গত এক সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয় দফায় জলাবদ্ধতা হয়েছে বন্দরনগরীতে
ভারী বর্ষণে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর অনেক এলাকার সড়ক ডুবে যায় পানিতে - সংবাদ
চট্টগ্রাম মহানগীতে ভারী বর্ষণে কয়েকটি নিচু এলাকায় ফের জলাবদ্ধতা হয়েছিল। যার ফলে বৃহস্পতিবার, (৩১ জুলাই ২০২৫) সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কর্মস্থলে যাবার জন্য লোকজন বাসা থেকে বেরিয়ে জলজটের কবলে পড়েন। কোথাও কোথাও দুই-তিন ঘণ্টা কিংবা তারও বেশিসময় পানি আটকে রয়েছিল। এতে নগরবাসীকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
গত এক সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয় দফায় জলাবদ্ধতা হয়েছে বন্দরনগরীতে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্ম্মা বলেন, রাত থেকে একটানা বৃষ্টি হয়েছে। সকালে একেবারে মুষলধারে বৃষ্টি ছিল। এজন্য কয়েকটি এলাকায় আগের মতোই জলাবদ্ধতা হয়েছে। তবে কাতালগঞ্জ ও কাপাসগোলা এলাকা ছাড়া প্রায় সবখানে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পানি নেমে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেকে অলিগলির পানি মাড়িয়ে মূল সড়কে ওঠতে হয়েছে। আবার বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে গণপরিবহন কম থাকায় কর্মজীবীদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
নগরীর পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৮৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. ইসমাইল ভূঁইয়া বলেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ূচাপের আধিক্য আছে। এজন্য বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল আছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এরপর কমতে পারে।
এদিকে বুধবার রাত থেকে টানা বর্ষণের ফলে সকালে নগরীর কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকা, কাপাসগোলা, চকবাজারের একাংশ, আতুরার ডিপো, মুরাদপুর, জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার একাংশ, হাজীপাড়া এলাকায় মূল সড়ক, অলিগলি পানিতে ডুবে যায়। কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জে নিচতলার বাসা, দোকানপাটের ভেতরেও পানি দেখা গেছে। এসব এলাকায় সড়ক ও অলিগলিতে কোথাও কোথাও হাঁটু, আবার কোথাও কোমরসমান পানি হয়। জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। কিছু সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, টেম্পু, রিকশা, ইজিবাইক চলাচল একেবারে কমে যায়।
গত এক সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয় দফায় জলাবদ্ধতা হয়েছে বন্দরনগরীতে
ভারী বর্ষণে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম নগরীর অনেক এলাকার সড়ক ডুবে যায় পানিতে - সংবাদ
শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫
চট্টগ্রাম মহানগীতে ভারী বর্ষণে কয়েকটি নিচু এলাকায় ফের জলাবদ্ধতা হয়েছিল। যার ফলে বৃহস্পতিবার, (৩১ জুলাই ২০২৫) সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় কর্মস্থলে যাবার জন্য লোকজন বাসা থেকে বেরিয়ে জলজটের কবলে পড়েন। কোথাও কোথাও দুই-তিন ঘণ্টা কিংবা তারও বেশিসময় পানি আটকে রয়েছিল। এতে নগরবাসীকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
গত এক সপ্তাহের মধ্যে এ নিয়ে তৃতীয় দফায় জলাবদ্ধতা হয়েছে বন্দরনগরীতে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্ম্মা বলেন, রাত থেকে একটানা বৃষ্টি হয়েছে। সকালে একেবারে মুষলধারে বৃষ্টি ছিল। এজন্য কয়েকটি এলাকায় আগের মতোই জলাবদ্ধতা হয়েছে। তবে কাতালগঞ্জ ও কাপাসগোলা এলাকা ছাড়া প্রায় সবখানে ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পানি নেমে গেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অনেকে অলিগলির পানি মাড়িয়ে মূল সড়কে ওঠতে হয়েছে। আবার বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতার কারণে গণপরিবহন কম থাকায় কর্মজীবীদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজে যেতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
নগরীর পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৮৪ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাস কর্মকর্তা মো. ইসমাইল ভূঁইয়া বলেন, মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় উত্তর বঙ্গোপসাগরে বায়ূচাপের আধিক্য আছে। এজন্য বিভিন্ন এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সমুদ্রবন্দরে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল আছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অতি ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। এরপর কমতে পারে।
এদিকে বুধবার রাত থেকে টানা বর্ষণের ফলে সকালে নগরীর কাতালগঞ্জ আবাসিক এলাকা, কাপাসগোলা, চকবাজারের একাংশ, আতুরার ডিপো, মুরাদপুর, জিইসি মোড়, আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকার একাংশ, হাজীপাড়া এলাকায় মূল সড়ক, অলিগলি পানিতে ডুবে যায়। কাপাসগোলা, কাতালগঞ্জে নিচতলার বাসা, দোকানপাটের ভেতরেও পানি দেখা গেছে। এসব এলাকায় সড়ক ও অলিগলিতে কোথাও কোথাও হাঁটু, আবার কোথাও কোমরসমান পানি হয়। জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে যানবাহন চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। কিছু সড়কে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, টেম্পু, রিকশা, ইজিবাইক চলাচল একেবারে কমে যায়।