আন্দোলনের মধ্যে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) উপাচার্য আবুল কাসেম মিয়া এবং ১১ বিভাগীয় প্রধান একযোগে পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেইসবুক পেজে তাদের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে সকালে রাজধানীর ভাটারার মাদানী এভিনিউতে অবস্থিত ইউআইইউ ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোহাইমিনুল ইসলাম নামের একজন এক ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেন, মিডটার্ম পরীক্ষায় অংশগ্রহণে সমস্যা, পরীক্ষার সময় কমানো এবং ইম্প্রুভমেন্ট ফি কমানোর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
তিনি জানান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের এক ছাত্রী তার বাবার মৃত্যুর কারণে মিডটার্ম পরীক্ষা দিতে পারেননি। মেকআপ পরীক্ষার আবেদন জানালে বিভাগীয় প্রধান তাকে জেলা প্রশাসকের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে বলেন এবং নির্ধারিত ফি দিয়ে ইম্প্রুভমেন্ট পরীক্ষা দিতে বাধ্য করেন। পাশাপাশি ইম্প্রুভমেন্ট ফি কমানোর ঘোষণার পরও পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী ক্রেডিট প্রতি ১৫০০ টাকা ফি নেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
এছাড়া, মিডটার্ম পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট থেকে কমিয়ে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট করা হলেও প্রশ্নপত্রের দৈর্ঘ্য অপরিবর্তিত রাখায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আন্দোলনকারীরা প্রথমে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ নুরুল হুদার পদত্যাগ, পরীক্ষা সময় পুনরুদ্ধার ও ইম্প্রুভমেন্ট ফি কমানোর দাবি জানান। পরে তারা উপাচার্যের পদত্যাগেরও দাবি তোলেন।
বিকাল থেকে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে একদল শিক্ষার্থী উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় এবং কিছু শিক্ষার্থী অনশন শুরু করে।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভিসি ও ১১ বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের ঘোষণা দেয়। তবে শিক্ষার্থীরা তা ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ’ রাত ১২টার দিকে জানায়, শিক্ষার্থীরা সম্মানের সঙ্গে দাবির বাইরে থাকা শিক্ষকদের মানববন্ধনের মাধ্যমে ক্যাম্পাস ছাড়ার আহ্বান জানান। তারা দাবি করেন, ভিসি ও সিএসই বিভাগের প্রধান ছাড়া অন্যরা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াক এবং পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করুক।
রাত পৌনে ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. সাদিকুর রহমান দীপু বলেন, "ভিসি স্যারসহ শিক্ষকরা এখনও অবরুদ্ধ রয়েছেন। শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগপত্রের ভাষা পরিবর্তনের দাবি করছেন। তবে ভিসি বলেছেন, পদত্যাগপত্রের ভাষা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।"
উপাচার্য আবুল কাসেম মিয়া তার পদত্যাগপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর ‘অগ্রহণযোগ্য ও অসম্মানজনক পরিস্থিতি’ তৈরির কথা উল্লেখ করেন।
কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রধান নুরুল হুদা পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ওই ছাত্রীকে তিনি ২৩ এপ্রিলের পর ডেথ সার্টিফিকেট জমা দিতে বলেছিলেন। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ায় তিনি বিব্রত হয়ে পদত্যাগ করছেন।
অন্যদিকে ১০ জন বিভাগীয় প্রধান ‘শিক্ষার্থীদের অন্যায় দাবি-দাওয়ার প্রতিবাদে’ পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বলে জানান।
রোববার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
আন্দোলনের মধ্যে ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) উপাচার্য আবুল কাসেম মিয়া এবং ১১ বিভাগীয় প্রধান একযোগে পদত্যাগ করেছেন। শনিবার (২৬ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফেইসবুক পেজে তাদের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়।
এর আগে সকালে রাজধানীর ভাটারার মাদানী এভিনিউতে অবস্থিত ইউআইইউ ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে মোহাইমিনুল ইসলাম নামের একজন এক ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করেন, মিডটার্ম পরীক্ষায় অংশগ্রহণে সমস্যা, পরীক্ষার সময় কমানো এবং ইম্প্রুভমেন্ট ফি কমানোর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের কারণে তারা আন্দোলনে নেমেছেন।
তিনি জানান, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের এক ছাত্রী তার বাবার মৃত্যুর কারণে মিডটার্ম পরীক্ষা দিতে পারেননি। মেকআপ পরীক্ষার আবেদন জানালে বিভাগীয় প্রধান তাকে জেলা প্রশাসকের প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে বলেন এবং নির্ধারিত ফি দিয়ে ইম্প্রুভমেন্ট পরীক্ষা দিতে বাধ্য করেন। পাশাপাশি ইম্প্রুভমেন্ট ফি কমানোর ঘোষণার পরও পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী ক্রেডিট প্রতি ১৫০০ টাকা ফি নেওয়া হয় বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
এছাড়া, মিডটার্ম পরীক্ষার সময় ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট থেকে কমিয়ে ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট করা হলেও প্রশ্নপত্রের দৈর্ঘ্য অপরিবর্তিত রাখায় শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
আন্দোলনকারীরা প্রথমে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রধান মোহাম্মদ নুরুল হুদার পদত্যাগ, পরীক্ষা সময় পুনরুদ্ধার ও ইম্প্রুভমেন্ট ফি কমানোর দাবি জানান। পরে তারা উপাচার্যের পদত্যাগেরও দাবি তোলেন।
বিকাল থেকে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে একদল শিক্ষার্থী উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয় এবং কিছু শিক্ষার্থী অনশন শুরু করে।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভিসি ও ১১ বিভাগের প্রধানের পদত্যাগের ঘোষণা দেয়। তবে শিক্ষার্থীরা তা ষড়যন্ত্র আখ্যা দিয়ে কর্মকর্তাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন।
‘প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স বাংলাদেশ’ রাত ১২টার দিকে জানায়, শিক্ষার্থীরা সম্মানের সঙ্গে দাবির বাইরে থাকা শিক্ষকদের মানববন্ধনের মাধ্যমে ক্যাম্পাস ছাড়ার আহ্বান জানান। তারা দাবি করেন, ভিসি ও সিএসই বিভাগের প্রধান ছাড়া অন্যরা শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াক এবং পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করুক।
রাত পৌনে ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ শাখার সহকারী পরিচালক মো. সাদিকুর রহমান দীপু বলেন, "ভিসি স্যারসহ শিক্ষকরা এখনও অবরুদ্ধ রয়েছেন। শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগপত্রের ভাষা পরিবর্তনের দাবি করছেন। তবে ভিসি বলেছেন, পদত্যাগপত্রের ভাষা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।"
উপাচার্য আবুল কাসেম মিয়া তার পদত্যাগপত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর ‘অগ্রহণযোগ্য ও অসম্মানজনক পরিস্থিতি’ তৈরির কথা উল্লেখ করেন।
কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের প্রধান নুরুল হুদা পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, ওই ছাত্রীকে তিনি ২৩ এপ্রিলের পর ডেথ সার্টিফিকেট জমা দিতে বলেছিলেন। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হওয়ায় তিনি বিব্রত হয়ে পদত্যাগ করছেন।
অন্যদিকে ১০ জন বিভাগীয় প্রধান ‘শিক্ষার্থীদের অন্যায় দাবি-দাওয়ার প্রতিবাদে’ পদত্যাগপত্র দিয়েছেন বলে জানান।