গত জুলাই-আগস্টের গণহত্যাকারীদের বিচার আগামী বিজয় দিবসের আগেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আগামী বছর ১৬ ডিসেম্বর (বিজয় দিবস) গণহত্যাকারীদের শাস্তির রায়ের মাধ্যমে উদযাপন করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে আসিফ নজরুল বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার যে বিচারকাজ আমরা শুরু করেছি, আমরা আশা করছি সামনের বছর বিজয় দিবসের আগে এ বিচার অন্তত বিচারিক আদালতে সম্পন্ন হবে। আমরা আগামী বিজয় দিবস গণহত্যাকারীদের শাস্তির রায়ের মাধ্যমে সেলিব্রেশন করব।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শুধু একটা গণহত্যা বা একটা মানবতাবিরোধী অপরাধ হয় নাই। বিদায়ী সরকারের আমলে কমপক্ষে চারটা মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে। একটা হচ্ছে জুলাই-আগস্ট হত্যাকা-, একটা হচ্ছে বিডিআর হত্যাকা-, একটা হচ্ছে শাপলা হত্যাকা- আর ধারাবাহিকভাবে চলা গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকা-। আমাদের সরকার যতদিন আছে এই চারটা গণহত্যার বিচারের জন্য যত রকম প্রচেষ্টা দরকার তা আমরা অবশ্যই করব।’
গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ থেমে যাওয়ার প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল গণহত্যাকারীদের শাস্তির রায়ের মাধ্যমে আগামী বিজয় দিবস উদযাপন: আইন উপদেষ্টা
(১ম পৃষ্ঠার পর)
বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে কোনো ‘রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার আইন হয়নি’।
তিনি বলেন, ‘তারা সংবিধান সংশোধন করে বলেছিল রাজনৈতিক দলকেও শাস্তি দেয়া যাবে। তখন তারা আইনে কোনো বিধান আনে নাই। আমাদের এখান থেকেও যখন দাবি এসেছিল (রাজনৈতিক দলের শাস্তির) তখন আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব করেছিলাম। রাজনৈতিক দলকে শাস্তির ব্যাপারে আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের মিটিংয়ে অধিকাংশ উপদেষ্টা মতামত দিয়েছেন, তাহলে বিচারটা ডাইভার্ট হয়ে যাবে, তারা বলার সুযোগ পাবে এটা বিচারের উদ্দেশ্যে করা হয় নাই, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘তাছাড়া দল নিষিদ্ধ করার অন্যান্য আইনে অনেক বিধান রয়েছে; সন্ত্রাস দমন আইনে রয়েছে, নির্বাচনে আইনে রয়েছে, এমনকি স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টের মাধ্যমে করা সম্ভব। করতে চাইলে তো অনলাইনেই করা সম্ভব। তাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য যে আইন রয়েছে সেখানে নতুন করে এটা আনার দরকার নাই। তাই মতামতের ভিত্তিতে এটা বাদ দেয়া হয়েছে।’
বিডিআর বিদ্রোহের গ্রেপ্তারদের জামিনের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধার সৃষ্টি করা হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রসিকিউটরই ছিল না, প্রসিকিউটার সব পালিয়ে গিয়েছিল। দেয়া হয়েছে অল্প কিছুদিন আগে।’
বিগত সরকারে আমলে দায়ের হওয়া গায়েবি মামলায় আদালত থেকে পরোয়ানা জারি হলে ‘বিষয়টি দেখবেন’ বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘হাছান মাহমুদ-ওবায়দুল কাদেরের মতো বদমাইশরা কেনো পালিয়ে যেতে পেরেছেন সে প্রশ্ন করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে। অবশ্যই এটি আমাদের সরকারের একটি কালেক্টিভ ব্যার্থতা তবে এটি আইন মন্ত্রণালয়ের কাজ না।’
রোববার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টের গণহত্যাকারীদের বিচার আগামী বিজয় দিবসের আগেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আগামী বছর ১৬ ডিসেম্বর (বিজয় দিবস) গণহত্যাকারীদের শাস্তির রায়ের মাধ্যমে উদযাপন করা হবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ আয়োজিত ‘ঐক্য, সংস্কার ও নির্বাচন’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে আসিফ নজরুল বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার যে বিচারকাজ আমরা শুরু করেছি, আমরা আশা করছি সামনের বছর বিজয় দিবসের আগে এ বিচার অন্তত বিচারিক আদালতে সম্পন্ন হবে। আমরা আগামী বিজয় দিবস গণহত্যাকারীদের শাস্তির রায়ের মাধ্যমে সেলিব্রেশন করব।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শুধু একটা গণহত্যা বা একটা মানবতাবিরোধী অপরাধ হয় নাই। বিদায়ী সরকারের আমলে কমপক্ষে চারটা মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়েছে। একটা হচ্ছে জুলাই-আগস্ট হত্যাকা-, একটা হচ্ছে বিডিআর হত্যাকা-, একটা হচ্ছে শাপলা হত্যাকা- আর ধারাবাহিকভাবে চলা গুম ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকা-। আমাদের সরকার যতদিন আছে এই চারটা গণহত্যার বিচারের জন্য যত রকম প্রচেষ্টা দরকার তা আমরা অবশ্যই করব।’
গণহত্যার অভিযোগে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ থেমে যাওয়ার প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল গণহত্যাকারীদের শাস্তির রায়ের মাধ্যমে আগামী বিজয় দিবস উদযাপন: আইন উপদেষ্টা
(১ম পৃষ্ঠার পর)
বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে কোনো ‘রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করার আইন হয়নি’।
তিনি বলেন, ‘তারা সংবিধান সংশোধন করে বলেছিল রাজনৈতিক দলকেও শাস্তি দেয়া যাবে। তখন তারা আইনে কোনো বিধান আনে নাই। আমাদের এখান থেকেও যখন দাবি এসেছিল (রাজনৈতিক দলের শাস্তির) তখন আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব করেছিলাম। রাজনৈতিক দলকে শাস্তির ব্যাপারে আমাদের উপদেষ্টা পরিষদের মিটিংয়ে অধিকাংশ উপদেষ্টা মতামত দিয়েছেন, তাহলে বিচারটা ডাইভার্ট হয়ে যাবে, তারা বলার সুযোগ পাবে এটা বিচারের উদ্দেশ্যে করা হয় নাই, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে।’
আসিফ নজরুল বলেন, ‘তাছাড়া দল নিষিদ্ধ করার অন্যান্য আইনে অনেক বিধান রয়েছে; সন্ত্রাস দমন আইনে রয়েছে, নির্বাচনে আইনে রয়েছে, এমনকি স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টের মাধ্যমে করা সম্ভব। করতে চাইলে তো অনলাইনেই করা সম্ভব। তাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য যে আইন রয়েছে সেখানে নতুন করে এটা আনার দরকার নাই। তাই মতামতের ভিত্তিতে এটা বাদ দেয়া হয়েছে।’
বিডিআর বিদ্রোহের গ্রেপ্তারদের জামিনের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বাধার সৃষ্টি করা হয়নি মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রসিকিউটরই ছিল না, প্রসিকিউটার সব পালিয়ে গিয়েছিল। দেয়া হয়েছে অল্প কিছুদিন আগে।’
বিগত সরকারে আমলে দায়ের হওয়া গায়েবি মামলায় আদালত থেকে পরোয়ানা জারি হলে ‘বিষয়টি দেখবেন’ বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘হাছান মাহমুদ-ওবায়দুল কাদেরের মতো বদমাইশরা কেনো পালিয়ে যেতে পেরেছেন সে প্রশ্ন করবেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কাছে। অবশ্যই এটি আমাদের সরকারের একটি কালেক্টিভ ব্যার্থতা তবে এটি আইন মন্ত্রণালয়ের কাজ না।’