জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুরুতর আহতদের জন্য ঢাকায় দেড় হাজারের বেশি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা, যা সম্পূর্ণ সরকারি কোষাগার থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে। মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনের সরকারি জমিতে এসব ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ।
আহত ব্যক্তিদের জন্য প্রস্তুতকৃত নকশায় প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ১,২৫০ বর্গফুট। থাকছে দুটি শয়নকক্ষ, একটি ড্রয়িংরুম, একটি লিভিং রুম, একটি খাবার ঘর, রান্নাঘর এবং তিনটি টয়লেট। বিশেষভাবে একটি কক্ষ রাখা হবে পঙ্গু বা দৃষ্টিশক্তি হারানো ব্যক্তির জন্য, যেখানে থাকবে বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন ব্যবস্থা।
এর আগে শহীদ পরিবারের জন্য ৮০৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণে ৭৬২ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যার প্রতিটি ফ্ল্যাট হবে ১,৩৫৫ বর্গফুট। এই ফ্ল্যাটগুলো নির্মিত হবে মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনে।
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নুরুল বাসির বলেন, “আমাদের অগ্রাধিকার অবকাঠামো নির্মাণ। ভবন নির্মাণে চার বছর লাগবে। কে ফ্ল্যাট পাবেন, তা পরে জুলাই অধিদপ্তর, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয় বসে নির্ধারণ করবে।”
৭ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হয় এবং প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় অনুমোদনের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। জুলাই শহীদ ও আহতদের জন্য নেওয়া দুটি প্রকল্পই একনেক সভায় এই মাসেই অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকল্প দুটি শেষ হবে ২০২৯ সালে।
তবে প্রকল্প জমি নিয়ে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। নির্ধারিত জমি নিচু হওয়ায় ভরাটে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এছাড়া প্রকল্প নেওয়ার আগে সমীক্ষা না করায় কিছু জটিলতা তৈরি হতে পারে।
সরকারি হিসেবে, জুলাই আন্দোলনে ৪৯৩ জনকে ‘অতি গুরুতর আহত’ এবং ৯০৮ জনকে ‘গুরুতর আহত’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহীদ ঘোষণা পেয়েছেন ৮৩৪ জন। সরকার ইতিমধ্যে তাঁদের পরিবারকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে এককালীন অনুদান ও মাসিক ভাতা দিচ্ছে। এবার স্থায়ী আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলো।
আহতদের মধ্যে ১৯ জন পুরোপুরি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন এবং এক চোখ হারিয়েছেন ৩৮২ জন। অনেকে হাত-পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এসব বিষয় মাথায় রেখেই বিশেষায়িত ফ্ল্যাট ডিজাইন করা হচ্ছে, যাতে তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল ও বসবাস করতে পারেন। প্রকল্প এলাকায় মোট ১৫টি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুরুতর আহতদের জন্য ঢাকায় দেড় হাজারের বেশি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা, যা সম্পূর্ণ সরকারি কোষাগার থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে। মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনের সরকারি জমিতে এসব ফ্ল্যাট নির্মাণ করবে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ।
আহত ব্যক্তিদের জন্য প্রস্তুতকৃত নকশায় প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন হবে ১,২৫০ বর্গফুট। থাকছে দুটি শয়নকক্ষ, একটি ড্রয়িংরুম, একটি লিভিং রুম, একটি খাবার ঘর, রান্নাঘর এবং তিনটি টয়লেট। বিশেষভাবে একটি কক্ষ রাখা হবে পঙ্গু বা দৃষ্টিশক্তি হারানো ব্যক্তির জন্য, যেখানে থাকবে বিশেষ সুবিধাসম্পন্ন ব্যবস্থা।
এর আগে শহীদ পরিবারের জন্য ৮০৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণে ৭৬২ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, যার প্রতিটি ফ্ল্যাট হবে ১,৩৫৫ বর্গফুট। এই ফ্ল্যাটগুলো নির্মিত হবে মিরপুর ১৪ নম্বর সেকশনে।
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. নুরুল বাসির বলেন, “আমাদের অগ্রাধিকার অবকাঠামো নির্মাণ। ভবন নির্মাণে চার বছর লাগবে। কে ফ্ল্যাট পাবেন, তা পরে জুলাই অধিদপ্তর, গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ ও মন্ত্রণালয় বসে নির্ধারণ করবে।”
৭ জুলাই পরিকল্পনা কমিশনে প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হয় এবং প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় অনুমোদনের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়। জুলাই শহীদ ও আহতদের জন্য নেওয়া দুটি প্রকল্পই একনেক সভায় এই মাসেই অনুমোদনের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রকল্প দুটি শেষ হবে ২০২৯ সালে।
তবে প্রকল্প জমি নিয়ে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। নির্ধারিত জমি নিচু হওয়ায় ভরাটে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয় হবে। এছাড়া প্রকল্প নেওয়ার আগে সমীক্ষা না করায় কিছু জটিলতা তৈরি হতে পারে।
সরকারি হিসেবে, জুলাই আন্দোলনে ৪৯৩ জনকে ‘অতি গুরুতর আহত’ এবং ৯০৮ জনকে ‘গুরুতর আহত’ ঘোষণা করা হয়েছে। শহীদ ঘোষণা পেয়েছেন ৮৩৪ জন। সরকার ইতিমধ্যে তাঁদের পরিবারকে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে এককালীন অনুদান ও মাসিক ভাতা দিচ্ছে। এবার স্থায়ী আবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলো।
আহতদের মধ্যে ১৯ জন পুরোপুরি দৃষ্টিশক্তি হারিয়েছেন এবং এক চোখ হারিয়েছেন ৩৮২ জন। অনেকে হাত-পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। এসব বিষয় মাথায় রেখেই বিশেষায়িত ফ্ল্যাট ডিজাইন করা হচ্ছে, যাতে তাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল ও বসবাস করতে পারেন। প্রকল্প এলাকায় মোট ১৫টি বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে।