সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ের ভেতরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে আন্দোলন-বিক্ষোভে নেমেছেন, সে বিষয়ে আলোচনা করে কোনো একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সরকার ‘প্রয়োজন মনে করেছে’ বলেই ফের এই আইনটি সংশোধন করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে জারি করার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে বৃহস্পতিবার। এখন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আনুষ্ঠানিকতা সারা হলেই তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে।
নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সহজেই শাস্তি, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে।
এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ের মধ্যে রোববার সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল ৯টা থেকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়ো হতে থাকেন। এক এক পর্যায়ে মিছিল নিয়ে তারা সচিবালয়ের ভেতরেও ঘুরে আসেন। এমনকি শনিবার বিশেষ কর্মদিবসেও বিক্ষোভ করেছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এর প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “নির্বাচনকে ম্যানুপুলেট করার জন্য ২০১৮ সালে সরকারি কর্মচারী আইনকে সংশোধন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এখন সরকার প্রয়োজন মনে করছে বলে পুনরায় এই আইনের সংশোধন করছে। তবে, কর্মচারীদের এই বিষয়ে কিছু বলার থাকলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
মাঝে দুপুরে নামাজের জন্য মিছিল থামানো হলেও পরে বিভিন্ন দপ্তরে জটলা করেছেন কর্মচারীরা।
এরপর আড়াইটার দিকে গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতা বাদিউল কবীর, নিজাম উদ্দিন আহমেদ মো. নূরুল ইসলাম ও মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ একটি দল। এ সময় সেখানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও ছিলেন।
কর্মচারী ইউনিয়ন নেতা বাদিউল কবীর বলেন, “নিবর্তনমূলক অধ্যাদেশে মানবাধিকার পরিপন্থি ধারা সংযুক্ত করা হচ্ছে। উপদেষ্টাগণ আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা তবুও আন্দোলন চালিয়ে যাব, শান্তিপূর্ণভাবে।”
আন্দোলনকারীদের কয়েকজন বলছেন, সংশোধিত আইনে কর্মচারীদের ‘অধিকার খর্ব করা হবে’। তারা বলছেন, এই আইনে সরকার চাইলে যে কোনো শাস্তি দিতে পারবে, বদলি করতে পারবে। ২০তম গ্রেড থেকে শুরু করে প্রথম শ্রেণির পর্যন্ত সব কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য। তবে ননক্যাডার কর্মচারীরা ‘বেশি ভুক্তভোগী হবে’ বলে শঙ্কা তাদের।
সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ের ভেতরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যে আন্দোলন-বিক্ষোভে নেমেছেন, সে বিষয়ে আলোচনা করে কোনো একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, সরকার ‘প্রয়োজন মনে করেছে’ বলেই ফের এই আইনটি সংশোধন করা হয়েছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সরকারি চাকরি আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ আকারে জারি করার প্রস্তাবে সায় দিয়েছে বৃহস্পতিবার। এখন রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের আনুষ্ঠানিকতা সারা হলেই তা অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হবে।
নতুন অধ্যাদেশের মাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে সহজেই শাস্তি, এমনকি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে।
এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে সচিবালয়ের মধ্যে রোববার সকালে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন আন্দোলনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সকাল ৯টা থেকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়ো হতে থাকেন। এক এক পর্যায়ে মিছিল নিয়ে তারা সচিবালয়ের ভেতরেও ঘুরে আসেন। এমনকি শনিবার বিশেষ কর্মদিবসেও বিক্ষোভ করেছিলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এর প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, “নির্বাচনকে ম্যানুপুলেট করার জন্য ২০১৮ সালে সরকারি কর্মচারী আইনকে সংশোধন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। এখন সরকার প্রয়োজন মনে করছে বলে পুনরায় এই আইনের সংশোধন করছে। তবে, কর্মচারীদের এই বিষয়ে কিছু বলার থাকলে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
মাঝে দুপুরে নামাজের জন্য মিছিল থামানো হলেও পরে বিভিন্ন দপ্তরে জটলা করেছেন কর্মচারীরা।
এরপর আড়াইটার দিকে গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের সঙ্গে বৈঠক করেন সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের নেতা বাদিউল কবীর, নিজাম উদ্দিন আহমেদ মো. নূরুল ইসলাম ও মো. মুজাহিদুল ইসলামসহ একটি দল। এ সময় সেখানে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনও ছিলেন।
কর্মচারী ইউনিয়ন নেতা বাদিউল কবীর বলেন, “নিবর্তনমূলক অধ্যাদেশে মানবাধিকার পরিপন্থি ধারা সংযুক্ত করা হচ্ছে। উপদেষ্টাগণ আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা তবুও আন্দোলন চালিয়ে যাব, শান্তিপূর্ণভাবে।”
আন্দোলনকারীদের কয়েকজন বলছেন, সংশোধিত আইনে কর্মচারীদের ‘অধিকার খর্ব করা হবে’। তারা বলছেন, এই আইনে সরকার চাইলে যে কোনো শাস্তি দিতে পারবে, বদলি করতে পারবে। ২০তম গ্রেড থেকে শুরু করে প্রথম শ্রেণির পর্যন্ত সব কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এই আইন প্রযোজ্য। তবে ননক্যাডার কর্মচারীরা ‘বেশি ভুক্তভোগী হবে’ বলে শঙ্কা তাদের।