চিকিৎসকদের নিয়ে করা আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএইচসিডিওএ)। একই সঙ্গে ওই বক্তব্য পুনর্বিবেচনা ও ব্যাখ্যা করার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।
রোববার সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক এ এম শামীম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক কনভেনশন হলে বিপিএইচসিডিওএর নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল চিকিৎসকদের নিয়ে আপত্তিকর ও অপমানজনক মন্তব্য করেন। এ বক্তব্যে গভীর হতাশা ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির দাবি, দেশের প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা নিরলসভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। কোভিড–১৯ ও ডেঙ্গুর মতো মহামারিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে সেবা দিয়েছেন। অথচ আইন উপদেষ্টার এমন মন্তব্য চিকিৎসকদের সততা ও আত্মত্যাগকে হেয় করেছে এবং স্বাস্থ্যসেবার প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ন করেছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে চিকিৎসকদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সংগঠনটি আরও বলেছে, সেই সময় স্বৈরাচারী সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। জীবননাশের ভয় থাকা সত্ত্বেও তাঁরা জনতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয়।
এ ঘটনায় অবস্ট্রেটিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংগঠনটি আইন উপদেষ্টাকে বক্তব্য প্রত্যাহার ও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছে। অন্যথায় প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে আগামী ১৮ আগস্ট এক দিনের জন্য প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ওজিএসবি।
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি লিখেছেন, “একটি অনুষ্ঠানে ডাক্তারদের নিয়ে কিছু কথা বলেছিলাম। প্রথমে আমার ভালো অভিজ্ঞতার কথা বলেছি, এরপর অন্যদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিছু সমালোচনা করেছি। তবে স্পষ্ট করে বলেছি, এই সমালোচনা সব ডাক্তারদের জন্য নয়, কিছু ডাক্তারদের জন্য। কিন্তু পত্রপত্রিকায় পুরো বক্তব্য না ছাপানোয় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের বিপুলসংখ্যক ডাক্তার সততা ও ত্যাগ নিয়ে সেবা দেন। তাঁদের কাছে আমার বক্তব্য কষ্টের কারণ হলে আমি দুঃখিত। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যি হতে পারে, তাঁদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।”
সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫
চিকিৎসকদের নিয়ে করা আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএইচসিডিওএ)। একই সঙ্গে ওই বক্তব্য পুনর্বিবেচনা ও ব্যাখ্যা করার অনুরোধ জানিয়েছে সংগঠনটি।
রোববার সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক এ এম শামীম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার রাজধানীর শহীদ আবু সাঈদ আন্তর্জাতিক কনভেনশন হলে বিপিএইচসিডিওএর নতুন কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল চিকিৎসকদের নিয়ে আপত্তিকর ও অপমানজনক মন্তব্য করেন। এ বক্তব্যে গভীর হতাশা ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সংগঠনটি।
সংগঠনটির দাবি, দেশের প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা নিরলসভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছেন। কোভিড–১৯ ও ডেঙ্গুর মতো মহামারিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষকে সেবা দিয়েছেন। অথচ আইন উপদেষ্টার এমন মন্তব্য চিকিৎসকদের সততা ও আত্মত্যাগকে হেয় করেছে এবং স্বাস্থ্যসেবার প্রতি জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ন করেছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে চিকিৎসকদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সংগঠনটি আরও বলেছে, সেই সময় স্বৈরাচারী সরকারের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আহতদের চিকিৎসা দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। জীবননাশের ভয় থাকা সত্ত্বেও তাঁরা জনতার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয়।
এ ঘটনায় অবস্ট্রেটিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওজিএসবি)ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। সংগঠনটি আইন উপদেষ্টাকে বক্তব্য প্রত্যাহার ও প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে বলেছে। অন্যথায় প্রতীকী প্রতিবাদ হিসেবে আগামী ১৮ আগস্ট এক দিনের জন্য প্রাইভেট চেম্বার বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে ওজিএসবি।
এদিকে রোববার সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি লিখেছেন, “একটি অনুষ্ঠানে ডাক্তারদের নিয়ে কিছু কথা বলেছিলাম। প্রথমে আমার ভালো অভিজ্ঞতার কথা বলেছি, এরপর অন্যদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কিছু সমালোচনা করেছি। তবে স্পষ্ট করে বলেছি, এই সমালোচনা সব ডাক্তারদের জন্য নয়, কিছু ডাক্তারদের জন্য। কিন্তু পত্রপত্রিকায় পুরো বক্তব্য না ছাপানোয় ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের বিপুলসংখ্যক ডাক্তার সততা ও ত্যাগ নিয়ে সেবা দেন। তাঁদের কাছে আমার বক্তব্য কষ্টের কারণ হলে আমি দুঃখিত। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সত্যি হতে পারে, তাঁদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।”