ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা) নেতা রঞ্জন চৌধুরী ও তাঁর সহযোগী প্রদীপ মারাককে অস্ত্র আইনের এক মামলায় ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগে বিচারিক আদালত এই মামলায় তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল।
মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। একই বেঞ্চ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা আরেকটি মামলায় তাঁদের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রেখে, ইতোমধ্যে ১৫ বছরের বেশি কারাভোগকে সেই সাজাভোগ হিসেবে গণ্য করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মতে, ২০১০ সালের ১৭ জুলাই থেকে রঞ্জন ও প্রদীপ কারাগারে আছেন। কারাবিধি অনুযায়ী সাধারণত ৯ মাসে এক বছরের হিসাব অনুযায়ী তাঁরা ইতোমধ্যেই প্রায় ২০ বছর সাজাভোগ সম্পন্ন করেছেন। তাই আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁদের মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম শামশাদ, নূরুজ্জামান ও আমির উদ্দিন।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অস্ত্র আইনের মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন সাজা সংশোধন করে ২০ বছর করা হয়েছে। অপরদিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ১৫ বছর সাজাভোগকে পূর্ণাঙ্গ সাজা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
২০১০ সালের জুলাই মাসে ভৈরব পৌর শহর এলাকা থেকে র্যাব-৯ (বর্তমানে র্যাব-১৪)–এর সদস্যরা রঞ্জন ও প্রদীপকে আটক করে। পরে র্যাবের তৎকালীন উপপরিচালক করিম উল্লাহ তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন।
২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ অস্ত্র মামলায় এবং দায়রা জজ আদালত সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী সাংবাদিকদের বলেন, রঞ্জন চৌধুরী শেরপুরে অবস্থান করে বিয়ে করেন এবং স্থানীয়ভাবে সংগঠনের কাজ করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও কোনো মামলা না থাকলে এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রঞ্জন চৌধুরীর বাড়ি ভারতের আসামের ধুবড়ি জেলার গৌরীপুর থানার মধু শোলমারি গ্রামে। তাঁর সহযোগী প্রদীপ মারাক বাংলাদেশের শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা। ২০০৭ সালে রঞ্জন স্থানীয় আদিবাসী নারী সাবেত্রী মংকে বিয়ে করে শেরপুরে বসবাস শুরু করেন।
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসাম (উলফা) নেতা রঞ্জন চৌধুরী ও তাঁর সহযোগী প্রদীপ মারাককে অস্ত্র আইনের এক মামলায় ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর আগে বিচারিক আদালত এই মামলায় তাঁদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল।
মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। একই বেঞ্চ সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা আরেকটি মামলায় তাঁদের যাবজ্জীবন সাজা বহাল রেখে, ইতোমধ্যে ১৫ বছরের বেশি কারাভোগকে সেই সাজাভোগ হিসেবে গণ্য করেন।
আসামিপক্ষের আইনজীবীদের মতে, ২০১০ সালের ১৭ জুলাই থেকে রঞ্জন ও প্রদীপ কারাগারে আছেন। কারাবিধি অনুযায়ী সাধারণত ৯ মাসে এক বছরের হিসাব অনুযায়ী তাঁরা ইতোমধ্যেই প্রায় ২০ বছর সাজাভোগ সম্পন্ন করেছেন। তাই আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁদের মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ কে এম শামশাদ, নূরুজ্জামান ও আমির উদ্দিন।
আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, অস্ত্র আইনের মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন সাজা সংশোধন করে ২০ বছর করা হয়েছে। অপরদিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ১৫ বছর সাজাভোগকে পূর্ণাঙ্গ সাজা হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
২০১০ সালের জুলাই মাসে ভৈরব পৌর শহর এলাকা থেকে র্যাব-৯ (বর্তমানে র্যাব-১৪)–এর সদস্যরা রঞ্জন ও প্রদীপকে আটক করে। পরে র্যাবের তৎকালীন উপপরিচালক করিম উল্লাহ তাঁদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী ও অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা করেন।
২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল কিশোরগঞ্জের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১ অস্ত্র মামলায় এবং দায়রা জজ আদালত সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এছাড়া প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন আদালত।
রায়ের পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী সাংবাদিকদের বলেন, রঞ্জন চৌধুরী শেরপুরে অবস্থান করে বিয়ে করেন এবং স্থানীয়ভাবে সংগঠনের কাজ করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে আরও কোনো মামলা না থাকলে এবং ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়ম মেনে মুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রঞ্জন চৌধুরীর বাড়ি ভারতের আসামের ধুবড়ি জেলার গৌরীপুর থানার মধু শোলমারি গ্রামে। তাঁর সহযোগী প্রদীপ মারাক বাংলাদেশের শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতি উপজেলার বাকাকুড়া গ্রামের বাসিন্দা। ২০০৭ সালে রঞ্জন স্থানীয় আদিবাসী নারী সাবেত্রী মংকে বিয়ে করে শেরপুরে বসবাস শুরু করেন।