বৃহস্পতিবার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিইসি -সংবাদ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। বৃহস্পতিবার,(২৬ জুন ২০২৫) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাতে তারা একান্তে কথা বলেন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। বৈঠকের বিষয়ে পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও তাতে বিষয়বস্তু সর্ম্পকে কিছু বলা হয়নি।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির এ বৈঠক হলো।
প্রথা অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন সাধারণত তাদের সব প্রস্তুতির বিষয়টি রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এই সাক্ষাতের কয়েকদিনের মধ্যেই তফসিল ঘোষণা করা হয়ে থাকে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রথমে এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে গত ১৩ জুন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় রোজার সপ্তাহ খানেক আগে জাতীয় নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়া হয়।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সব প্রস্তুতি শেষ করা গেলে ২০২৬ সালে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও (ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে) নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে বলে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
এদিকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার বিশেষ করে সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে কয়েকটি দল।
যেকোনো সময় ভোটার তালিকাভুক্তির ক্ষমতা চায় ইসি
বছরের যেকোনো সময় যাতে ভোটার তালিকায় কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, আইনে সে পরিবর্তন চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার, নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এই কথা জানান। ইসি সচিব বলেন, ‘ভোটার তালিকা, কোন পর্যন্ত সময়সীমা নিয়ে ভোটার করা হবে, যারা নির্বাচনে ভোট দেবেন এই সংক্রান্ত বিদ্যমান আইনের পরিবর্তন আনার জন্য আমরা একটি প্রস্তাব করেছি। সেখানে আমরা বলেছি, কমিশন যৌক্তিক বিবেচনায় যে সময়টা মনে করবেন যে, ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সেই যৌক্তিক বিবেচনাটা কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই তারিখ ঠিক করবেন।’
ইসি সচিব আরও বলেন, ‘এই যৌক্তিক বিবেচনাটা কীসের ভিত্তিতে হবে, এটা কমিশন সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এটা স্বাভাবিকভাবে আসতে পারে, কবে ভোট হবে এবং ভোটের আগে তফসিল, তফসিলের আগে প্রতীক বরাদ্দ, ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে কাট-অব পয়েন্ট নির্ধারণ করবেন। এ সংক্রান্ত সংশোধনী প্রস্তাব আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।’
বর্তমানে ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। এরপর দাবি-আপত্তি আহ্বান করে তা নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয় আগামী ২ মার্চ। অর্থাৎ ১ জানুয়ারির পর কেউ ভোটার হলে তাকে নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। আইনে সংশোধন হলে কমিশন যেকোনও সময় ভোটার তালিকায় কাউকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘৭৬টি আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ চেয়ে আবেদন এসেছে। এসব নিয়ে পর্যালোচনা চলছে।’ রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নিবন্ধনের জন্য ১৪৭টি আবেদন পাওয়া গেছে। তিন দলের একাধিক আবেদন থাকায় ১৪৪টি দল আবেদন করেছে। ২০ জন কর্মকর্তা দায়িত্ব পেয়েছেন এসব আবেদনের প্রাথমিক পর্যালোচনার জন্য।’ নির্বাচনী প্রতীকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এবং এজন্য তফসিল সংশোধন করতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব। এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি চলমান প্রক্রিয়া। সব কার্যক্রম চলছে।’
বৃহস্পতিবার যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সিইসি -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। বৃহস্পতিবার,(২৬ জুন ২০২৫) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সাক্ষাতে তারা একান্তে কথা বলেন বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। বৈঠকের বিষয়ে পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হলেও তাতে বিষয়বস্তু সর্ম্পকে কিছু বলা হয়নি।
আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে অন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষণার মধ্যে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সিইসির এ বৈঠক হলো।
প্রথা অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার আগে নির্বাচন কমিশন সাধারণত তাদের সব প্রস্তুতির বিষয়টি রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে এই সাক্ষাতের কয়েকদিনের মধ্যেই তফসিল ঘোষণা করা হয়ে থাকে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রথমে এপ্রিলের প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে গত ১৩ জুন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় রোজার সপ্তাহ খানেক আগে জাতীয় নির্বাচন করার ঘোষণা দেয়া হয়।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সব প্রস্তুতি শেষ করা গেলে ২০২৬ সালে পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও (ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে) নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে বলে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
এদিকে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার বিশেষ করে সিটি করপোরেশনগুলোর নির্বাচন দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে কয়েকটি দল।
যেকোনো সময় ভোটার তালিকাভুক্তির ক্ষমতা চায় ইসি
বছরের যেকোনো সময় যাতে ভোটার তালিকায় কাউকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, আইনে সে পরিবর্তন চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার, নির্বাচন ভবনে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এই কথা জানান। ইসি সচিব বলেন, ‘ভোটার তালিকা, কোন পর্যন্ত সময়সীমা নিয়ে ভোটার করা হবে, যারা নির্বাচনে ভোট দেবেন এই সংক্রান্ত বিদ্যমান আইনের পরিবর্তন আনার জন্য আমরা একটি প্রস্তাব করেছি। সেখানে আমরা বলেছি, কমিশন যৌক্তিক বিবেচনায় যে সময়টা মনে করবেন যে, ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায়, সেই যৌক্তিক বিবেচনাটা কমিশন সভায় সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই তারিখ ঠিক করবেন।’
ইসি সচিব আরও বলেন, ‘এই যৌক্তিক বিবেচনাটা কীসের ভিত্তিতে হবে, এটা কমিশন সিদ্ধান্ত নেবেন। তবে এটা স্বাভাবিকভাবে আসতে পারে, কবে ভোট হবে এবং ভোটের আগে তফসিল, তফসিলের আগে প্রতীক বরাদ্দ, ইত্যাদি বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে কাট-অব পয়েন্ট নির্ধারণ করবেন। এ সংক্রান্ত সংশোধনী প্রস্তাব আমরা আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।’
বর্তমানে ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। এরপর দাবি-আপত্তি আহ্বান করে তা নিষ্পত্তির পর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয় আগামী ২ মার্চ। অর্থাৎ ১ জানুয়ারির পর কেউ ভোটার হলে তাকে নির্বাচনের জন্য ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যায় না। আইনে সংশোধন হলে কমিশন যেকোনও সময় ভোটার তালিকায় কাউকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে।’
ইসি সচিব বলেন, ‘৭৬টি আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণ চেয়ে আবেদন এসেছে। এসব নিয়ে পর্যালোচনা চলছে।’ রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘নিবন্ধনের জন্য ১৪৭টি আবেদন পাওয়া গেছে। তিন দলের একাধিক আবেদন থাকায় ১৪৪টি দল আবেদন করেছে। ২০ জন কর্মকর্তা দায়িত্ব পেয়েছেন এসব আবেদনের প্রাথমিক পর্যালোচনার জন্য।’ নির্বাচনী প্রতীকের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে এবং এজন্য তফসিল সংশোধন করতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন ইসি সচিব। এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ‘নির্বাচনের প্রস্তুতি চলমান প্রক্রিয়া। সব কার্যক্রম চলছে।’