alt

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

‘এক দেশ এক রেট-কোন পথে বাংলাদেশের ইন্টারনেট’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠিত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ০৪ জুলাই ২০২১

গত ৬ জুন বাংলাদেশ টেলিকমিনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন “এক দেশ এক রেট” নামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য নতুন ট্যারিফ ঘোষনা করেছে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের পথে চ্যালেঞ্জ, করণীয় এসব সার্বিক বিষয় আলোচনা করার জন্য ‘এক দেশ এক রেট-কোন পথে বাংলাদেশের ইন্টারনেট’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেটরস ফোরাম (বিডিসাফ)।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক, ফাইবার এট হোমের সিটিও সুমন আহমেদ সাবির, অস্ট্রেলিয়ার এনটিটি লিমিটেড এর সিনিয়র নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার ফকরুল আলম পাপ্পু, বাংলাদেশ সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেটর ফোরাম এর আহবায়ক জুবায়ের আল মাহমুদ হোসেন, বিকাশ লিমিটেড এর হেড অফ আইটি গভর্নেন্স নাজমুল করিম। আলোচনাটি সমন্বয় ও সঞ্চালনা করেন বিডিসাফের যুগ্ম-আহবায়ক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বলেন, আইসিটি পলিসি হয়েছে, ব্রডব্যান্ড পলিসি হয়েছে। ২০১৫ সালের পর থেকে ব্রডব্যান্ড পলিসি আপডেট হচ্ছেনা। ৫০০ টাকায় ইন্টারনেট দেওয়ার জন্য কি ধরণের অবকাঠামো দরকার সেই নিকেশ করা দরকার। ক্যাশ সার্ভার ধরে অনেক প্রান্তিক জায়গায় নব্বই শতাংশ ইন্টারনেট সার্ভ করা যায়। ক্যাশ সার্ভার পলিসি (নীতিমালার) মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে কেননা লোকাল ট্রাফিক লোকাল রাখাই শ্রেয়। ইন্টারনেটের বিশাল জগত এখনো আমরা তুলে ধরতে পারিনি। এক দেশ এক রেট-ট্রান্সমিশনের সাথে সম্পর্কিত বিধায় ক্যাশিং সার্ভারের সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুনভাবে ভেবে দেখা দরকার।

আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, প্রান্তিক আইএসপি গুলো বিভিন্ন সিলিং বা ফ্লোর প্রাইসে যাওয়া উচিত। ছোট ছোট স্ল্যাভে প্রাইস আনা যেতে পারে। এতে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করা যাবে।

আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, পুরো সিদ্ধান্তটি ধোঁয়াশার জন্ম দিয়েছে। আমরা বিভ্রান্ত হচ্ছি। এই সিদ্ধান্তে প্রান্তিক আইএসপি গুলো বানিজ্যিক হুমকির মুখে পড়বে। সারা বাংলাদেশে ২৪ টেরার উপর ট্রান্সমিশন দরকার হবে। এক মাস পর যদি ক্যাশ সার্ভার তুলে নেয়া হয় বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ ট্রাফিক লস হবে। একদিকে ব্যবহারকারীর জন্য সাশ্রয়ী অন্যদিকে প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের খরচ বেড়ে যাবে। আমি মনে করি, সরকারের সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করা উচিত। অন্যথায়, আইএসপি সঠিকভাবে সেবা দিতে অসফল হতেও পারে। আমাদের অন্তত ছয় মাস থেকে এক বছর সময় দেওয়া উচিত, তাতে আমরা দেখব কোথায় নিরাপত্তা ব্যাঘাত হয়। আমরা গাইডলাইন নিয়ে একটা বিভ্রান্তের মধ্যে আছি। প্রান্তিক আইএসপি’র জন্য সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন এখনো আমরা নিতে পারিনি। প্রান্তিক পর্যায়ের ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের প্রকল্পগুলো আলোর মুখ দেখছেনা। বিদেশি বিনিয়োগ আনার ব্যাপারে দেশি উদ্যোক্তাদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। দেশেই অনেকেই বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

ফাইবার এট হোম সিটিও সুমন আহমেদ সাবির বলেন, এক রেট আনার জন্য যে সময়ে আসা দরকার সেই সময়ে এখনো আমরা পৌঁছেছি কিনা ভাবতে হবে। ট্রান্সমিশন বিভিন্ন এলাকার সাথে বিভিন্নভাবে জড়িত। দুই এক বছর পর হয়ত ট্রান্সমিশন কস্ট সহনীয় পর্যায়ে আসবে। ঢাকার আর ঢাকার বাইরে ট্রান্সমিশন কস্ট এখন তারতম্য আছে (১০ জি বিবেচনায়)। এক রেটে এসব বিষয় বিবেচনা করা উচিত। আইএসপি’র কোয়ালিটির ভিন্নতা নিশ্চিত কিভাবে করা হবে। মার্কেট কম্পিটিশন কিভাবে নিশ্চিত করা যাবে ভাবা উচিত। প্রান্তিক পর্যায়ে কোয়ালিটি নিয়েও ভাবা উচিত। সার্ভিস লেয়ার অনুযায়ী যে খরচের তারতম্য আছে তা বিবেচনা করা উচিত। এমনভাবে করা উচিত যাতে প্রান্তিক আইএসপি ৫০০ টাকায় যাতে ভাল সার্ভিস দিতে পারে, তখন এটি অবশ্যই বাস্তবায়ন করা যায়। জেলা পর্যায়ে ভাল কানেক্টিভিটি আছে। উপজেলা পর্যায়েও খারাপ না। ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার গ্রাহকের সাথে ফাইবার কানেক্টিভিটি দিয়ে তার ব্যবসায়িক সামঞ্জস্যতাও বিবেচনায় আনা উচিত।

অস্ট্রেলিয়ার এনটিটি লিমিটেড এর সিনিয়র নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার ফকরুল আলম পাপ্পু আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, সারাবিশে^ই ক্যাশ সার্ভার দিয়ে ইন্টারনেট সার্ভ হচ্ছে। প্রান্তিক ব্যবহারকারীর যত কাছে ক্যাশ বা কন্টেন্ট সার্ভার রাখা যায় তত ভাল। ক্যাশ সার্ভার যদি সরিয়ে নেওয়া হয়, কোয়ালিটি বিঘিœত হবে। ল্যাটেন্সি বেড়ে যাবে। এতে ওভার অল ইম্প্যাক্ট হবে। এতে কস্টিং ইম্প্যাক্টও হবে। ক্যাশ সার্ভার তুলে নিলে ৫০% ব্যান্ডউইথ ব্যবহার বেড়ে যাবে যার ইমপ্যাক্টে দামে পড়বে অবশ্যই। প্রান্তিক আইএসপিকে এই বেশি ব্যবহারের দাম তুলে আনতে হবে। ক্যাশ সার্ভার এক ধরণের একটা প্রক্সি সার্ভার। ক্যাশ সার্ভার নিরাপত্তার জন্য হুমকি আমার কাছে মনে হয়না। ইন্টারনেটের ইকোসিস্টেমে প্রভাব পড়বে এই সিদ্ধান্ত। ক্যাশ সার্ভার বন্ধ করলে গ্লোবাল সিডিএন অপারেটররাও বিভ্রান্ত হতে পারে। ক্যাশ সার্ভারে প্রান্তিক পর্যায়ে নিরাপত্তা হুমকি হতে পারে এ ধরণের কোন ধারণা আমার নেই।

বিকাশ লিমিটেড এর হেড অফ আইটি গভর্নেন্স নাজমুল করিম বলেন, এক দেশ এক রেট-সেবার জন্য কোয়ালিটি নিশ্চিত করা উচিত। যারা সেবা দিবে, তাদের ইস্যুগুলো যদি সমাধান করা না হয়, তাহলে এই সিদ্ধান্ত সাসটেইনেবল করা উচিত। প্রান্তিক সার্ভিস প্রোভাইডারদের ইস্যুগুলো প্রাধান্য দিয়ে এনালাইসিস করা উচিত। নিরাপত্তার জন্য সিডিএন নিরাপত্তাজনিত ইস্যু থাকার কথা না। এখান থেকে কন্টেন্ট শুধু ডাউনলোড হয়। এখানে নিরাপত্তাজনিত কন্টেন্ট সরিয়ে নেওয়ার জন্য গুগল, ফেসবুক এর সাথে সরকারের সম্পর্ক শক্ত করা উচিত। প্যানডামিক সময়ে গুগল, ফেসবুকের উপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে। এসবের কন্টেন্ট যদি শুধু স্টার টপোলজি বা ঢাকা কেন্দ্রিক হয়, তা প্রত্যাশিত নয়। বিটিআরসিকে উদ্যোগ নিতে হবে যাতে নিক্স (ঘওঢ) নেটওয়ার্ক আরো বিস্তৃত করা যায়।

আলোচনার শুরুতে বিডিসাফের আহবায়ক জুবায়ের আল মাহমুদ হোসেন বলেন, এই সরকারের আমলে দেশের ইন্টারনেটের দাম প্রতি এমবি ১ লক্ষ টাকা থেকে কমে ৫০০ টাকার নিচে এসেছে, আজ গ্রাহক পর্যায়ের দাম নির্ধারণ প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে প্রত্যাশিত সুফল পেতে রয়ে গেছে কিছু বাধা। অনতিবিলম্বে আইআইজি ও এনটিটিএন প্রাইস নির্ধারণ করা জরুরি। ক্যাশ সার্ভার আছে বিধায় আমরা বাফার ফ্রি ভিডিও দেখতে পারছি, এটাকে নিন্ম পর্যায় থেকে সরিয়ে নিলে ইন্টারেটের গতি আবার আগের সেই কচ্ছপ গতিতে ফিরে যাবে, এক দেশ এক রেট বাস্তবায়ন চরম ভাবে বাধাগ্রস্থ হবে। আইএসপিদের মধ্যে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নষ্ট হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত একটা বাস্তবস্বম্মত ইকো সিস্টেম তৈরি না হয় ক্যাশসমূহ আগের স্তরেই রাখাতে হবে। ওভারহেড ক্যাবলের উপরে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম আলোচনার শুরুতে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, “বিটিআরসি সারা দেশের জন্য গ্রাহক পর্যায়ে ৫ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণ করেছে ৫০০ টাকা। এ ছাড়া ১০ এমবিপিএসের মূল্য ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএসের মূল্য ১১১০ টাকা থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরের ব্যবহারকারীরা ব্রডব্যান্ড সংযোগের জন্য এখন এর চেয়ে বহুগুণ খরচ করেন। সেদিক বিবেচনায় নতুন নির্ধারিত মূল্য তাদের জন্য সাশ্রয়ী। এমন উদ্যোগের ফলে তাদের ইন্টারনেট সংযোগের খরচ স্বাভাবিকভাবেই কমে আসবে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, এর উদ্দেশ্য মহৎ। কিন্তু সমস্যা হলো, এটাকে কার্যকর করার জন্য আনুষঙ্গিক উপাদানগুলোর কথা বিটিআরসি ভেবেছে কিনা। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর (আইএসপি) জন্য সেবা মূল্যের আওতায় ব্যান্ডউইথের দাম এবং ট্র্রান্সমিশন ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অন্তর্ভূক্ত। এই তিনটি বিষয়ের মধ্যে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তৃতীয় পক্ষের হাতে ছেড়ে দিয়ে খরচ কম-বেশি সমন্বয় করতে পারলেও দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বাদ থেকে যায়। যেখানে নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের (আইআইজি) জন্য ইন্টারনেটের দামের নির্ধারিত কোনো গাইডলাইন নেই, আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো কম মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দিতে কিভাবে কাজ করবে। গুগল বা ফেসবুকের মতো টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা বাড়াতে এবং দ্রুত ও সহজে সেবা দিতে বিশে^র বিভিন্ন অঞ্চলে ডেটার জন্য ক্যাশ সার্ভার বসিয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কোনো থানা পর্যায়ের একজন গ্রাহক গুগল বা ফেসবুকে যখন কোনো কনটেন্ট খুঁজবে, তখন তা প্রথমবার এই টেক জায়ান্টদের মূল সার্ভারে গিয়ে হিট করবে। সেখান থেকে ওই ডেটা স্থানীয় ক্যাশ সার্ভারে জমা হবে। এরপর একই কনটেন্ট যদি আবার কেউ খুঁজতে যায়, তখন স্থানীয় সার্ভার থেকেই পাবে। ফলে পুনরায় পুরো নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না। একদিকে ‘এক দেশ এক রেট’ কর্মসূচি, ইউনিয়ন পর্যায়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে ক্যাশ সার্ভার বন্ধের নির্দেশনা।

স্পিডটেস্ট-এর সূচকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে ১৭৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৬। বর্তমানে বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ডাউনলোড গতি গড়ে ৩৩.৫৪ এমবিপিএস বলে ওই সূচকে উঠে এসেছে। বিটিআরসির হিসাবে, দেশে গত মার্চ শেষে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮ লাখ। এক বছর আগেও সংযোগ সংখ্যা ১৮ লাখ কম ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে বর্তমানে ইন্টারনেট মৌলিক চাহিদার পর্যায়ে চলে এসেছে।

ছবি

জ্বালানি সাশ্রয়ী উদ্ভাবন ও টেকসই কার্যক্রমের জন্য পুরস্কার পেল ইডটকো

ছবি

ডিজিটাল প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধাদের আত্মকর্মসংস্থানে সহায়তা করবে আইসিটি ডিভিশন: ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব

ছবি

শেরাটন ঢাকায় সি ফুড ব্যুফেতে বিকাশ পেমেন্টে ‘বাই ওয়ান গেট টু’ অফার

ছবি

শুরু হচ্ছে ১১তম বাংলাদেশ জুনিয়র সায়েন্স অলিম্পিয়াড ২০২৫-এর অনলাইন নিবন্ধন

ছবি

হুয়াওয়ে ‘সিডস ফর দ্য ফিউচার বাংলাদেশের’ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা

ছবি

গ্রামীণফোনের নতুন ইকোসিস্টেম ‘গ্রামীণফোন ওয়ান’ চালু

ছবি

তরুণদের নিয়ে প্রেনিউর ল্যাবের ‘ডিজিটাল ইশতেহার’

ছবি

বর্ষায় ভিভোর ফটোগ্রাফি ক্যাম্পেইন

ছবি

বাজারে ওয়াইফাই ৭ প্রযুক্তি সমৃদ্ধ কিউডি রাউটার

ছবি

ওয়ানপ্লাস বাংলাদেশে আনল নতুন নর্ড ৫ সিরিজের স্মার্টফোন ও আইওটি ডিভাইস

ছবি

বিকাশ মার্চেন্ট পয়েন্ট থেকে বিদ্যুৎ বিল দেয়ার সুযোগ

ছবি

সারাদেশে পাঠাও-পে সেবা চালু

ছবি

রকেট অ্যাডভেঞ্চার ডে অনুষ্ঠিত

ছবি

ফোনের সুরক্ষায় আইপি রেটিংয়ের গুরুত্ব

ছবি

বিকাশ থেকে বাংলালিংকে সর্বোচ্চ রিচার্জকারীরা জিতলেন পুরস্কার

ছবি

ফিলিপাইনে অনুষ্ঠেয় এশিয়া-প্যাসিফিক ওপেন চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫ এর বাংলাদেশ দল চূড়ান্ত

ছবি

দারাজের লাকি ৭.৭ ক্যাম্পেইন

ছবি

ইডটকো বাংলাদেশ ও টাইগার নিউ এনার্জির মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের জন্য পিএমসিসি ২০২৫-এর নিবন্ধন শুরু

ছবি

আন্তর্জাতিক রোবট অলিম্পিয়াড বাংলাদেশ ওপেন ২০২৫ : রোবট অলিম্পিয়াডের নতুন অধ্যায় শুরু

ছবি

সেমিকন্ডাক্টর খাত উন্নয়নে জাতীয় টাস্কফোর্সের সুপারিশকে স্বাগত জানাল বিএসআইএ

ছবি

পাবজিকে ঘিরে জেগে উঠছে বাংলাদেশের গেমিং কমিউনিটি

ছবি

র‌্যানসমওয়্যার হামলা : গড়ে ১০ লাখ ডলার গুনছে প্রতিষ্ঠানগুলো

ছবি

অপারেশনাল প্রফিটে প্রিয়শপ

ছবি

ফিক্সড ইন্টারনেটের ৭০০ টাকার প্যাকেজ ন্যূনতম ৫০০ টাকায়

ছবি

ডাক বিভাগের কোষাগার ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল রূপান্তরের উদ্বোধন

ছবি

কানেক্ট লাইভ টোকিও ২০২৫-এ অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশি দম্পতি পাভেল-সুমাইয়া

ছবি

ল্যাগ-ফ্রি গেমিং নিশ্চয়তায় রিয়েলমি ১৪ ৫জি স্মার্টফোন

ছবি

এয়ার টিকেট জিতলেন পাঠাও কুরিয়ার মার্চেন্টরা

ছবি

নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটিকে আরও শক্তিশালী করছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও ফাইভজি অ্যাডভান্সড

ছবি

সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের ওপর সহিংসতার ঘটনা বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন প্রকাশ করল ভয়েস

ছবি

যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশে চালু হলো ক্রাউডশিপিং সেবা ‘ডিমহাম’

ছবি

এআই ইনোভেশন ইন এশিয়া অ্যাওয়ার্ড পেল হুয়াওয়ে ও চায়না মোবাইল

ছবি

আইএসপিএবি ও বিপিসির যৌথ আয়োজনে রাজশাহীতে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত.

ছবি

ডেলিভারি পার্টনারদের জন্য ফুডপ্যান্ডার বিনামূল্যে হেলথ ক্যাম্প

ছবি

স্থানীয়ভাবে হোস্টকৃত টিয়ার-৪ ক্লাউড প্ল্যাটফর্ম চালু করল এক্সেনটেক

tab

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

‘এক দেশ এক রেট-কোন পথে বাংলাদেশের ইন্টারনেট’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠিত

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ০৪ জুলাই ২০২১

গত ৬ জুন বাংলাদেশ টেলিকমিনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন “এক দেশ এক রেট” নামে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের জন্য নতুন ট্যারিফ ঘোষনা করেছে। এই উদ্যোগ বাস্তবায়নের পথে চ্যালেঞ্জ, করণীয় এসব সার্বিক বিষয় আলোচনা করার জন্য ‘এক দেশ এক রেট-কোন পথে বাংলাদেশের ইন্টারনেট’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেটরস ফোরাম (বিডিসাফ)।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন) এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স এসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি আমিনুল হাকিম, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক, ফাইবার এট হোমের সিটিও সুমন আহমেদ সাবির, অস্ট্রেলিয়ার এনটিটি লিমিটেড এর সিনিয়র নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার ফকরুল আলম পাপ্পু, বাংলাদেশ সিস্টেম এডমিনিস্ট্রেটর ফোরাম এর আহবায়ক জুবায়ের আল মাহমুদ হোসেন, বিকাশ লিমিটেড এর হেড অফ আইটি গভর্নেন্স নাজমুল করিম। আলোচনাটি সমন্বয় ও সঞ্চালনা করেন বিডিসাফের যুগ্ম-আহবায়ক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক এর সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসান বলেন, আইসিটি পলিসি হয়েছে, ব্রডব্যান্ড পলিসি হয়েছে। ২০১৫ সালের পর থেকে ব্রডব্যান্ড পলিসি আপডেট হচ্ছেনা। ৫০০ টাকায় ইন্টারনেট দেওয়ার জন্য কি ধরণের অবকাঠামো দরকার সেই নিকেশ করা দরকার। ক্যাশ সার্ভার ধরে অনেক প্রান্তিক জায়গায় নব্বই শতাংশ ইন্টারনেট সার্ভ করা যায়। ক্যাশ সার্ভার পলিসি (নীতিমালার) মাধ্যমে নিশ্চিত করা যেতে পারে কেননা লোকাল ট্রাফিক লোকাল রাখাই শ্রেয়। ইন্টারনেটের বিশাল জগত এখনো আমরা তুলে ধরতে পারিনি। এক দেশ এক রেট-ট্রান্সমিশনের সাথে সম্পর্কিত বিধায় ক্যাশিং সার্ভারের সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুনভাবে ভেবে দেখা দরকার।

আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, প্রান্তিক আইএসপি গুলো বিভিন্ন সিলিং বা ফ্লোর প্রাইসে যাওয়া উচিত। ছোট ছোট স্ল্যাভে প্রাইস আনা যেতে পারে। এতে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত করা যাবে।

আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক বলেন, পুরো সিদ্ধান্তটি ধোঁয়াশার জন্ম দিয়েছে। আমরা বিভ্রান্ত হচ্ছি। এই সিদ্ধান্তে প্রান্তিক আইএসপি গুলো বানিজ্যিক হুমকির মুখে পড়বে। সারা বাংলাদেশে ২৪ টেরার উপর ট্রান্সমিশন দরকার হবে। এক মাস পর যদি ক্যাশ সার্ভার তুলে নেয়া হয় বাংলাদেশের ৫০ শতাংশ ট্রাফিক লস হবে। একদিকে ব্যবহারকারীর জন্য সাশ্রয়ী অন্যদিকে প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের খরচ বেড়ে যাবে। আমি মনে করি, সরকারের সিদ্ধান্ত পুনঃবিবেচনা করা উচিত। অন্যথায়, আইএসপি সঠিকভাবে সেবা দিতে অসফল হতেও পারে। আমাদের অন্তত ছয় মাস থেকে এক বছর সময় দেওয়া উচিত, তাতে আমরা দেখব কোথায় নিরাপত্তা ব্যাঘাত হয়। আমরা গাইডলাইন নিয়ে একটা বিভ্রান্তের মধ্যে আছি। প্রান্তিক আইএসপি’র জন্য সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন এখনো আমরা নিতে পারিনি। প্রান্তিক পর্যায়ের ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের প্রকল্পগুলো আলোর মুখ দেখছেনা। বিদেশি বিনিয়োগ আনার ব্যাপারে দেশি উদ্যোক্তাদের সাথে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। দেশেই অনেকেই বিনিয়োগ করতে আগ্রহী।

ফাইবার এট হোম সিটিও সুমন আহমেদ সাবির বলেন, এক রেট আনার জন্য যে সময়ে আসা দরকার সেই সময়ে এখনো আমরা পৌঁছেছি কিনা ভাবতে হবে। ট্রান্সমিশন বিভিন্ন এলাকার সাথে বিভিন্নভাবে জড়িত। দুই এক বছর পর হয়ত ট্রান্সমিশন কস্ট সহনীয় পর্যায়ে আসবে। ঢাকার আর ঢাকার বাইরে ট্রান্সমিশন কস্ট এখন তারতম্য আছে (১০ জি বিবেচনায়)। এক রেটে এসব বিষয় বিবেচনা করা উচিত। আইএসপি’র কোয়ালিটির ভিন্নতা নিশ্চিত কিভাবে করা হবে। মার্কেট কম্পিটিশন কিভাবে নিশ্চিত করা যাবে ভাবা উচিত। প্রান্তিক পর্যায়ে কোয়ালিটি নিয়েও ভাবা উচিত। সার্ভিস লেয়ার অনুযায়ী যে খরচের তারতম্য আছে তা বিবেচনা করা উচিত। এমনভাবে করা উচিত যাতে প্রান্তিক আইএসপি ৫০০ টাকায় যাতে ভাল সার্ভিস দিতে পারে, তখন এটি অবশ্যই বাস্তবায়ন করা যায়। জেলা পর্যায়ে ভাল কানেক্টিভিটি আছে। উপজেলা পর্যায়েও খারাপ না। ইউনিয়ন পর্যায়ে ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার গ্রাহকের সাথে ফাইবার কানেক্টিভিটি দিয়ে তার ব্যবসায়িক সামঞ্জস্যতাও বিবেচনায় আনা উচিত।

অস্ট্রেলিয়ার এনটিটি লিমিটেড এর সিনিয়র নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার ফকরুল আলম পাপ্পু আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, সারাবিশে^ই ক্যাশ সার্ভার দিয়ে ইন্টারনেট সার্ভ হচ্ছে। প্রান্তিক ব্যবহারকারীর যত কাছে ক্যাশ বা কন্টেন্ট সার্ভার রাখা যায় তত ভাল। ক্যাশ সার্ভার যদি সরিয়ে নেওয়া হয়, কোয়ালিটি বিঘিœত হবে। ল্যাটেন্সি বেড়ে যাবে। এতে ওভার অল ইম্প্যাক্ট হবে। এতে কস্টিং ইম্প্যাক্টও হবে। ক্যাশ সার্ভার তুলে নিলে ৫০% ব্যান্ডউইথ ব্যবহার বেড়ে যাবে যার ইমপ্যাক্টে দামে পড়বে অবশ্যই। প্রান্তিক আইএসপিকে এই বেশি ব্যবহারের দাম তুলে আনতে হবে। ক্যাশ সার্ভার এক ধরণের একটা প্রক্সি সার্ভার। ক্যাশ সার্ভার নিরাপত্তার জন্য হুমকি আমার কাছে মনে হয়না। ইন্টারনেটের ইকোসিস্টেমে প্রভাব পড়বে এই সিদ্ধান্ত। ক্যাশ সার্ভার বন্ধ করলে গ্লোবাল সিডিএন অপারেটররাও বিভ্রান্ত হতে পারে। ক্যাশ সার্ভারে প্রান্তিক পর্যায়ে নিরাপত্তা হুমকি হতে পারে এ ধরণের কোন ধারণা আমার নেই।

বিকাশ লিমিটেড এর হেড অফ আইটি গভর্নেন্স নাজমুল করিম বলেন, এক দেশ এক রেট-সেবার জন্য কোয়ালিটি নিশ্চিত করা উচিত। যারা সেবা দিবে, তাদের ইস্যুগুলো যদি সমাধান করা না হয়, তাহলে এই সিদ্ধান্ত সাসটেইনেবল করা উচিত। প্রান্তিক সার্ভিস প্রোভাইডারদের ইস্যুগুলো প্রাধান্য দিয়ে এনালাইসিস করা উচিত। নিরাপত্তার জন্য সিডিএন নিরাপত্তাজনিত ইস্যু থাকার কথা না। এখান থেকে কন্টেন্ট শুধু ডাউনলোড হয়। এখানে নিরাপত্তাজনিত কন্টেন্ট সরিয়ে নেওয়ার জন্য গুগল, ফেসবুক এর সাথে সরকারের সম্পর্ক শক্ত করা উচিত। প্যানডামিক সময়ে গুগল, ফেসবুকের উপর নির্ভরশীলতা বেড়েছে। এসবের কন্টেন্ট যদি শুধু স্টার টপোলজি বা ঢাকা কেন্দ্রিক হয়, তা প্রত্যাশিত নয়। বিটিআরসিকে উদ্যোগ নিতে হবে যাতে নিক্স (ঘওঢ) নেটওয়ার্ক আরো বিস্তৃত করা যায়।

আলোচনার শুরুতে বিডিসাফের আহবায়ক জুবায়ের আল মাহমুদ হোসেন বলেন, এই সরকারের আমলে দেশের ইন্টারনেটের দাম প্রতি এমবি ১ লক্ষ টাকা থেকে কমে ৫০০ টাকার নিচে এসেছে, আজ গ্রাহক পর্যায়ের দাম নির্ধারণ প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে প্রত্যাশিত সুফল পেতে রয়ে গেছে কিছু বাধা। অনতিবিলম্বে আইআইজি ও এনটিটিএন প্রাইস নির্ধারণ করা জরুরি। ক্যাশ সার্ভার আছে বিধায় আমরা বাফার ফ্রি ভিডিও দেখতে পারছি, এটাকে নিন্ম পর্যায় থেকে সরিয়ে নিলে ইন্টারেটের গতি আবার আগের সেই কচ্ছপ গতিতে ফিরে যাবে, এক দেশ এক রেট বাস্তবায়ন চরম ভাবে বাধাগ্রস্থ হবে। আইএসপিদের মধ্যে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নষ্ট হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত একটা বাস্তবস্বম্মত ইকো সিস্টেম তৈরি না হয় ক্যাশসমূহ আগের স্তরেই রাখাতে হবে। ওভারহেড ক্যাবলের উপরে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।

অনুষ্ঠানের সঞ্চালক মোহিব্বুল মোক্তাদীর তানিম আলোচনার শুরুতে বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, “বিটিআরসি সারা দেশের জন্য গ্রাহক পর্যায়ে ৫ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেটের মূল্য নির্ধারণ করেছে ৫০০ টাকা। এ ছাড়া ১০ এমবিপিএসের মূল্য ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং ২০ এমবিপিএসের মূল্য ১১১০ টাকা থেকে ১২০০ টাকার মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরের ব্যবহারকারীরা ব্রডব্যান্ড সংযোগের জন্য এখন এর চেয়ে বহুগুণ খরচ করেন। সেদিক বিবেচনায় নতুন নির্ধারিত মূল্য তাদের জন্য সাশ্রয়ী। এমন উদ্যোগের ফলে তাদের ইন্টারনেট সংযোগের খরচ স্বাভাবিকভাবেই কমে আসবে। তাই নিঃসন্দেহে বলা যায়, এর উদ্দেশ্য মহৎ। কিন্তু সমস্যা হলো, এটাকে কার্যকর করার জন্য আনুষঙ্গিক উপাদানগুলোর কথা বিটিআরসি ভেবেছে কিনা। ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর (আইএসপি) জন্য সেবা মূল্যের আওতায় ব্যান্ডউইথের দাম এবং ট্র্রান্সমিশন ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচও অন্তর্ভূক্ত। এই তিনটি বিষয়ের মধ্যে সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব তৃতীয় পক্ষের হাতে ছেড়ে দিয়ে খরচ কম-বেশি সমন্বয় করতে পারলেও দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিক বাদ থেকে যায়। যেখানে নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) ও ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ের (আইআইজি) জন্য ইন্টারনেটের দামের নির্ধারিত কোনো গাইডলাইন নেই, আইএসপি প্রতিষ্ঠানগুলো কম মূল্যে ইন্টারনেট সেবা দিতে কিভাবে কাজ করবে। গুগল বা ফেসবুকের মতো টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান তাদের সেবা বাড়াতে এবং দ্রুত ও সহজে সেবা দিতে বিশে^র বিভিন্ন অঞ্চলে ডেটার জন্য ক্যাশ সার্ভার বসিয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের কোনো থানা পর্যায়ের একজন গ্রাহক গুগল বা ফেসবুকে যখন কোনো কনটেন্ট খুঁজবে, তখন তা প্রথমবার এই টেক জায়ান্টদের মূল সার্ভারে গিয়ে হিট করবে। সেখান থেকে ওই ডেটা স্থানীয় ক্যাশ সার্ভারে জমা হবে। এরপর একই কনটেন্ট যদি আবার কেউ খুঁজতে যায়, তখন স্থানীয় সার্ভার থেকেই পাবে। ফলে পুনরায় পুরো নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না। একদিকে ‘এক দেশ এক রেট’ কর্মসূচি, ইউনিয়ন পর্যায়ে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা অন্যদিকে স্থানীয় পর্যায়ে ক্যাশ সার্ভার বন্ধের নির্দেশনা।

স্পিডটেস্ট-এর সূচকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের গতিতে ১৭৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৬। বর্তমানে বাংলাদেশের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের ডাউনলোড গতি গড়ে ৩৩.৫৪ এমবিপিএস বলে ওই সূচকে উঠে এসেছে। বিটিআরসির হিসাবে, দেশে গত মার্চ শেষে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটের সংযোগ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯৮ লাখ। এক বছর আগেও সংযোগ সংখ্যা ১৮ লাখ কম ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে বর্তমানে ইন্টারনেট মৌলিক চাহিদার পর্যায়ে চলে এসেছে।

back to top