চলতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্দেশ্যে নেওয়া উদ্যোগের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে চূড়ান্ত করা হচ্ছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’। নির্বাচন-পরবর্তী সরকারের প্রথম দুই বছরে এই সংস্কার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে সনদের খসড়ায়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, এই খসড়া সোমবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হয়েছে। সনদে যেসব প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য হবে, সেগুলোর বাস্তবায়ন দুই বছরের মধ্যে শেষ করার প্রতিশ্রুতি থাকবে দলগুলোর পক্ষ থেকে।
সাতটি মূল বিষয়ের ভিত্তিতে গঠিত খসড়ায় রয়েছে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অঙ্গীকার, যার সঙ্গে একমত হলে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, কমিশনের সদস্য ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সই করবেন।
পটভূমিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান এবং শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সংগঠিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তৈরি হয় রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠনের ঐতিহাসিক সুযোগ। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গণতন্ত্র, সুশাসন, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাই হচ্ছে জুলাই সনদের উদ্দেশ্য।
অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমনব্যবস্থা সংস্কারে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন ও প্রণয়ন করা হবে। আর এসব প্রক্রিয়া জাতীয় নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে সংশ্লিষ্ট দলগুলো।
এদিকে সনদের খসড়ায় ২০২৫ সালের মধ্যে আইনি ও সাংবিধানিক সংস্কার সম্পন্ন করে তা সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত করার কথা বলা হয়েছে।
সনদের আলোচনায় অংশ নেওয়া ৩৫টি দলের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। যে ১২ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে––
১. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন: অর্থ বিল ও আস্থা ভোট ছাড়া অন্য যে কোনো বিষয়ে সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন।
২. সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্ব: সরকারি হিসাব, অনুমিত হিসাব, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি—এই চারটিসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ সংসদে আসনের সংখ্যানুপাতে বিরোধী দলের মধ্য থেকে দেওয়া হবে। অর্থাৎ বিরোধী দলগুলো সংসদে যে কটি আসন পাবে, তার অনুপাতে সংসদীয় কমিটির সভাপতি পদ পাবে।
৩. নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ: প্রতি আদমশুমারির অনধিক ১০ বছর পরে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি করা হবে।
আশু ব্যবস্থা হিসেবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় যথাযথ দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে বিশেষায়িত কমিটি গঠন করার বিষয়ে একমত হয়েছে দলগুলো। এ ক্ষেত্রে যদি কমিটি গঠন হয়ে থাকে তাহলে তা পরিবর্তন করে সেই কমিটিকে দিয়ে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করা হবে।
৪. রাষ্ট্রপতির ক্ষমা: এ সম্পর্কিত সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হবে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রদর্শনের আবেদন পাঠানোর আগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মতামত নেওয়ার বিধান যুক্ত করা হবে।
৫. বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ: সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে প্রতিটি বিভাগে হাই কোর্টের এক বা একাধিক বেঞ্চ গঠনের সুযোগ তৈরি করা হবে।
৬. পর্যায়ক্রমে উপজেলা পর্যায়ে নিম্ন আদালত স্থানান্তর করা হবে। এক্ষেত্রে ছয়টি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হবে।
৭. জরুরি অবস্থা জারি: রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা জারি করলে তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিরোধী দলীয় নেতা বা তার অনুপস্থিতিতে উপনেতা মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নেবেন।কোন অবস্থায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা যাবে, তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। জরুরি অবস্থার মধ্যেও কিছু মৌলিক অধিকার স্থগিত করা যাবে না।
৮. প্রধান বিচারপতি নিয়োগ: আপিল বিভাগের কর্মে জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। তবে কোনো দল যদি নির্বাচনি ইশতেহারে যুক্ত করে যে জ্যেষ্ঠতম দুজনের মধ্য থেকে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে, তারা ক্ষমতায় গেলে সে অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন করতে পারবে।
৯. নির্বাচন কমিশন গঠন: প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের মনোনয়নের জন্য একটি বাছাই কমিটি হবে, যার নেতৃত্বে থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার। কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত), প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা এবং প্রধান বিচারপতির প্রতিনিধি হিসেবে আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। কমিটি বিদায়ী কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে প্রার্থী অনুসন্ধান শুরু করবে। যোগ্যতা-অযোগ্যতা, প্রার্থী আহ্বান ও অনুসন্ধান পদ্ধতি নির্ধারিত হবে সংসদে প্রণীত আইনের মাধ্যমে।
১০. প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকা: একই ব্যক্তি একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান থাকতে পারবেন না, এমন বিধান করার বিষয়ে তিন–চতুর্থাংশ দল একমত হয়েছে। বিএনপিসহ যারা একমত হয়নি তারা জাতীয় সনদে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিতে পারবে।
১১. প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার সীমা: একজন ব্যক্তি তার সমগ্র জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন।
১২. স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন: নয় সদস্য বিশিষ্ট কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, যার বয়স ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে হবে না। অতিরিক্ত পুলিশ মহা-পরিদর্শকের নিচে এবং ৬২ বছরের ঊর্ধ্বে নয় এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা হবেন কমিশনের সদস্য সচিব।
আলী রীয়াজ বলেছেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সমাপ্ত হবে বলে তিনি আশা করছেন। সংলাপে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাবে, সেগুলো নিয়ে ‘জুলাই সনদ’ বা ‘জাতীয় সনদ’ চূড়ান্ত করা হবে।
জুলাই সনদের খসড়া:
মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫
চলতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্দেশ্যে নেওয়া উদ্যোগের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে চূড়ান্ত করা হচ্ছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’। নির্বাচন-পরবর্তী সরকারের প্রথম দুই বছরে এই সংস্কার বাস্তবায়নের অঙ্গীকার নেওয়ার প্রস্তাব রাখা হয়েছে সনদের খসড়ায়।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, এই খসড়া সোমবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে দেওয়া হয়েছে। সনদে যেসব প্রস্তাব নিয়ে ঐকমত্য হবে, সেগুলোর বাস্তবায়ন দুই বছরের মধ্যে শেষ করার প্রতিশ্রুতি থাকবে দলগুলোর পক্ষ থেকে।
সাতটি মূল বিষয়ের ভিত্তিতে গঠিত খসড়ায় রয়েছে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অঙ্গীকার, যার সঙ্গে একমত হলে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, কমিশনের সদস্য ও প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস সই করবেন।
পটভূমিতে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থান এবং শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে সংগঠিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তৈরি হয় রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠনের ঐতিহাসিক সুযোগ। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গণতন্ত্র, সুশাসন, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করাই হচ্ছে জুলাই সনদের উদ্দেশ্য।
অঙ্গীকারনামায় বলা হয়েছে, সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ ও দুর্নীতি দমনব্যবস্থা সংস্কারে প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন ও প্রণয়ন করা হবে। আর এসব প্রক্রিয়া জাতীয় নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে সংশ্লিষ্ট দলগুলো।
এদিকে সনদের খসড়ায় ২০২৫ সালের মধ্যে আইনি ও সাংবিধানিক সংস্কার সম্পন্ন করে তা সাংবিধানিকভাবে সুরক্ষিত করার কথা বলা হয়েছে।
সনদের আলোচনায় অংশ নেওয়া ৩৫টি দলের মধ্যে এখন পর্যন্ত ১২টি বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। যে ১২ বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে––
১. সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন: অর্থ বিল ও আস্থা ভোট ছাড়া অন্য যে কোনো বিষয়ে সংসদ সদস্যরা দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারবেন।
২. সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতিত্ব: সরকারি হিসাব, অনুমিত হিসাব, সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বিশেষ অধিকার সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি—এই চারটিসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদ সংসদে আসনের সংখ্যানুপাতে বিরোধী দলের মধ্য থেকে দেওয়া হবে। অর্থাৎ বিরোধী দলগুলো সংসদে যে কটি আসন পাবে, তার অনুপাতে সংসদীয় কমিটির সভাপতি পদ পাবে।
৩. নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ: প্রতি আদমশুমারির অনধিক ১০ বছর পরে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের জন্য একটি কমিটি করা হবে।
আশু ব্যবস্থা হিসেবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় যথাযথ দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে বিশেষায়িত কমিটি গঠন করার বিষয়ে একমত হয়েছে দলগুলো। এ ক্ষেত্রে যদি কমিটি গঠন হয়ে থাকে তাহলে তা পরিবর্তন করে সেই কমিটিকে দিয়ে সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণ করা হবে।
৪. রাষ্ট্রপতির ক্ষমা: এ সম্পর্কিত সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ সংশোধন করা হবে। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা প্রদর্শনের আবেদন পাঠানোর আগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মতামত নেওয়ার বিধান যুক্ত করা হবে।
৫. বিচার বিভাগের বিকেন্দ্রীকরণ: সংবিধানের ১০০ অনুচ্ছেদ সংশোধন করে প্রতিটি বিভাগে হাই কোর্টের এক বা একাধিক বেঞ্চ গঠনের সুযোগ তৈরি করা হবে।
৬. পর্যায়ক্রমে উপজেলা পর্যায়ে নিম্ন আদালত স্থানান্তর করা হবে। এক্ষেত্রে ছয়টি বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হবে।
৭. জরুরি অবস্থা জারি: রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা জারি করলে তার আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে বিরোধী দলীয় নেতা বা তার অনুপস্থিতিতে উপনেতা মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ নেবেন।কোন অবস্থায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা যাবে, তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। জরুরি অবস্থার মধ্যেও কিছু মৌলিক অধিকার স্থগিত করা যাবে না।
৮. প্রধান বিচারপতি নিয়োগ: আপিল বিভাগের কর্মে জ্যেষ্ঠতম বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেবেন রাষ্ট্রপতি। তবে কোনো দল যদি নির্বাচনি ইশতেহারে যুক্ত করে যে জ্যেষ্ঠতম দুজনের মধ্য থেকে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে, তারা ক্ষমতায় গেলে সে অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন করতে পারবে।
৯. নির্বাচন কমিশন গঠন: প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের মনোনয়নের জন্য একটি বাছাই কমিটি হবে, যার নেতৃত্বে থাকবেন জাতীয় সংসদের স্পিকার। কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন ডেপুটি স্পিকার (বিরোধী দল থেকে নির্বাচিত), প্রধানমন্ত্রী, বিরোধী দলীয় নেতা এবং প্রধান বিচারপতির প্রতিনিধি হিসেবে আপিল বিভাগের একজন বিচারপতি। কমিটি বিদায়ী কমিশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিন আগে প্রার্থী অনুসন্ধান শুরু করবে। যোগ্যতা-অযোগ্যতা, প্রার্থী আহ্বান ও অনুসন্ধান পদ্ধতি নির্ধারিত হবে সংসদে প্রণীত আইনের মাধ্যমে।
১০. প্রধানমন্ত্রীর একাধিক পদে থাকা: একই ব্যক্তি একসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধান থাকতে পারবেন না, এমন বিধান করার বিষয়ে তিন–চতুর্থাংশ দল একমত হয়েছে। বিএনপিসহ যারা একমত হয়নি তারা জাতীয় সনদে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিতে পারবে।
১১. প্রধানমন্ত্রী পদে থাকার সীমা: একজন ব্যক্তি তার সমগ্র জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন।
১২. স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠন: নয় সদস্য বিশিষ্ট কমিশনের চেয়ারম্যান হবেন আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি, যার বয়স ৭৫ বছরের ঊর্ধ্বে হবে না। অতিরিক্ত পুলিশ মহা-পরিদর্শকের নিচে এবং ৬২ বছরের ঊর্ধ্বে নয় এমন একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা হবেন কমিশনের সদস্য সচিব।
আলী রীয়াজ বলেছেন, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সমাপ্ত হবে বলে তিনি আশা করছেন। সংলাপে যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাবে, সেগুলো নিয়ে ‘জুলাই সনদ’ বা ‘জাতীয় সনদ’ চূড়ান্ত করা হবে।
জুলাই সনদের খসড়া: