজে বাংলাদেশি সফটওয়্যার কোম্পানির অগ্রাধিকার নিশ্চিতকরণ, ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ, এইচআর সম্পর্কিত কর্মশালা অব্যাহত রাখা, আন্তর্জাতিক ইভেন্টে বেসিসের উপস্থিতি বৃদ্ধিকরণ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য নগদ প্রণোদনা বৃদ্ধিসহ বেসিস এর ইতোপূর্বে গৃহিত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় বেসিসকে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বেসিস সদস্যরা।
২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) আরো উপস্থিত ছিলেন বেসিসের প্রাক্তন সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম, সাবেক পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ প্রমুখ।
শনিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২১
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর ২১তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) গত ৩০ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় রাজধানীর আগাঁরগাও-এ আইসিটি ভবনে অবস্থিত বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর অডিটরিয়ামে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয় ।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীরের সভাপতিত্বে সভায় সরাসরি উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান, সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান, সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ এবং পরিচালক রাশাদ কবীর। ভার্চুয়ালী বেসিসের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সদস্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরাসহ পরিচালক তামজীদ সিদ্দিক স্পন্দন, মোস্তফা রফিকুল ইসলাম এবং দিদারুল আলম অংশ নেন। ।
সভায় বেসিস সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থান করেন এবং কর্মকান্ডের সংক্ষিপ্ত বিবরণী তুলে ধরেন। অপরপক্ষে সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান বিগত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পেশ করেন।
আলোচনায় বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, সরকারি-বেসরকারি সব তথ্য-প্রযুক্তি খাতের অগ্রগতিতে বেসিস সর্বদাই নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, ২০২০ সালে বেসিসের পক্ষ থেকে সদস্যদের কল্যানে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল, সরকারী ক্রয় নীতিমালায় দেশের সফটওয়্যার ও আইটি সেবা খাতের স্থানীয় কোম্পানীসমূহকে অগ্রাধিকার দিয়ে একটা জঋচ টেমপ্লেট জারি করার প্রক্রিয়া ত্বরান্নিতকরণ, আইটিইএস সেবাখাতের জন্য নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণের বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন, দাতা/সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্থায়নসহ সরকারি ক্রয়ে বাংলাদেশে উৎপাদিত ডিজিটাল ডিভাইস পণ্য, সফটওয়্যার বা আইটি পরিষেবাকে অগ্রাধিকার প্রদান করার পাশাপাশি দাতা/সহযোগী প্রতিষ্ঠানসমূহের অর্থায়নে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার যোগ্যতার শর্তাবলীতে দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর অংশগ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করার প্রস্তাব প্রেরণ, ই-গভ পোর্টাল তৈরী, করোনকালীন সময়ে সফটওয়্যার ও আইটিএস প্রতিষ্ঠান চলমান রাখার জন্য এবং এ খাতে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির জন্য সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা দাখিল করা, মানবসম্পদ বিধিমালা ও নির্দেশিকা (HR Handbook) প্রণয়ন, বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে বেসিস সদস্যদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ সুবিধা চালু করা, “ডাটা প্রাইভেসি এবং ডাটা প্রটেকশন “সংক্রান্ত খসড়া গাইডলাইন তৈরী প্রভৃতি।
সভায় বেসিস কর্তৃক আন্তর্জাতিক বাজার তৈরী নিয়ে পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহণ, সরকারি কাজে বাংলাদেশি সফটওয়্যার কোম্পানির অগ্রাধিকার নিশ্চিতকরণ, ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চ, এইচআর সম্পর্কিত কর্মশালা অব্যাহত রাখা, আন্তর্জাতিক ইভেন্টে বেসিসের উপস্থিতি বৃদ্ধিকরণ, তথ্যপ্রযুক্তি খাতের জন্য নগদ প্রণোদনা বৃদ্ধিসহ বেসিস এর ইতোপূর্বে গৃহিত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় বেসিসকে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান বেসিস সদস্যরা।
২১তম বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) আরো উপস্থিত ছিলেন বেসিসের প্রাক্তন সভাপতি হাবিবুল্লাহ এন করিম, সাবেক পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল, স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান, কো-চেয়ারম্যানবৃন্দ প্রমুখ।