জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে জুলাইযোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে টানা দ্বিতীয় দিনেও (বৃহস্পতিবার) বন্ধ রয়েছে চিকিৎসাসেবা। কর্মচারীদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকায় চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউই হাসপাতালে যোগ দেননি।
হাসপাতালের কর্মচারী আশরাফুল আলম বলেন, “বুধবারের সংঘর্ষের পর আজ (বৃহস্পতিবার) কেউ হাসপাতালে আসেননি। চিকিৎসা কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।”
এর আগে বুধবার সকাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে নামে হাসপাতালের কর্মচারীরা। সকাল ১০টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাইযোদ্ধা এবং চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের স্বজনরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুপুরে সেনা সদস্যরা এলেও পুরোপুরি শান্ত হয় বিকেলের দিকে।
এক কর্মচারী বলেন, “গত ১১ মাস ধরে যাদের চিকিৎসা দিচ্ছি, তারাই আমাদের মারধর করেছে। ডাক্তারদের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। লাঠি-রডসহ তারা প্রস্তুত অবস্থায় ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না এলে কাজে ফেরার প্রশ্নই আসে না।”
সিনিয়র স্টাফ নার্স সেলিনা বেগম জানান, সকালে কয়েকজন নার্স হাসপাতালে গেলেও ফটক বন্ধ থাকায় প্রবেশ করতে পারেননি। “গেইটে পুলিশ ও সিকিউরিটি ছিল, তারা আমাদের ঢুকতে দেয়নি,” বলেন তিনি।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, “হাসপাতাল বন্ধ, কোনো কার্যক্রম চলছে না। এর বেশি কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই।”
গত রোববার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার আহত জুলাইযোদ্ধা উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে বিষপান করেন। পরে মঙ্গলবার তারা হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। ওই সময় কিছু আন্দোলনকারী নিজের গায়ে কেরোসিন-পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
পরিচালক অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতিতে যান হাসপাতাল কর্মচারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা।
এক চিকিৎসক জানান, “জুলাইযোদ্ধারা শুধু হাসপাতালেই নয়, আবাসিক ভবনেও হামলা চালিয়েছে। তারা কর্মচারীদের শাস্তির দাবিতে সেখানে স্লোগান দিয়েছে।”
চলমান উত্তেজনার কারণে বৃহস্পতিবারও স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা চালু হয়নি।
বৃহস্পতিবার, ২৯ মে ২০২৫
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে জুলাইযোদ্ধাদের সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে টানা দ্বিতীয় দিনেও (বৃহস্পতিবার) বন্ধ রয়েছে চিকিৎসাসেবা। কর্মচারীদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকায় চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কেউই হাসপাতালে যোগ দেননি।
হাসপাতালের কর্মচারী আশরাফুল আলম বলেন, “বুধবারের সংঘর্ষের পর আজ (বৃহস্পতিবার) কেউ হাসপাতালে আসেননি। চিকিৎসা কার্যক্রম পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।”
এর আগে বুধবার সকাল থেকে কর্মবিরতির ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে নামে হাসপাতালের কর্মচারীরা। সকাল ১০টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জুলাইযোদ্ধা এবং চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের স্বজনরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুপুরে সেনা সদস্যরা এলেও পুরোপুরি শান্ত হয় বিকেলের দিকে।
এক কর্মচারী বলেন, “গত ১১ মাস ধরে যাদের চিকিৎসা দিচ্ছি, তারাই আমাদের মারধর করেছে। ডাক্তারদের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। লাঠি-রডসহ তারা প্রস্তুত অবস্থায় ছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না এলে কাজে ফেরার প্রশ্নই আসে না।”
সিনিয়র স্টাফ নার্স সেলিনা বেগম জানান, সকালে কয়েকজন নার্স হাসপাতালে গেলেও ফটক বন্ধ থাকায় প্রবেশ করতে পারেননি। “গেইটে পুলিশ ও সিকিউরিটি ছিল, তারা আমাদের ঢুকতে দেয়নি,” বলেন তিনি।
হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, “হাসপাতাল বন্ধ, কোনো কার্যক্রম চলছে না। এর বেশি কিছু বলার মতো অবস্থায় নেই।”
গত রোববার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন চার আহত জুলাইযোদ্ধা উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে বিষপান করেন। পরে মঙ্গলবার তারা হাসপাতালের পরিচালককে অবরুদ্ধ করে রাখেন। ওই সময় কিছু আন্দোলনকারী নিজের গায়ে কেরোসিন-পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন বলেও পুলিশ জানিয়েছে।
পরিচালক অবরুদ্ধ হওয়ার ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে নিরাপত্তার দাবিতে কর্মবিরতিতে যান হাসপাতাল কর্মচারীরা। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটে সংঘর্ষের ঘটনা।
এক চিকিৎসক জানান, “জুলাইযোদ্ধারা শুধু হাসপাতালেই নয়, আবাসিক ভবনেও হামলা চালিয়েছে। তারা কর্মচারীদের শাস্তির দাবিতে সেখানে স্লোগান দিয়েছে।”
চলমান উত্তেজনার কারণে বৃহস্পতিবারও স্বাভাবিক চিকিৎসাসেবা চালু হয়নি।