চতুর্থ দিনেও গাজীপুর মহানগরের জিরানি বাজার এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে ডোরিন গার্মেন্টস ও বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পুরো সড়কই অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মহাসড়কের এক পাশ দিয়ে যান চলাচল শুরু হয় রাত ৯টার দিক থেকে।
আন্দোলনের কারণে গত চারদিন ধরে এই সড়ক বন্ধ থাকায় বিকল্প পথে টাঙ্গাইল, গাজীপুরের যানবাহনকে চলাচল করতে হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই মহাসড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীরা। পণ্যবাহী যানগুলোকেও বেশি সময় পথেই কাটাতে হয়েছে। চন্দ্রা এলাকার দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজট ছিল।
বিনা নোটিশে ডোরিন গার্মেন্টস বন্ধ ও বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের একমাসের বেতন ও বার্ষিক ছুটির টাকা না দেয়ায় সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা।
যদিও আন্দোলনের শুরু থেকেই মালিক পক্ষ বারবার বলে আসছেন চলতি মাসের ২০ তারিখে বেতন দিবেন। কিন্তু শ্রমিকরা বলেছেন এর আগেও আন্দোলন করে বেতন আদায় করতে হয়েছে। তাই বেতনের টাকা হাতে না পেয়ে তারা সড়ক ছাড়বে না। গত সোমবারও তারা রাত ১১টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে।
সড়ক অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার দায়ে গত সোমবার রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বেক্সিমকোর ২৩ জন শ্রমিককে আটক করে কাশিমপুর থানায় হস্তান্তর করে যৌথবাহিনী।
কাশিমপুর থানার পরিদশক (তদন্ত) মহিউদ্দিন সংবাদকে বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকরা টানা ৪ দিন ধরে তাদের গেল মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা সড়কে বিক্ষোভ করছে। মঙ্গলবার থেকে ডরিন ফ্যাশন নামক কারখানার শ্রমিকরা তাদের কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
বেক্সিমকো গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাশন) আবদুল লতিফ জানান, আমরা একটা ব্যাংক লোনের চেষ্টা করছি। বর্তমানে আমাদের এলসি বন্ধ। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে শ্রমিকদের গত মাসের বকেয়া পরিশোধ করার। কিন্ত শ্রমিকরা তা না মেনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নবীনগর-চন্দ্রা সড়কের এক পাশ দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে শ্রমিকদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতি ও সংবাদ সম্মেলন করে তারা। গাজীপুর সদর উপজেলায় ফু-ওয়াং ফুডস কারখানার মালিকপক্ষের দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সম্প্রতি মালিকপক্ষ সাত শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। শ্রমিকদের দাবি, সব মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
এর আগে গত সোমবার গাজীপুরে শিল্পকারখানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কসহ বিভিন্ন কারখানার ২৩ শ্রমিককে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করার পর মঙ্গলবার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত রাত ৯টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) রিয়াজ উদ্দিন সংবাদকে জানান, আন্দোলনে তো হাজার হাজার লোক ছিল। আমরা যাচাই বাছাই করেছি। শ্রমিকরা আর বিশৃঙ্খলায় জড়াবে না-এমন নিশ্চয়তা দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪
চতুর্থ দিনেও গাজীপুর মহানগরের জিরানি বাজার এলাকায় নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে ডোরিন গার্মেন্টস ও বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকেরা।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পুরো সড়কই অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মহাসড়কের এক পাশ দিয়ে যান চলাচল শুরু হয় রাত ৯টার দিক থেকে।
আন্দোলনের কারণে গত চারদিন ধরে এই সড়ক বন্ধ থাকায় বিকল্প পথে টাঙ্গাইল, গাজীপুরের যানবাহনকে চলাচল করতে হয়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই মহাসড়ক ব্যবহারকারী যাত্রীরা। পণ্যবাহী যানগুলোকেও বেশি সময় পথেই কাটাতে হয়েছে। চন্দ্রা এলাকার দুই পাশে প্রায় ১০ কিলোমিটার যানজট ছিল।
বিনা নোটিশে ডোরিন গার্মেন্টস বন্ধ ও বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের একমাসের বেতন ও বার্ষিক ছুটির টাকা না দেয়ায় সড়ক অবরোধ করে শ্রমিকরা।
যদিও আন্দোলনের শুরু থেকেই মালিক পক্ষ বারবার বলে আসছেন চলতি মাসের ২০ তারিখে বেতন দিবেন। কিন্তু শ্রমিকরা বলেছেন এর আগেও আন্দোলন করে বেতন আদায় করতে হয়েছে। তাই বেতনের টাকা হাতে না পেয়ে তারা সড়ক ছাড়বে না। গত সোমবারও তারা রাত ১১টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে।
সড়ক অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার দায়ে গত সোমবার রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে বেক্সিমকোর ২৩ জন শ্রমিককে আটক করে কাশিমপুর থানায় হস্তান্তর করে যৌথবাহিনী।
কাশিমপুর থানার পরিদশক (তদন্ত) মহিউদ্দিন সংবাদকে বলেন, বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকরা টানা ৪ দিন ধরে তাদের গেল মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা সড়কে বিক্ষোভ করছে। মঙ্গলবার থেকে ডরিন ফ্যাশন নামক কারখানার শ্রমিকরা তাদের কারখানা খুলে দেয়ার দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে।
বেক্সিমকো গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (প্রশাশন) আবদুল লতিফ জানান, আমরা একটা ব্যাংক লোনের চেষ্টা করছি। বর্তমানে আমাদের এলসি বন্ধ। তারপরেও আমরা চেষ্টা করছি আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে শ্রমিকদের গত মাসের বকেয়া পরিশোধ করার। কিন্ত শ্রমিকরা তা না মেনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নবীনগর-চন্দ্রা সড়কের এক পাশ দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে শ্রমিকদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতি ও সংবাদ সম্মেলন করে তারা। গাজীপুর সদর উপজেলায় ফু-ওয়াং ফুডস কারখানার মালিকপক্ষের দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সম্প্রতি মালিকপক্ষ সাত শ্রমিকের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৫০/৬০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। শ্রমিকদের দাবি, সব মামলা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
এর আগে গত সোমবার গাজীপুরে শিল্পকারখানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কসহ বিভিন্ন কারখানার ২৩ শ্রমিককে আটক করেছে যৌথ বাহিনী। গাজীপুর মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটক করার পর মঙ্গলবার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত রাত ৯টার দিকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) রিয়াজ উদ্দিন সংবাদকে জানান, আন্দোলনে তো হাজার হাজার লোক ছিল। আমরা যাচাই বাছাই করেছি। শ্রমিকরা আর বিশৃঙ্খলায় জড়াবে না-এমন নিশ্চয়তা দিলে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।