প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহনের প্রস্তুতির উদ্দশ্যে বাংলাদেশ ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াডের ৫ দিন ব্যাপি ক্যাম্প শেষ হয়েছে। গতকাল ৩০ জুলাই অনলাইনে উক্ত ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরি, প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, প্রফেসর ড. ইজাজ হোসেন, মুনির হাসান ও প্রফেসর ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী। ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীরা আগামী ১৩ আগস্ট আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াডের অনলাইন ইভেন্টে অংশগ্রহন করবে।
ক্যাম্পের সমাপনি অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী বলেন, তরুন সমাজ ও স্কুলপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতনতা অনেক জরুরী। সেজন্য আমরা তাদের জন্য বাংলাদেশে জলবায়ু উৎসব আয়োজন শুরু করেছি।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে অলিম্পিয়াড অনেক প্রশংসনীয়। প্যানডেমিক সমস্যা শেষ হলে তিনি এই ক্যাম্পারদের নিয়ে আবাসিক ক্যাম্প এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চল ঘুরিয়ে দেখানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আরেক বিশেষ অতিথি প্রফেসর ড. ইজাজ হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজকের তরুন প্রজন্ম ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ ফলাফলের সম্মুখীন হবে। তাদেরকে এখন থেকে প্রস্তুত হতে হবে। তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য গরীব দেশগুলো দায়ী না হলেও এর ফলাফল সবাইকে ভোগ করতে হবে।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সভাপতি ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনকে আমাদের মেধা, জ্ঞান এবং বুদ্ধি দিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডগুলোতে অনেক ভালো করছে। তাদের একটু সুযোগ করে দিলেই তারা অনেক ভাল অর্জন এনে দিতে পারবে।
সমাপনি বক্তব্যে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সহ-সভাপতি মুনির হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকেই তার জায়গা থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে কাজ করতে হবে। স্ক্রিন আসক্তি কমিয়ে কিভাবে আরও ভাল ভাবে বাস্তব যোগাযোগ ও পড়াশোনা চালানো যায় সেটা খুঁজে বের করতে হবে।
এর আগে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির আয়োজনে গত ১৬ জুলাই বাংলাদেশে প্রথমবারের মত বাংলাদেশ ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হয়। দেশের সকল জেলা হতে ১৪-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা একটি অনলাইন প্লাটফর্মে একত্রিত হয়ে এই অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করে। যেখানে প্রথম রাউন্ডে প্রায় ১৪০০ জন শিক্ষার্থী থেকে জাতীয় পর্বের জন্য মোট ২৫০ জনকে নির্বাচিত করা হয়। জাতীয় পর্বের অংশগ্রহণকারীদের থেকে মোট ৫০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সারাদেশ থেকে এই ৫০ জন বিজয়ীকে নিয়ে গত ২৬-৩০ জুলাই ৫ দিনব্যাপী অনলাইনে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পে মেন্টর হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির ভলিন্টিয়ারসহ দেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার, ৩১ জুলাই ২০২১
প্রথমবারের মত আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহনের প্রস্তুতির উদ্দশ্যে বাংলাদেশ ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াডের ৫ দিন ব্যাপি ক্যাম্প শেষ হয়েছে। গতকাল ৩০ জুলাই অনলাইনে উক্ত ক্যাম্পের সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরি, প্রফেসর ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, প্রফেসর ড. ইজাজ হোসেন, মুনির হাসান ও প্রফেসর ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী। ক্যাম্পে অংশগ্রহণকারীরা আগামী ১৩ আগস্ট আন্তর্জাতিক ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াডের অনলাইন ইভেন্টে অংশগ্রহন করবে।
ক্যাম্পের সমাপনি অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে আয়োজক প্রতিষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক ড. ফারসীম মান্নান মোহাম্মদী বলেন, তরুন সমাজ ও স্কুলপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সচেতনতা অনেক জরুরী। সেজন্য আমরা তাদের জন্য বাংলাদেশে জলবায়ু উৎসব আয়োজন শুরু করেছি।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মুনির চৌধুরি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বর্তমানে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। এই ইস্যুকে কেন্দ্র করে অলিম্পিয়াড অনেক প্রশংসনীয়। প্যানডেমিক সমস্যা শেষ হলে তিনি এই ক্যাম্পারদের নিয়ে আবাসিক ক্যাম্প এবং জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চল ঘুরিয়ে দেখানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত আরেক বিশেষ অতিথি প্রফেসর ড. ইজাজ হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজকের তরুন প্রজন্ম ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়াবহ ফলাফলের সম্মুখীন হবে। তাদেরকে এখন থেকে প্রস্তুত হতে হবে। তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য গরীব দেশগুলো দায়ী না হলেও এর ফলাফল সবাইকে ভোগ করতে হবে।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সভাপতি ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল তার বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনকে আমাদের মেধা, জ্ঞান এবং বুদ্ধি দিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা আন্তর্জাতিক অলিম্পিয়াডগুলোতে অনেক ভালো করছে। তাদের একটু সুযোগ করে দিলেই তারা অনেক ভাল অর্জন এনে দিতে পারবে।
সমাপনি বক্তব্যে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির সহ-সভাপতি মুনির হাসান বলেন, শিক্ষার্থীদের প্রত্যেকেই তার জায়গা থেকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ঠেকাতে কাজ করতে হবে। স্ক্রিন আসক্তি কমিয়ে কিভাবে আরও ভাল ভাবে বাস্তব যোগাযোগ ও পড়াশোনা চালানো যায় সেটা খুঁজে বের করতে হবে।
এর আগে বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির আয়োজনে গত ১৬ জুলাই বাংলাদেশে প্রথমবারের মত বাংলাদেশ ক্লাইমেট সায়েন্স অলিম্পিয়াড আয়োজন করা হয়। দেশের সকল জেলা হতে ১৪-১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা একটি অনলাইন প্লাটফর্মে একত্রিত হয়ে এই অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করে। যেখানে প্রথম রাউন্ডে প্রায় ১৪০০ জন শিক্ষার্থী থেকে জাতীয় পর্বের জন্য মোট ২৫০ জনকে নির্বাচিত করা হয়। জাতীয় পর্বের অংশগ্রহণকারীদের থেকে মোট ৫০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। সারাদেশ থেকে এই ৫০ জন বিজয়ীকে নিয়ে গত ২৬-৩০ জুলাই ৫ দিনব্যাপী অনলাইনে প্রশিক্ষণ ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়। ক্যাম্পে মেন্টর হিসেবে ছিলেন বাংলাদেশ বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণ সমিতির ভলিন্টিয়ারসহ দেশের বিভিন্ন বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।