alt

জাতীয়

গোপালগঞ্জে প্রশাসন চাইলে রক্তপাত এড়ানো যেত: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’।

রোববার (২০ জুলাই) এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, প্রশাসন চাইলে এই অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘর্ষ ও রক্তপাত অবশ্যই এড়ানো সম্ভব ছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, সহিংসতা দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে কি না, সেটি তদন্তের মাধ্যমে স্পষ্ট হওয়া জরুরি।

নেটওয়ার্কের মতে, যেকোনো বৈধ রাজনৈতিক দলের দেশের যেকোনো জেলায় সভা-সমাবেশ করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সরকারের দায়িত্ব এসব কর্মসূচির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত না হওয়া।

শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে প্রশাসন নিরাপত্তা তো দেয়ইনি, বরং গোয়েন্দা সংস্থার ভুল তথ্য এবং দুর্বল ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণকারীদের আক্রমণের মুখে ফেলেছে।

তারা আরও বলেছে, গোপালগঞ্জ ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। জুলাই অভ্যুত্থানের পরও এ বাস্তবতা পাল্টায়নি। শেখ হাসিনার পতনের পর এই জেলাতেই সেনাবাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরকম প্রেক্ষাপটে যৌথবাহিনীর আরও প্রস্তুত ও সক্রিয় থাকার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তারা সহিংসতা শুরু হওয়ার পর গুলিবর্ষণ করেছে, যা দায়িত্বহীনতা এবং প্রতিরোধের ঘাটতির প্রমাণ।

নেটওয়ার্ক অভিযোগ করেছে, এনসিপির কোনো কোনো নেতার ফেসবুক পোস্ট পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। পাশাপাশি ‘জুলাই পদযাত্রা’ কীভাবে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’-এ রূপ নিল, সেটি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

আটক ব্যক্তিকে বুট দিয়ে আঘাত করা, নিহতদের ময়নাতদন্ত না করা—এসব ঘটনাকে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের নজির এবং রাষ্ট্রীয় সহিংসতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বিচার গুলি, বলপ্রয়োগ ও প্রাণহানির ঘটনা দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও নাগরিক নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।

শিক্ষক নেটওয়ার্ক আহতদের চিকিৎসা, নিহত ও আহতদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ, আইনি সহায়তা এবং সত্য উদ্‌ঘাটনের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে হামলার পেছনে দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচার নিশ্চিত করা এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কারও গাফিলতি থাকলে তার জবাবদিহির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, নাগরিকদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র প্রয়োগের দায়ীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় শাস্তি দিতে হবে।

ছবি

মাইলস্টোন স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত: নিহত বেড়ে ২৭, চিকিৎসাধীন ৭৮ জন

ছবি

মঙ্গলবারের এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় শোক, রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শোক প্রকাশ

চিকিৎসা ও ডায়াগনস্টিক পরীক্ষায় এআই চালুর উদ্যোগ

পীরগাছায় গৃহবধূকে ধর্ষণ, মামলা দায়ের

চৌদ্দ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি শিশু ধর্ষণচেষ্টার প্রধান আসামি

ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়ন নিয়ে রিজভীর প্রশ্ন

ছবি

টানা বৃষ্টিতে প্লাবিত শার্শার ঠেঙামারী ও আওয়ালী বিল

চরম আবহাওয়ায় রেকর্ড খাদ্যমূল্য বৃদ্ধি, বিশ্বজুড়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে: গবেষণা

ছবি

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত ৩ জনের লাশ উত্তোলন

এক বছর আগে বিয়ে করেছিলেন পাইলট তৌকির

ছবি

দুর্ঘটনাস্থল থেকে হাসপাতাল সর্বত্রই স্বজনদের আহাজারি

নিহত অন্তত ২০

‘যান্ত্রিক ত্রুটিতে’ বিধ্বস্ত উড়োজাহাজ, জনবিরল এলাকায় নেয়ার ‘চেষ্টা করেন’ বৈমানিক: আইএসপিআর

ছবি

দুই হাসপাতালে একের পর এক আসছিল অ্যাম্বুলেন্স

ছবি

বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় নরেন্দ্র মোদির শোক

ছবি

সংস্কার প্রশ্নে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে বাকি আর ১০ দিন, আলী রীয়াজের তাগাদা

ছবি

উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত, নিহত অন্তত ১

ছবি

‘বিতর্কিত’ তিন নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের তথ্য নিচ্ছে ইসি

হাসিনা ঘনিষ্ঠরা যুক্তরাজ্যে সম্পদ বিক্রি করার খবর, তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেবে দুদক

ছবি

৪৮তম বিসিএসের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫২০৬

ছবি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে ঐকমত্যের পথে রাজনৈতিক দলগুলো, সমন্বিত প্রস্তাবে যা আছে

হাতিরঝিলে চক্রাকার বাস সার্ভিসে র‌্যাপিড পাস চালু

ছবি

বান্দরবানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা: পার্বত্যাঞ্চলে পরিপূর্ণ শান্তি ফেরাতে বর্তমান সরকার গুরুত্বসহকারে দেখছে

পটিয়ায় গৃহবধূর আত্মহত্যা: পরিবারের দাবি নির্যাতনে মৃত্যু

কদমতলীতে মা ও মেয়ে খুন : দুইজনের মৃত্যুদণ্ড

ছবি

জাফলংয়ের পিয়াইন নদীতে চাঁদাবাজদের দৌরাত্ম্য

ছবি

কৃষি: আবহাওয়ার সঠিক পূর্বাভাস বদলে দিচ্ছে কৃষকের জীবন

ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন ২০২৫: তফসিল ঘোষণা ২৯ জুলাই

ডিমলায় মধ্যযুগীয় কায়দায় গাছে উল্টো করে বেঁধে যুবককে নির্যাতন

বিএমইউতে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় রেডিওথেরাপির দ্বিতীয় শিফট চালু

ছবি

সেনাবাহিনীতে পদোন্নতিতে পেশাগত দক্ষতার ওপর জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা

নিবন্ধনে তথ্য ঘাটতি: দ্বিতীয় ধাপে এনসিপিসহ ৮২ দলকে চিঠি দিচ্ছে ইসি

ছবি

দিন দিন রেলপথে আমদানি কমছে বেনাপোলে

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ‘অনেক উন্নত’, ভোটে সমস্যা ‘হবে না’: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

এসএসসির ভুয়া প্রশ্ন সরবরাহের ১৭টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্ট শনাক্ত : সিআইডি

tab

জাতীয়

গোপালগঞ্জে প্রশাসন চাইলে রক্তপাত এড়ানো যেত: বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’।

রোববার (২০ জুলাই) এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, প্রশাসন চাইলে এই অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘর্ষ ও রক্তপাত অবশ্যই এড়ানো সম্ভব ছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, সহিংসতা দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে কি না, সেটি তদন্তের মাধ্যমে স্পষ্ট হওয়া জরুরি।

নেটওয়ার্কের মতে, যেকোনো বৈধ রাজনৈতিক দলের দেশের যেকোনো জেলায় সভা-সমাবেশ করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সরকারের দায়িত্ব এসব কর্মসূচির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত না হওয়া।

শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে প্রশাসন নিরাপত্তা তো দেয়ইনি, বরং গোয়েন্দা সংস্থার ভুল তথ্য এবং দুর্বল ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণকারীদের আক্রমণের মুখে ফেলেছে।

তারা আরও বলেছে, গোপালগঞ্জ ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। জুলাই অভ্যুত্থানের পরও এ বাস্তবতা পাল্টায়নি। শেখ হাসিনার পতনের পর এই জেলাতেই সেনাবাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরকম প্রেক্ষাপটে যৌথবাহিনীর আরও প্রস্তুত ও সক্রিয় থাকার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তারা সহিংসতা শুরু হওয়ার পর গুলিবর্ষণ করেছে, যা দায়িত্বহীনতা এবং প্রতিরোধের ঘাটতির প্রমাণ।

নেটওয়ার্ক অভিযোগ করেছে, এনসিপির কোনো কোনো নেতার ফেসবুক পোস্ট পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। পাশাপাশি ‘জুলাই পদযাত্রা’ কীভাবে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’-এ রূপ নিল, সেটি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।

আটক ব্যক্তিকে বুট দিয়ে আঘাত করা, নিহতদের ময়নাতদন্ত না করা—এসব ঘটনাকে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের নজির এবং রাষ্ট্রীয় সহিংসতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বিচার গুলি, বলপ্রয়োগ ও প্রাণহানির ঘটনা দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও নাগরিক নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।

শিক্ষক নেটওয়ার্ক আহতদের চিকিৎসা, নিহত ও আহতদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ, আইনি সহায়তা এবং সত্য উদ্‌ঘাটনের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে হামলার পেছনে দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচার নিশ্চিত করা এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কারও গাফিলতি থাকলে তার জবাবদিহির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, নাগরিকদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র প্রয়োগের দায়ীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় শাস্তি দিতে হবে।

back to top