alt

জাতীয়

কুমিল্লায় প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে চেয়ারেই বসে গেলেন ছাত্র

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুমিল্লা : শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুমিল্লায় শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করার পর প্রশাসনের সহায়তায় তিনি বিদ্যালয় ত্যাগ করার পর তারই চেয়ারে বসে যান একই বিদ্যালয়ের এক ছাত্র। প্রথমে এ ছবি দেখে অনেকেই ছবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। পরে পরিচয় মিলে ওই ছাত্রের। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে সেই ছবি। জেলার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের এমন ধৃষ্টতা নিয়ে নেটিজেনরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। চেয়ারে বসা ইকরামুল হাসান ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। সে স্থানীয় কুরুইন গ্রামের আবুল হাসমের ছেলে। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের এলাকার লোকজন, সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও ক্ষুব্ধ। এদিকে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিগার সুলতানা। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, টেবিলের উপর থাকা প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেনের টেবিলে রাখা নেম প্লেট সামনে রেখে স্কুল ড্রেস ছাড়া সাদা পোশাকে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসে আছেন ছাত্র ইকরামুল। এসময় ওই কক্ষে আর কাউকে দেখা যায়নি। এ ছবি প্রথমে নিজের ফেইসবুকেই আপলোড করে ওই ছাত্র লিখেন- ‘আমাদের সু-সম্মানিত আলমগীর স্যার কোথায়।’ বৃহস্পতিবার রাত থেকে ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ছবি ভাইরাল হয়ে পড়ে। সাদ্দাম হোসেন নামে এক ব্যক্তি এ ছবি পোস্ট করার পর শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ১৬৬ জন নেতিবাচক মন্তব্য করেন। কমেন্টে মঈন উদ্দিন নামের একজন লিখেছেন ‘শিক্ষা ব্যবস্থা শেষ করে গেছে হাসিনা সরকার, তার ফল এইগুলা।’ মুন্সী আজিম লিখেছেন ‘পিতা মাতার পরেই শিক্ষকের স্থান, শিক্ষককের সঙ্গে বেয়াদবি মানে দুনিয়া ও আখেরাত দুইটাই বরবাদ।’ আক্তার নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন ‘ফাইজলামির একটা লিমিট থাকা উচিত।’ পারভেজ লিখেছেন ‘স্বাধীন দেশের স্বাধীন ছাত্র।’ শাহ আলম ভূইয়া বাবু নামের একজন লিখেছেন ‘জীবনে আর এটা দেখার বাকি ছিল।’

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকাল থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল- প্রধান শিক্ষক আওয়ামী লীগ করেন ও বিদ্যালয়ের অর্থে তিনি বিপুল পরিমান সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তাই তাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে হবে। খবর পেয়ে প্রথমে দেবিদ্বার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং পরে দুপুরের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়টির সভাপতি নিগার সুলতানা সেনাবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকে। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় প্রধান শিক্ষক পদত্যাগ না করেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে ওই ছাত্র বলেন, সবায় অফিস কক্ষ ত্যাগ করার পর আবেগে চেয়ারে বসে ছবি তুলি, এটা আমার ঠিক হয়নি, সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমার এফবি থেকেও তা বাদ দিয়েছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের বলেছি আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই, এ দলের সদস্য পদও নাই। দেবিদ্বারে নাকি আমার দুটি বাড়ি আছে, তাও তাদের প্রমান দিতে বলেছি, ওরা প্রমান দিতে পারেনি। তিনি আরও জানান, ওরা হয়তো কারও ইন্ধনে ভুল বুঝে আন্দোলনে নেমেছে। অভিযোগ তদন্তের আগেই পদত্যাগে বাধ্য করা দেশে এখন যেন একটি রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিগার সুলতানা বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আমরা বিধিমোতাবেক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। কিন্তু প্রধান শিক্ষক অফিস থেকে বের হওয়ার পর তারই ছাত্র চেয়ারে বসে ফেসবুকে ছবি পোস্ট দেয়ার যে ক্ষমাহীন ধৃষ্টতা দেখিয়েছে এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব। এমন আচরণ মেনে নেয়া যায় না। কোন বিবেকবান ও সুস্থ ছাত্র এটা করতে পারে না।

ছবি

অসহিষ্ণুতা, ঘৃণা-বিদ্বেষের বিরুদ্ধে সরকারের স্পষ্ট বার্তা চায় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

ছবি

ডেঙ্গুতে একদিনে সর্বোচ্চ ৭ জনের মৃত্যু, বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে সহিংস ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিনশারকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন

ছবি

আন্দোলনকারিকে নির্যাতনের এক মাস বিশ দিন পর ভিডিও ফাঁস

ছবি

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত ১৫৮১ জনের প্রাথমিক তালিকা বৈষম্যবিরোধীদের

ছবি

কারাভোগ শেষে দেশে আসছেন ৮৫ বাংলাদেশি, ফিরবেন ১২৩ মায়ানমার নাগরিক

ছবি

জাতিসংঘ অধিবেশন শেষে প্রধান উপদেষ্টার নিউইয়র্ক ত্যাগ

ছবি

নিয়ন্ত্রণে নেই নিত্যপণ্যের বাজার, অস্বস্তিতে সাধারণ মানুষ

ছবি

বাংলাদেশের অভ্যুত্থান বিশ্বকে মুক্তি ও ন্যায়বিচারের পক্ষে দাঁড়াতে প্রেরণা যোগাবে : প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

সরকারের প্রতিটি স্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ : মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

খুব দেরি হওয়ার আগেই আমাদের সমাধান করতে হবে, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে ইউনূস

ছবি

মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আইসিসি প্রধান কৌঁসুলির বৈঠক

ছবি

সকল সিটি করপোরেশন-পৌরসভার কাউন্সিলরদের অপসারণ

ছবি

লেফটেন্যান্ট তানজিম ছারোয়ারের স্মৃতি সংরক্ষণে উদ্যোগ

আন্দোলনে শহীদ পরিবারের সদস্যদের পর্যটন শিল্পে সম্পৃক্ত করা হবে

ছবি

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য হলেই নির্বাচন : নিউইয়র্কে মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা সমুন্নত রাখার প্রতিশ্রুতি দিলেন অধ্যাপক ইউনূস

ছবি

অতিরিক্ত ডিআইজি হলেন ৪৭ এসপি

ছবি

অপরাধ করে থাকলে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত: ইউনূস

ছবি

সংস্কার উদ্যোগে ৩৫০ কোটি ডলার দেবে বিশ্ব ব্যাংক

ছবি

দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করতে শাহবাজ শরিফ ও মুহাম্মদ ইউনূসের বৈঠক

বিদ্যুতে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি : ভারত-বাংলাদেশের সম্মতির অপেক্ষায় নেপাল

ছবি

সরকার পতনের পর দেড়মাসে শতাধিক খুন রাজধানীতে

ছবি

গুলিতেই মারা গেছে আবু সাইদ ,মাথায় আঘাত উল্লেখ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেয়া ময়না তদন্ত প্রতিবেদনটি ভুয়া

ছবি

নাহিদ ইসলাম এর সাথে গণঅভ্যুত্থানে শহীদ মিরাজ ও রাব্বির পরিবারের সাক্ষাৎ

ছবি

‘বিরল’ বৈঠকে ইউনূসকে বুকে টেনে নিলেন বাইডেন

ছবি

তরুণদের আত্মত্যাগে নতুন বাংলাদেশের সম্ভাবনা, বিদেশি বন্ধুদের সহায়তা কামনা ইউনূসের

ছবি

ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, ২৪ ঘণ্টায় ৮৫৪ জন ভর্তি, ২ জনের মৃত্যু

ছবি

দুর্গাপূজায় প্রতিটি মণ্ডপের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা: ডিএমপি কমিশনার

ছবি

তরুণদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ গড়তে বিদেশী বন্ধুদের সহযোগিতা চান ইউনূস

ছবি

কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠক করলেন মুহাম্মদ ইউনূস

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেনের পূর্ণ সমর্থন মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে

ছবি

ইউনূস ও জাস্টিন ট্রুডো একান্ত বৈঠক

ছবি

এ মাসে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধশতাধিক

ছবি

সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজী আর নেই

tab

জাতীয়

কুমিল্লায় প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করে চেয়ারেই বসে গেলেন ছাত্র

জেলা বার্তা পরিবেশক, কুমিল্লা

শনিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কুমিল্লায় শিক্ষার্থীরা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ দাবি করার পর প্রশাসনের সহায়তায় তিনি বিদ্যালয় ত্যাগ করার পর তারই চেয়ারে বসে যান একই বিদ্যালয়ের এক ছাত্র। প্রথমে এ ছবি দেখে অনেকেই ছবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। পরে পরিচয় মিলে ওই ছাত্রের। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে ভাইরাল হয়ে পড়েছে সেই ছবি। জেলার দেবিদ্বার উপজেলার মোহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের এমন ধৃষ্টতা নিয়ে নেটিজেনরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। চেয়ারে বসা ইকরামুল হাসান ওই বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। সে স্থানীয় কুরুইন গ্রামের আবুল হাসমের ছেলে। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের এলাকার লোকজন, সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরাও ক্ষুব্ধ। এদিকে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় ওই ছাত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিগার সুলতানা। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, টেবিলের উপর থাকা প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেনের টেবিলে রাখা নেম প্লেট সামনে রেখে স্কুল ড্রেস ছাড়া সাদা পোশাকে প্রধান শিক্ষকের চেয়ারে বসে আছেন ছাত্র ইকরামুল। এসময় ওই কক্ষে আর কাউকে দেখা যায়নি। এ ছবি প্রথমে নিজের ফেইসবুকেই আপলোড করে ওই ছাত্র লিখেন- ‘আমাদের সু-সম্মানিত আলমগীর স্যার কোথায়।’ বৃহস্পতিবার রাত থেকে ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ ছবি ভাইরাল হয়ে পড়ে। সাদ্দাম হোসেন নামে এক ব্যক্তি এ ছবি পোস্ট করার পর শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ১৬৬ জন নেতিবাচক মন্তব্য করেন। কমেন্টে মঈন উদ্দিন নামের একজন লিখেছেন ‘শিক্ষা ব্যবস্থা শেষ করে গেছে হাসিনা সরকার, তার ফল এইগুলা।’ মুন্সী আজিম লিখেছেন ‘পিতা মাতার পরেই শিক্ষকের স্থান, শিক্ষককের সঙ্গে বেয়াদবি মানে দুনিয়া ও আখেরাত দুইটাই বরবাদ।’ আক্তার নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন ‘ফাইজলামির একটা লিমিট থাকা উচিত।’ পারভেজ লিখেছেন ‘স্বাধীন দেশের স্বাধীন ছাত্র।’ শাহ আলম ভূইয়া বাবু নামের একজন লিখেছেন ‘জীবনে আর এটা দেখার বাকি ছিল।’

বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার সকাল থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে প্রধান শিক্ষক মো. আলমগীর হোসনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে তার পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ ছিল- প্রধান শিক্ষক আওয়ামী লীগ করেন ও বিদ্যালয়ের অর্থে তিনি বিপুল পরিমান সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তাই তাকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে হবে। খবর পেয়ে প্রথমে দেবিদ্বার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং পরে দুপুরের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিদ্যালয়টির সভাপতি নিগার সুলতানা সেনাবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের সিদ্ধান্তে অনঢ় থাকে। পরে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেনাবাহিনীর সহায়তায় প্রধান শিক্ষক পদত্যাগ না করেই বিদ্যালয় ত্যাগ করেন।

জানতে চাইলে এ বিষয়ে ওই ছাত্র বলেন, সবায় অফিস কক্ষ ত্যাগ করার পর আবেগে চেয়ারে বসে ছবি তুলি, এটা আমার ঠিক হয়নি, সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমার এফবি থেকেও তা বাদ দিয়েছি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী আলমগীর হোসেন বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের বলেছি আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই, এ দলের সদস্য পদও নাই। দেবিদ্বারে নাকি আমার দুটি বাড়ি আছে, তাও তাদের প্রমান দিতে বলেছি, ওরা প্রমান দিতে পারেনি। তিনি আরও জানান, ওরা হয়তো কারও ইন্ধনে ভুল বুঝে আন্দোলনে নেমেছে। অভিযোগ তদন্তের আগেই পদত্যাগে বাধ্য করা দেশে এখন যেন একটি রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে দেবিদ্বার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নিগার সুলতানা বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে আমরা বিধিমোতাবেক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। কিন্তু প্রধান শিক্ষক অফিস থেকে বের হওয়ার পর তারই ছাত্র চেয়ারে বসে ফেসবুকে ছবি পোস্ট দেয়ার যে ক্ষমাহীন ধৃষ্টতা দেখিয়েছে এ বিষয়ে আমরা ব্যবস্থা নেব। এমন আচরণ মেনে নেয়া যায় না। কোন বিবেকবান ও সুস্থ ছাত্র এটা করতে পারে না।

back to top