গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’।
রোববার (২০ জুলাই) এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, প্রশাসন চাইলে এই অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘর্ষ ও রক্তপাত অবশ্যই এড়ানো সম্ভব ছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, সহিংসতা দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে কি না, সেটি তদন্তের মাধ্যমে স্পষ্ট হওয়া জরুরি।
নেটওয়ার্কের মতে, যেকোনো বৈধ রাজনৈতিক দলের দেশের যেকোনো জেলায় সভা-সমাবেশ করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সরকারের দায়িত্ব এসব কর্মসূচির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত না হওয়া।
শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে প্রশাসন নিরাপত্তা তো দেয়ইনি, বরং গোয়েন্দা সংস্থার ভুল তথ্য এবং দুর্বল ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণকারীদের আক্রমণের মুখে ফেলেছে।
তারা আরও বলেছে, গোপালগঞ্জ ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। জুলাই অভ্যুত্থানের পরও এ বাস্তবতা পাল্টায়নি। শেখ হাসিনার পতনের পর এই জেলাতেই সেনাবাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরকম প্রেক্ষাপটে যৌথবাহিনীর আরও প্রস্তুত ও সক্রিয় থাকার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তারা সহিংসতা শুরু হওয়ার পর গুলিবর্ষণ করেছে, যা দায়িত্বহীনতা এবং প্রতিরোধের ঘাটতির প্রমাণ।
নেটওয়ার্ক অভিযোগ করেছে, এনসিপির কোনো কোনো নেতার ফেসবুক পোস্ট পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। পাশাপাশি ‘জুলাই পদযাত্রা’ কীভাবে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’-এ রূপ নিল, সেটি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
আটক ব্যক্তিকে বুট দিয়ে আঘাত করা, নিহতদের ময়নাতদন্ত না করা—এসব ঘটনাকে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের নজির এবং রাষ্ট্রীয় সহিংসতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বিচার গুলি, বলপ্রয়োগ ও প্রাণহানির ঘটনা দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও নাগরিক নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।
শিক্ষক নেটওয়ার্ক আহতদের চিকিৎসা, নিহত ও আহতদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ, আইনি সহায়তা এবং সত্য উদ্ঘাটনের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে হামলার পেছনে দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচার নিশ্চিত করা এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কারও গাফিলতি থাকলে তার জবাবদিহির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, নাগরিকদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র প্রয়োগের দায়ীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় শাস্তি দিতে হবে।
সোমবার, ২১ জুলাই ২০২৫
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কর্মসূচিতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা, সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও নিন্দা জানিয়েছে ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’।
রোববার (২০ জুলাই) এক বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, প্রশাসন চাইলে এই অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘর্ষ ও রক্তপাত অবশ্যই এড়ানো সম্ভব ছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, সহিংসতা দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ করেছে কি না, সেটি তদন্তের মাধ্যমে স্পষ্ট হওয়া জরুরি।
নেটওয়ার্কের মতে, যেকোনো বৈধ রাজনৈতিক দলের দেশের যেকোনো জেলায় সভা-সমাবেশ করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। সরকারের দায়িত্ব এসব কর্মসূচির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জননিরাপত্তা বিঘ্নিত না হওয়া।
শিক্ষক নেটওয়ার্ক বলেছে, গোপালগঞ্জে এনসিপির সমাবেশে প্রশাসন নিরাপত্তা তো দেয়ইনি, বরং গোয়েন্দা সংস্থার ভুল তথ্য এবং দুর্বল ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণকারীদের আক্রমণের মুখে ফেলেছে।
তারা আরও বলেছে, গোপালগঞ্জ ঐতিহাসিকভাবে আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। জুলাই অভ্যুত্থানের পরও এ বাস্তবতা পাল্টায়নি। শেখ হাসিনার পতনের পর এই জেলাতেই সেনাবাহিনীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এরকম প্রেক্ষাপটে যৌথবাহিনীর আরও প্রস্তুত ও সক্রিয় থাকার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু তারা সহিংসতা শুরু হওয়ার পর গুলিবর্ষণ করেছে, যা দায়িত্বহীনতা এবং প্রতিরোধের ঘাটতির প্রমাণ।
নেটওয়ার্ক অভিযোগ করেছে, এনসিপির কোনো কোনো নেতার ফেসবুক পোস্ট পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করেছে। পাশাপাশি ‘জুলাই পদযাত্রা’ কীভাবে ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’-এ রূপ নিল, সেটি নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
আটক ব্যক্তিকে বুট দিয়ে আঘাত করা, নিহতদের ময়নাতদন্ত না করা—এসব ঘটনাকে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের নজির এবং রাষ্ট্রীয় সহিংসতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বিচার গুলি, বলপ্রয়োগ ও প্রাণহানির ঘটনা দেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও নাগরিক নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।
শিক্ষক নেটওয়ার্ক আহতদের চিকিৎসা, নিহত ও আহতদের পরিবারের ক্ষতিপূরণ, আইনি সহায়তা এবং সত্য উদ্ঘাটনের সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে হামলার পেছনে দায়ীদের চিহ্নিত করে বিচার নিশ্চিত করা এবং নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কারও গাফিলতি থাকলে তার জবাবদিহির ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে। তারা বলেছে, নাগরিকদের ওপর প্রাণঘাতী অস্ত্র প্রয়োগের দায়ীদের শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় শাস্তি দিতে হবে।