জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২৮ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই আদেশ দেন।
তদন্ত সংস্থা এ মামলায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে, যেখানে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে ৩০ জনের সম্পৃক্ততার কথা উঠে এসেছে। এর আগে গত ৩০ জুন মামলার অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল এবং পলাতক থাকা ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে এক বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তিনি দু’হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে ছিলেন, ঠিক সেই সময় তাকে গুলি করা হয়। ঘটনাটি প্রচারিত হওয়ার পর সারা দেশে তীব্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
পরদিন থেকেই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু হয়। লাগাতার আন্দোলনের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে প্রাণহানি, সরকারি সম্পত্তিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ ঘটে। ১৯ জুলাই কারফিউ জারি করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয় সরকার। আন্দোলনের চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। তিনি ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে পাড়ি জমান।
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় রংপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য ২৮ জুলাই দিন নির্ধারণ করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই আদেশ দেন।
তদন্ত সংস্থা এ মামলায় প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনালে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে, যেখানে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে ৩০ জনের সম্পৃক্ততার কথা উঠে এসেছে। এর আগে গত ৩০ জুন মামলার অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল এবং পলাতক থাকা ২৬ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০২৪ সালের ১৬ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রংপুরে এক বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে আবু সাঈদ নিহত হন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, তিনি দু’হাত প্রসারিত করে দাঁড়িয়ে ছিলেন, ঠিক সেই সময় তাকে গুলি করা হয়। ঘটনাটি প্রচারিত হওয়ার পর সারা দেশে তীব্র বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।
পরদিন থেকেই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি শুরু হয়। লাগাতার আন্দোলনের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে প্রাণহানি, সরকারি সম্পত্তিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ ঘটে। ১৯ জুলাই কারফিউ জারি করেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যর্থ হয় সরকার। আন্দোলনের চাপে পড়ে শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। তিনি ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে ভারতে পাড়ি জমান।