বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর তত্ত্বাবধানে এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহায়তায় শুরু হচ্ছে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসার উদ্যোগে আয়োজিত হয় নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ। এবারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বেসিসকে সহযোগিতা করবে।
এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, নকশাবিদ, চিত্রশিল্পী, উদ্যোক্তাসহ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন বৈশি^ক সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করা। এবছর নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশে^র ২৫১টি শহরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। বেসিস বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে) ভার্চুয়ালি এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। গত ২৮ জুলাই বেসিস ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২১’ উপলক্ষে অনলাইনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ৫০ লাখ শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি এক লাখ শিক্ষার্থীকে অনলাইনে প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমাদের সৃজনশীল শিক্ষার্থীরা সফলতার সাথে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ সমাধান করছে এবং উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে নিচ্ছে। আমরা এবার সপ্তমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। গতবার “নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২০” এ বিশে^র ১৫০ দেশের ৩৮০০ প্রজেক্টের মধ্যে বাংলাদেশের টিম “বুয়েট জেনিথ” অনারেবল মেনশন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে। ২০১৮ সালে বেস্ট ইউজ অব ডাটা ক্যাটেগরিতে বাংলাদেশের ‘অলিক’ দলের প্রকল্প ‘লুনার ভিআর’ বিশে^র বিভিন্ন দেশের ১ হাজার ৩৯৫টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে শীর্ষ ২৫ দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। আমি আশাবাদী এবছরও আমাদের ছেলে-মেয়েরা পুরস্কার জিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে।
বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ তৈরিতে কাজ করছি। বেসিস নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এর মতো আর যেসব কর্মসূচী হাতে নেবে বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বেসিসকে সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। পাশাপাশি আমি শিক্ষার্থীদের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাই।
বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, একটা প্রতিযোগিতা থেকে আমরা নতুন নতুন অনেক বিষয় শিখি; নতুন নতুন অনেক উদ্ভাবন বের হয়ে আসে। আমি বিশেষ করে, আমাদের মেয়েদেরকে এই প্রতিযোগিতায় আরও বেশি অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানাব। আমাদের দেশের মেয়েরা সব ক্ষেত্রে ভালো করছে। আমি আশাবাদী, মহাকাশ গবেষণায়ও আমাদের মেয়েরা নেতৃত্ব দেবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, নাসার নির্দেশনায় প্রত্যেক গ্রুপে মেয়েদের অন্তর্ভুক্তি টিমের জন্য অতিরিক্ত পয়েন্ট যোগ করবে।
ইাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এর উপদেষ্টা আরিফুল হাসান অপু বলেন, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিশে^র সবচেয়ে বড় হ্যাকাথন। অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে বেশ কয়েকটি ভার্চুয়াল বুটক্যাম্প করা হবে। আমরা আশা করছি আমাদের দলগুলো এবারো ভালো করবে।
আগ্রহীগণ http://bsf.basis.org.bd/NASA-Registration-Form লিঙ্কের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের শেষ তারিখ ১৫ আগস্ট ২০২১। আগামী ২-৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখে বিশ^ব্যাপী এই প্রতিযোগিতা ভার্চুয়ালি ২৫১টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে।
বৃহস্পতিবার, ২৯ জুলাই ২০২১
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর তত্ত্বাবধানে এবং বেসিস স্টুডেন্টস ফোরামের সহায়তায় শুরু হচ্ছে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২১। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় মহাকাশ সংস্থা নাসার উদ্যোগে আয়োজিত হয় নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ। এবারের প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বেসিসকে সহযোগিতা করবে।
এই প্রতিযোগিতার মূল লক্ষ্য প্রযুক্তিবিদ, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, নকশাবিদ, চিত্রশিল্পী, উদ্যোক্তাসহ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে পৃথিবীর বিভিন বৈশি^ক সমস্যা সমাধানে উদ্ভাবনী সমাধান খুঁজে বের করা। এবছর নাসা আন্তর্জাতিকভাবে বিশে^র ২৫১টি শহরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। বেসিস বাংলাদেশের ৯টি শহরে (ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, রংপুর, বরিশাল, খুলনা, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে) ভার্চুয়ালি এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। গত ২৮ জুলাই বেসিস ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ-২০২১’ উপলক্ষে অনলাইনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জে এবার ৫০ লাখ শিক্ষার্থীকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যুক্ত করার পাশাপাশি এক লাখ শিক্ষার্থীকে অনলাইনে প্রতিযোগিতায় যুক্ত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমাদের সৃজনশীল শিক্ষার্থীরা সফলতার সাথে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ সমাধান করছে এবং উল্লেখযোগ্য স্থান দখল করে নিচ্ছে। আমরা এবার সপ্তমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। গতবার “নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২০” এ বিশে^র ১৫০ দেশের ৩৮০০ প্রজেক্টের মধ্যে বাংলাদেশের টিম “বুয়েট জেনিথ” অনারেবল মেনশন ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছে। ২০১৮ সালে বেস্ট ইউজ অব ডাটা ক্যাটেগরিতে বাংলাদেশের ‘অলিক’ দলের প্রকল্প ‘লুনার ভিআর’ বিশে^র বিভিন্ন দেশের ১ হাজার ৩৯৫টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে শীর্ষ ২৫ দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। আমি আশাবাদী এবছরও আমাদের ছেলে-মেয়েরা পুরস্কার জিতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আমাদের মুখ উজ্জ্বল করবে।
বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা আমাদের ছাত্রছাত্রীদের জন্য নতুন নতুন সুযোগ তৈরিতে কাজ করছি। বেসিস নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এর মতো আর যেসব কর্মসূচী হাতে নেবে বাংলাদেশ বিশ^বিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বেসিসকে সবধরনের সহযোগিতা প্রদান করবে। পাশাপাশি আমি শিক্ষার্থীদের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাই।
বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, একটা প্রতিযোগিতা থেকে আমরা নতুন নতুন অনেক বিষয় শিখি; নতুন নতুন অনেক উদ্ভাবন বের হয়ে আসে। আমি বিশেষ করে, আমাদের মেয়েদেরকে এই প্রতিযোগিতায় আরও বেশি অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানাব। আমাদের দেশের মেয়েরা সব ক্ষেত্রে ভালো করছে। আমি আশাবাদী, মহাকাশ গবেষণায়ও আমাদের মেয়েরা নেতৃত্ব দেবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, নাসার নির্দেশনায় প্রত্যেক গ্রুপে মেয়েদের অন্তর্ভুক্তি টিমের জন্য অতিরিক্ত পয়েন্ট যোগ করবে।
ইাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ এর উপদেষ্টা আরিফুল হাসান অপু বলেন, নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বিশে^র সবচেয়ে বড় হ্যাকাথন। অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে বেশ কয়েকটি ভার্চুয়াল বুটক্যাম্প করা হবে। আমরা আশা করছি আমাদের দলগুলো এবারো ভালো করবে।
আগ্রহীগণ http://bsf.basis.org.bd/NASA-Registration-Form লিঙ্কের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের শেষ তারিখ ১৫ আগস্ট ২০২১। আগামী ২-৩ অক্টোবর ২০২১ তারিখে বিশ^ব্যাপী এই প্রতিযোগিতা ভার্চুয়ালি ২৫১টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে।