রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পলাতক আসামিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। আদেশে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মো. হাসিবুর রশীদসহ পলাতক ২৪ আসামিকে আত্মসমর্পণ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আবু সাঈদ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ। তিনি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
রোববার,(১৩ জুলাই ২০২৫) বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই আদেশ দেয়। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল বলেন, এর আগে গত ১০ জুলাই এই মামলার ২৬ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে পরে জানতে পারেন এই মামলার দুজন আসামি ইতোমধ্যে অন্য দুটি মামলায় গ্রেপ্তার আছেন। সে কারণে ট্রাইব্যুনালে মৌখিকভাবে আদেশ দিলেও তাতে সই করেননি।
ট্রাইব্যুনাল আরও বলেন, তবে আগের আদেশ উপেক্ষা করা যাবে না। অবশ্য আগের আদেশ পরিমার্জন করা হলো। সেই ২৬ আসামির মধ্যে যে দুজন গ্রেপ্তার আছেন, তাদের জন্য সেই আদেশ প্রযোজ্য নয়। তাদের আগামী ২২ জুলাই ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে হবে। সেই দুই আসামি হলেন রাফিউল হাসান রাসেল ও মো. আনোয়ার পারভেজ। পলাতক ২৪ আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়া হলো।
আবু সাঈদের মামলায় মোট ৩০
আসামি। এর মধ্যে চারজনকে রোববার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। তারা হলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশ।
অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা রাফিউল হাসান ও আনোয়ার পারভেজ নামের দুই আসামিকে ট্রাইব্যুনালের এই মামলায় হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় ছয় তরুণের লাশ পোড়ানোর মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১৬ জুলাই ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল-২। এই মামলার ১৬ জন আসামি। এর মধ্যে গ্রেপ্তার আট আসামিকে রোববার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সাল থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংগঠিত ১১টি গুমের সঙ্গে শেখ হাসিনাসহ ওই সময় সরকারের শীর্ষ পদে থাকা ১৬ জন জড়িত। ভুক্তভোগীরা বিচার দাবি করে জানান, শুধু বিএনপি করার অপরাধে তাদের বিগত সরকারের সময় নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।
রোববার, ১৩ জুলাই ২০২৫
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় পলাতক আসামিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২। আদেশে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য মো. হাসিবুর রশীদসহ পলাতক ২৪ আসামিকে আত্মসমর্পণ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আবু সাঈদ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ। তিনি রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
রোববার,(১৩ জুলাই ২০২৫) বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই আদেশ দেয়। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্য হলেন বিচারক মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।
শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল বলেন, এর আগে গত ১০ জুলাই এই মামলার ২৬ আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে পরে জানতে পারেন এই মামলার দুজন আসামি ইতোমধ্যে অন্য দুটি মামলায় গ্রেপ্তার আছেন। সে কারণে ট্রাইব্যুনালে মৌখিকভাবে আদেশ দিলেও তাতে সই করেননি।
ট্রাইব্যুনাল আরও বলেন, তবে আগের আদেশ উপেক্ষা করা যাবে না। অবশ্য আগের আদেশ পরিমার্জন করা হলো। সেই ২৬ আসামির মধ্যে যে দুজন গ্রেপ্তার আছেন, তাদের জন্য সেই আদেশ প্রযোজ্য নয়। তাদের আগামী ২২ জুলাই ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে হবে। সেই দুই আসামি হলেন রাফিউল হাসান রাসেল ও মো. আনোয়ার পারভেজ। পলাতক ২৪ আসামিকে হাজির হওয়ার জন্য সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করার নির্দেশ দেয়া হলো।
আবু সাঈদের মামলায় মোট ৩০
আসামি। এর মধ্যে চারজনকে রোববার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। তারা হলেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী ওরফে আকাশ।
অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা রাফিউল হাসান ও আনোয়ার পারভেজ নামের দুই আসামিকে ট্রাইব্যুনালের এই মামলায় হাজির করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গণঅভ্যুত্থানের সময় ঢাকার অদূরে সাভারের আশুলিয়ায় ছয় তরুণের লাশ পোড়ানোর মামলায় পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১৬ জুলাই ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল-২। এই মামলার ১৬ জন আসামি। এর মধ্যে গ্রেপ্তার আট আসামিকে রোববার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, ২০১৯ সাল থেকে গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত সংগঠিত ১১টি গুমের সঙ্গে শেখ হাসিনাসহ ওই সময় সরকারের শীর্ষ পদে থাকা ১৬ জন জড়িত। ভুক্তভোগীরা বিচার দাবি করে জানান, শুধু বিএনপি করার অপরাধে তাদের বিগত সরকারের সময় নির্মম নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।