সব জনবিরোধী ঋণ বাতিলের দাবি
‘ঋণ বাতিল করো, ব্যবস্থা পরিবর্তন করো’ দাবিতে মানববন্ধন, সাইকেল ও র্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে পরিবেশ ও জলবায়ুভিত্তিক কয়েকটি নাগরিক সংগঠন
জলবায়ু পরিবর্তন এর কারণে বিশ্ব বর্তমানে একাধিক ক্রমবর্ধমান সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। এই সংকট মোকাবিলায় এখন শুধু বেঁচে থাকার জন্য নয়, বরং একটি নতুন এবং উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য জরুরিভাবে প্রয়োজন আর্থিক সম্পদ জোগাড় এবং ন্যায়সঙ্গত ও দায়িত্বশীলভাবে সবাইকে একত্রিত করা। এখন আগের চেয়েও বেশি প্রয়োজন আমাদের সচেতনতা, সংহতি এবং সম্মিলিত পদক্ষেপ। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিপূরণ, অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার এবং জলবায়ু পদক্ষেপের জন্য অর্থ সরবরাহ ও আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবিতে আমাদের একাঙ্গে কাজ করতে হবে।
জলবায়ু সংকট, বৈষম্য ও ঋণের দমবন্ধ পরিস্থিতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জলবায়ু ন্যায়বিচার আন্দোলনের অংশ বাংলাদেশে ১৮টি স্থানে একযোগে ‘ঋণ বাতিল করো, ব্যবস্থা পরিবর্তন করো’ দাবিতে মানববন্ধন, সাইকেল ও র্যালি ও লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার,(২৮ জুন ২০২৫) কর্মসূচিগুলোর আয়োজন করে পরিবেশ ও জলবায়ুভিত্তিক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠনসমূহ।
হবিগঞ্জে জেলায় সাইকেল শোভাযাত্রা ও পথসভায় বক্তারা বলেন পরিবেশগত বিপর্যয়ের ক্ষতিপূরণে জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। সেখানে বেলা ১১ টায় শহরের রাজনগর বাডস কেজি এন্ড হাই স্কুল প্রাঙ্গণে থেকে শুরু হয়ে টাউন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন পুকুর পাড়ে শেষ হয়।
সিলেটে নদী রক্ষা এবং জলবায়ু ন্যায্যতা দাবি সাইকেল র্যালির আয়োজন করা হয়। সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার ও স্থানীয় সংগঠন সিলেট সাইকেল কমিউনিটি এই সাইকেল র্যালির আয়োজন করে। সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সাইকেল র্যালি শুরু হয়।
মোংলার মিঠাখালী বাজারে মানববন্ধন ও সাইকেল র্যালির আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বক্তারা পরিবেশ ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ সুন্দরবন বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখনই বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি দাবি তুলে ধরেন।
কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক নদীর তীরে মানববন্ধন ও সাইকেল র্যালি আয়োজিত হয়। উদ্বোধনী বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণ দাবি ও উপকূলীয় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবন মানের উন্নয়নে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান হয়।
বরগুনার তালতলীতে সাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময়
অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থী র্যালিতে অংশগ্রহণ করে। বক্তারা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘বরিশাল ৩০৭ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রর কয়লা ধোঁয়া বর্জ্য পায়রা নদীতে ফালানোর কারণে নদীতে ইলিশ কমে যাচ্ছে। জীববৈচিত্র্যসহ এলাকার মানুষের কৃষি ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি হচ্ছে।’
পাথরঘাটায় পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সহযোগিতায় সাইকেল র্যালি পাথরঘাটা পৌরশহর থেকে শুরু হয়ে কালমেঘা-ছোট পাথরঘাটা সড়ক প্রদক্ষিণ করে পাথরঘাটা কলেজ গেটৈ গিয়ে শেষ হয়। এছাড়া মানববন্ধন ও আয়োজন করা হয়। র্যালিতে ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবি করা হয়।
কুতুবদিইয়ায় সাইকেল শোভাযাত্রা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বড়ঘোপ ইউনিয়নের লামা বাজারের চৌরাস্তা থেকে সাইকেল র্যালিটি শুরু করে দ্বীপের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণের পর উপজেলা গেইটে এসে মানববন্ধনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়। র্যালি ও মানববন্ধনে উপকূলীয় স্কুলের শিক্ষার্থীরাও এতে অংশ নেয়।
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসদরে সাইকেল র্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় হতে ছাত্রদের সাইকেল র্যালি নিয়ে উপজেলা পরিষদ, থানা সেন্টার, চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে জনতা শপিং সেন্টারে এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়।
জামালপুরে ঢাকা-জামালপুর মহাসড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বগুড়ার মহাস্থানগড়ে সাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সাইকেল র্যালিটি মহাস্থানগড় ব্রিজ থেকে বাঘোপাড়া পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে। বগুড়ায় শহরের সাতমাথা এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘গ্লোবাল সাউথের জনগণ আজ জলবায়ুর ক্ষতির শিকার অথচ তাদের কাঁধেই চাপানো হচ্ছে ঋণের বোঝা।’
পাবনার চাটমোহরে গুমানী নদীর পাড়ে সাইকেল র্যালি ও মানববন্ধন আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চলনবিল রক্ষায় আমরা এর আহ্বায়ক হেলালুর রহমান জুয়েল। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
সাতক্ষীরায় জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সাইকেল র্যালি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারও শহীদ রাজ্জাক পার্কে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের সদস্য ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের মেহেরুন্নেসা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ধরা ও গর্জন সমাজকল্যাণ সংস্থার যৌথ আয়োজনে সাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাইকেল র্যালিটি মেহেরুন্নেসা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু হয়ে আঞ্জুমান খেলার মাঠ ঘুরে পুনরায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থী, যুবক ও স্থানীয় পরিবেশ সচেতন নাগরিকরা অংশ নেন।
রাজশাহীতে আয়োজিত হয় ব্যতিক্রমী মোটরসাইকেল র্যালি, যা বারনাই নদীর পাশ দিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এতে শিক্ষক, ব্যবসায়ী, পরিবেশকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মহেশখালীতে ও বদরখালীতে সাইকেল র্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে । সাইকেল র্যালির পাশাপাশি বিভিন্ন বাজার ও পাড়া-মহল্লায় লিফলেট বিতরণ করা হয়, যেখানে স্থানীয় জনগণ জলবায়ু ন্যায্যতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও স্থানীয় সংগঠনের যৌথ আয়োজনে সারাদিনব্যাপী এই কর্মসুচীসমুহ বাস্তবায়িত হয়। এর আগে, গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ঋণ নয়, চাই ন্যায্যতা: অন্যায় ঋণ বাতিল করো, ব্যবস্থা বদলাও’ শীর্ষক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। স্পেনের সেভিলাতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘ফাইন্যান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট’ সামনে রেখে এ দাবি জানানো হয়।
সব জনবিরোধী ঋণ বাতিলের দাবি
‘ঋণ বাতিল করো, ব্যবস্থা পরিবর্তন করো’ দাবিতে মানববন্ধন, সাইকেল ও র্যালিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে পরিবেশ ও জলবায়ুভিত্তিক কয়েকটি নাগরিক সংগঠন
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
জলবায়ু পরিবর্তন এর কারণে বিশ্ব বর্তমানে একাধিক ক্রমবর্ধমান সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে। এই সংকট মোকাবিলায় এখন শুধু বেঁচে থাকার জন্য নয়, বরং একটি নতুন এবং উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য জরুরিভাবে প্রয়োজন আর্থিক সম্পদ জোগাড় এবং ন্যায়সঙ্গত ও দায়িত্বশীলভাবে সবাইকে একত্রিত করা। এখন আগের চেয়েও বেশি প্রয়োজন আমাদের সচেতনতা, সংহতি এবং সম্মিলিত পদক্ষেপ। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতিপূরণ, অর্থনৈতিক ন্যায়বিচার এবং জলবায়ু পদক্ষেপের জন্য অর্থ সরবরাহ ও আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থার পরিবর্তনের দাবিতে আমাদের একাঙ্গে কাজ করতে হবে।
জলবায়ু সংকট, বৈষম্য ও ঋণের দমবন্ধ পরিস্থিতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক জলবায়ু ন্যায়বিচার আন্দোলনের অংশ বাংলাদেশে ১৮টি স্থানে একযোগে ‘ঋণ বাতিল করো, ব্যবস্থা পরিবর্তন করো’ দাবিতে মানববন্ধন, সাইকেল ও র্যালি ও লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার,(২৮ জুন ২০২৫) কর্মসূচিগুলোর আয়োজন করে পরিবেশ ও জলবায়ুভিত্তিক নাগরিক সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা) ও স্থানীয় পরিবেশবাদী সংগঠনসমূহ।
হবিগঞ্জে জেলায় সাইকেল শোভাযাত্রা ও পথসভায় বক্তারা বলেন পরিবেশগত বিপর্যয়ের ক্ষতিপূরণে জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে হবে। সেখানে বেলা ১১ টায় শহরের রাজনগর বাডস কেজি এন্ড হাই স্কুল প্রাঙ্গণে থেকে শুরু হয়ে টাউন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সংলগ্ন পুকুর পাড়ে শেষ হয়।
সিলেটে নদী রক্ষা এবং জলবায়ু ন্যায্যতা দাবি সাইকেল র্যালির আয়োজন করা হয়। সুরমা রিভার ওয়াটারকিপার ও স্থানীয় সংগঠন সিলেট সাইকেল কমিউনিটি এই সাইকেল র্যালির আয়োজন করে। সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সাইকেল র্যালি শুরু হয়।
মোংলার মিঠাখালী বাজারে মানববন্ধন ও সাইকেল র্যালির আয়োজন করা হয়। সমাবেশে বক্তারা পরিবেশ ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ সুন্দরবন বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র এখনই বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি দাবি তুলে ধরেন।
কলাপাড়ায় আন্ধারমানিক নদীর তীরে মানববন্ধন ও সাইকেল র্যালি আয়োজিত হয়। উদ্বোধনী বক্তব্যে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিপূরণ দাবি ও উপকূলীয় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবন মানের উন্নয়নে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান হয়।
বরগুনার তালতলীতে সাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময়
অর্ধ-শতাধিক শিক্ষার্থী র্যালিতে অংশগ্রহণ করে। বক্তারা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে বলেন, ‘বরিশাল ৩০৭ মেগাওয়াট তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রর কয়লা ধোঁয়া বর্জ্য পায়রা নদীতে ফালানোর কারণে নদীতে ইলিশ কমে যাচ্ছে। জীববৈচিত্র্যসহ এলাকার মানুষের কৃষি ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি হচ্ছে।’
পাথরঘাটায় পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সহযোগিতায় সাইকেল র্যালি পাথরঘাটা পৌরশহর থেকে শুরু হয়ে কালমেঘা-ছোট পাথরঘাটা সড়ক প্রদক্ষিণ করে পাথরঘাটা কলেজ গেটৈ গিয়ে শেষ হয়। এছাড়া মানববন্ধন ও আয়োজন করা হয়। র্যালিতে ঋণ বাতিল করে জলবায়ু অর্থায়নের দাবি করা হয়।
কুতুবদিইয়ায় সাইকেল শোভাযাত্রা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। বড়ঘোপ ইউনিয়নের লামা বাজারের চৌরাস্তা থেকে সাইকেল র্যালিটি শুরু করে দ্বীপের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণের পর উপজেলা গেইটে এসে মানববন্ধনের মধ্যদিয়ে শেষ হয়। র্যালি ও মানববন্ধনে উপকূলীয় স্কুলের শিক্ষার্থীরাও এতে অংশ নেয়।
কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরসদরে সাইকেল র্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চকরিয়া কেন্দ্রীয় উচ্চ বিদ্যালয় হতে ছাত্রদের সাইকেল র্যালি নিয়ে উপজেলা পরিষদ, থানা সেন্টার, চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়ক হয়ে জনতা শপিং সেন্টারে এসে মানববন্ধনে মিলিত হয়।
জামালপুরে ঢাকা-জামালপুর মহাসড়কে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বগুড়ার মহাস্থানগড়ে সাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। সাইকেল র্যালিটি মহাস্থানগড় ব্রিজ থেকে বাঘোপাড়া পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে। বগুড়ায় শহরের সাতমাথা এলাকায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘গ্লোবাল সাউথের জনগণ আজ জলবায়ুর ক্ষতির শিকার অথচ তাদের কাঁধেই চাপানো হচ্ছে ঋণের বোঝা।’
পাবনার চাটমোহরে গুমানী নদীর পাড়ে সাইকেল র্যালি ও মানববন্ধন আয়োজিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চলনবিল রক্ষায় আমরা এর আহ্বায়ক হেলালুর রহমান জুয়েল। র্যালিটি শহরের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে শহীদ মিনারে এসে শেষ হয়।
সাতক্ষীরায় জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের আয়োজনে সাইকেল র্যালি শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে আবারও শহীদ রাজ্জাক পার্কে গিয়ে শেষ হয়। র্যালিতে সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের সদস্য ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের মেহেরুন্নেসা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে ধরা ও গর্জন সমাজকল্যাণ সংস্থার যৌথ আয়োজনে সাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাইকেল র্যালিটি মেহেরুন্নেসা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠ থেকে শুরু হয়ে আঞ্জুমান খেলার মাঠ ঘুরে পুনরায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থী, যুবক ও স্থানীয় পরিবেশ সচেতন নাগরিকরা অংশ নেন।
রাজশাহীতে আয়োজিত হয় ব্যতিক্রমী মোটরসাইকেল র্যালি, যা বারনাই নদীর পাশ দিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এতে শিক্ষক, ব্যবসায়ী, পরিবেশকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মহেশখালীতে ও বদরখালীতে সাইকেল র্যালি ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে । সাইকেল র্যালির পাশাপাশি বিভিন্ন বাজার ও পাড়া-মহল্লায় লিফলেট বিতরণ করা হয়, যেখানে স্থানীয় জনগণ জলবায়ু ন্যায্যতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ ও স্থানীয় সংগঠনের যৌথ আয়োজনে সারাদিনব্যাপী এই কর্মসুচীসমুহ বাস্তবায়িত হয়। এর আগে, গতকাল শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘ঋণ নয়, চাই ন্যায্যতা: অন্যায় ঋণ বাতিল করো, ব্যবস্থা বদলাও’ শীর্ষক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। স্পেনের সেভিলাতে অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘ফাইন্যান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট’ সামনে রেখে এ দাবি জানানো হয়।