হত্যার তদন্ত চলছে: স্বরাষ্ট্র সচিব
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় শুক্রবার রাতে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তারা সবাই একসময় চরমপন্থি দলের নেতাকর্মী ছিলেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টিও (জনযুদ্ধ) সামরিক কমান্ডার রয়েছেন। স্থানীয়রা এদিন রাতে কয়েকটি গুলির শব্দ পেয়েছে, তবে ভয়ে কেউ বাড়ি থেকে বের হননি। উপজেলার রামচন্দ্রপুর শ্মশানঘাট এলাকার ঘটনা এটি। রাতেই লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সবার মাথায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে খবর। আরেক চরমপন্থি দল জাসদ গণবাহিনী বার্তা পাঠিয়ে এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
নিহতরা হলেন ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড উপজেলার আহাদনগর গ্রামের রাহাজ উদ্দীনের ছেলে হানেফ আলী (৫৬), তার শ্যালক উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের উম্মাদ আলীর ছেলে লিটন (৩৫) এবং কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের আরজেদ আলীর ছেলে রাইসুল ইসলাম (৪০)। হানেফ পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। তিনি একটি মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি হলেও পরে সাধারণ ক্ষমা পেয়ে মুক্তি পান। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১৩টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (জনযুদ্ধ) ও জাসদ গণবাহিনীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার রাতে রামচন্দ্রপুর শ্মশানঘাট এলাকায় পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের গোপন বৈঠকের খবর পায় প্রতিপক্ষ। জাসদ গণবাহিনীর শীর্ষ নেতা কালুর নেতৃত্বে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি মুঠোফোনে বার্তা পাঠিয়েছেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামে।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে তারা মাঠের দিকে বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শুনতে পান। তবে ভয়ে আর কেউ ঘর থেকে বের হননি। পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনটি লাশ ও দুটি মোটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তারা পুলিশে খবর দেন।
নিহত রাইসুল ইসলামের বাড়ি থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব মাত্র দুই কিলোমিটার। বাবার বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার মানিকদিয়াড় গ্রাম থেকে আড়াই বছর বয়সে পিয়ারপুর গ্রামে নানা ইব্রাহীম সরদারের বাড়িতে মায়ের সঙ্গে চলে আসেন। সেখানে তার বাবাও থাকতেন। দুই মাস আগে তিনি মারা গেছেন।
তার পরিবারের দাবি, রাইসুল কোনো সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। কেন, কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা বলতে পারছেন না তারা। তবে সম্প্রতি এলাকার কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছিল তার।
শনিবার দুপুরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাইসুলের মা রেহেনা পারভিন জানান, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত রাইসুল বাড়িতেই ছিলেন। বিকেল পাঁচটার কিছু সময় পর তার মুঠোফোনে কল আসে। রাইসুল ফোনের অন্য প্রান্তের ব্যক্তির উদ্দেশে বলেন, ‘বড় ভাই আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসছি।’ এই বলে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত বাড়ি থেকে বের হয়ে যান তিনি। রাত নয়টার দিকে কল দিলে নম্বর বন্ধ পান।
রেহেনা পারভিন আরও বলেন, এরপর থেকে আরও কয়েকবার কল দিলেও রাইসুলের নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় আত্মীয়স্বজনদের কাছে ফোন করে বিষয়টি জানান তিনি। রাত সাড়ে তিনটার দিকে জানতে পারেন, রামচন্দ্রপুর এলাকার মাঠের মধ্যে তার ছেলের লাশ পড়ে আছে।
রেহেনা পারভিন জানান, একমাত্র ছেলে রাইসুল কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক পাস করে। কোনো চাকরি বা ব্যবসা করতেন না। সম্প্রতি দৌলতপুর থেকে তার বাবার সম্পত্তি বিক্রি করে ৯ লাখ টাকা পান। সেই টাকার মধ্যে ৭ লাখ টাকা স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তিকে দেন। আর সেই টাকা ফেরত নিয়ে কিছু ঝামেলা চলছিল।
ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, নিহত হানেফ প্রায় হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। হরিণাকুন্ডুর কুলবাড়িয়া গ্রামের আলফাজ উদ্দিন হত্যা মামলায় তার ফাঁসির আদেশ হয়। উচ্চ আদালতেও তা বহাল থাকে। তবে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিশেষ ক্ষমা নিয়ে এলাকায় ফিরে আসেন হানেফ।
এরপর থেকে তিনি উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি নিযুক্ত হন এবং আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন।
শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের মতিয়ার রহমান বলেন, রাতে স্থানীয়রা গোলাগুলির শব্দ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।
শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, ‘সোর্সের মাধ্যমে খবর পাই, গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এরপর নিশ্চিত হওয়া যায় ঘটনাস্থলে তিনজনের লাশ পড়ে আছে। লাশ উদ্ধার করে রাতেই থানায় আনা হয়েছে।’
এর আগে, ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ওই এলাকায় পাঁচজনকে হত্যা করে চরমপন্থীরা।
ট্রিপল মার্ডারে চরমপন্থি দল জড়িত কিনা তদন্ত চলছে : স্বরাষ্ট্র সচিব
ঝিনাইদহ শৈলকুপায় ট্রিপল মার্ডারে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন চরমপন্থীদল জড়িত কিনা সেটা তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি। শনিবার দুপুরে যশোর পিটিআই মিলনায়তনে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ক কর্মশালা অনিুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি বলেন, ‘ঝিনাইদহের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। যারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে অচিরেই রহস্য বের করা হবে দেশে আইনশৃঙ্খলা যে অবস্থা ছিল, সেটা অনেক উন্নতি ঘটেছে। আরও উন্নতি ঘটাতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা পুলিশের বিধ্বস্ত বাহিনী পেয়েছিলাম। তারা আস্তে আস্তে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। কোমর তুলে দাঁড়াচ্ছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মনের ভাব বুঝছি, তাদের উন্নয়ন ঘটানোর সব উদ্যোগ নিচ্ছি।’
দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে একটি গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপতথ্য ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তিলকে তাল করে একটি গোষ্ঠি কল্পনার ফানুস উড়াচ্ছে। পুরনো কোনো ঘটনার ছবি বা ভিডিও নতুন করে পোস্ট করে অস্থিতিশীল সৃষ্টি করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।এরপর থেকে তিনি উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি নিযুক্ত হন এবং আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন।
শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের মতিয়ার রহমান বলেন, রাতে স্থানীয়রা গোলাগুলির শব্দ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।
শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, ‘সোর্সের মাধ্যমে খবর পাই, গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এরপর নিশ্চিত হওয়া যায় ঘটনাস্থলে তিনজনের লাশ পড়ে আছে। লাশ উদ্ধার করে রাতেই থানায় আনা হয়েছে।’
এর আগে, ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ওই এলাকায় পাঁচজনকে হত্যা করে চরমপন্থিরা।
হত্যার তদন্ত চলছে: স্বরাষ্ট্র সচিব
শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় শুক্রবার রাতে তিনজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। তারা সবাই একসময় চরমপন্থি দলের নেতাকর্মী ছিলেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টিও (জনযুদ্ধ) সামরিক কমান্ডার রয়েছেন। স্থানীয়রা এদিন রাতে কয়েকটি গুলির শব্দ পেয়েছে, তবে ভয়ে কেউ বাড়ি থেকে বের হননি। উপজেলার রামচন্দ্রপুর শ্মশানঘাট এলাকার ঘটনা এটি। রাতেই লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সবার মাথায় গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে খবর। আরেক চরমপন্থি দল জাসদ গণবাহিনী বার্তা পাঠিয়ে এই হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
নিহতরা হলেন ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ড উপজেলার আহাদনগর গ্রামের রাহাজ উদ্দীনের ছেলে হানেফ আলী (৫৬), তার শ্যালক উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের উম্মাদ আলীর ছেলে লিটন (৩৫) এবং কুষ্টিয়ার সদর উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের আরজেদ আলীর ছেলে রাইসুল ইসলাম (৪০)। হানেফ পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা ছিলেন। তিনি একটি মামলায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত আসামি হলেও পরে সাধারণ ক্ষমা পেয়ে মুক্তি পান। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১৩টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (জনযুদ্ধ) ও জাসদ গণবাহিনীর মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার রাতে রামচন্দ্রপুর শ্মশানঘাট এলাকায় পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির নেতাদের গোপন বৈঠকের খবর পায় প্রতিপক্ষ। জাসদ গণবাহিনীর শীর্ষ নেতা কালুর নেতৃত্বে এই হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি মুঠোফোনে বার্তা পাঠিয়েছেন। তার বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামে।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাতে তারা মাঠের দিকে বেশ কয়েকটি গুলির শব্দ শুনতে পান। তবে ভয়ে আর কেউ ঘর থেকে বের হননি। পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনটি লাশ ও দুটি মোটরসাইকেল পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর তারা পুলিশে খবর দেন।
নিহত রাইসুল ইসলামের বাড়ি থেকে ঘটনাস্থলের দূরত্ব মাত্র দুই কিলোমিটার। বাবার বাড়ি দৌলতপুর উপজেলার মানিকদিয়াড় গ্রাম থেকে আড়াই বছর বয়সে পিয়ারপুর গ্রামে নানা ইব্রাহীম সরদারের বাড়িতে মায়ের সঙ্গে চলে আসেন। সেখানে তার বাবাও থাকতেন। দুই মাস আগে তিনি মারা গেছেন।
তার পরিবারের দাবি, রাইসুল কোনো সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না। কেন, কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা বলতে পারছেন না তারা। তবে সম্প্রতি এলাকার কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে টাকা লেনদেন নিয়ে বিরোধ চলছিল তার।
শনিবার দুপুরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে রাইসুলের মা রেহেনা পারভিন জানান, শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত রাইসুল বাড়িতেই ছিলেন। বিকেল পাঁচটার কিছু সময় পর তার মুঠোফোনে কল আসে। রাইসুল ফোনের অন্য প্রান্তের ব্যক্তির উদ্দেশে বলেন, ‘বড় ভাই আমি পাঁচ মিনিটের মধ্যে আসছি।’ এই বলে মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত বাড়ি থেকে বের হয়ে যান তিনি। রাত নয়টার দিকে কল দিলে নম্বর বন্ধ পান।
রেহেনা পারভিন আরও বলেন, এরপর থেকে আরও কয়েকবার কল দিলেও রাইসুলের নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় আত্মীয়স্বজনদের কাছে ফোন করে বিষয়টি জানান তিনি। রাত সাড়ে তিনটার দিকে জানতে পারেন, রামচন্দ্রপুর এলাকার মাঠের মধ্যে তার ছেলের লাশ পড়ে আছে।
রেহেনা পারভিন জানান, একমাত্র ছেলে রাইসুল কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক পাস করে। কোনো চাকরি বা ব্যবসা করতেন না। সম্প্রতি দৌলতপুর থেকে তার বাবার সম্পত্তি বিক্রি করে ৯ লাখ টাকা পান। সেই টাকার মধ্যে ৭ লাখ টাকা স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তিকে দেন। আর সেই টাকা ফেরত নিয়ে কিছু ঝামেলা চলছিল।
ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া জানান, নিহত হানেফ প্রায় হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি। হরিণাকুন্ডুর কুলবাড়িয়া গ্রামের আলফাজ উদ্দিন হত্যা মামলায় তার ফাঁসির আদেশ হয়। উচ্চ আদালতেও তা বহাল থাকে। তবে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের বিশেষ ক্ষমা নিয়ে এলাকায় ফিরে আসেন হানেফ।
এরপর থেকে তিনি উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি নিযুক্ত হন এবং আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন।
শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের মতিয়ার রহমান বলেন, রাতে স্থানীয়রা গোলাগুলির শব্দ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।
শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, ‘সোর্সের মাধ্যমে খবর পাই, গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এরপর নিশ্চিত হওয়া যায় ঘটনাস্থলে তিনজনের লাশ পড়ে আছে। লাশ উদ্ধার করে রাতেই থানায় আনা হয়েছে।’
এর আগে, ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ওই এলাকায় পাঁচজনকে হত্যা করে চরমপন্থীরা।
ট্রিপল মার্ডারে চরমপন্থি দল জড়িত কিনা তদন্ত চলছে : স্বরাষ্ট্র সচিব
ঝিনাইদহ শৈলকুপায় ট্রিপল মার্ডারে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন চরমপন্থীদল জড়িত কিনা সেটা তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি। শনিবার দুপুরে যশোর পিটিআই মিলনায়তনে দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ বিষয়ক কর্মশালা অনিুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিনিয়র সচিব নাসিমুল গণি বলেন, ‘ঝিনাইদহের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। যারাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে অচিরেই রহস্য বের করা হবে দেশে আইনশৃঙ্খলা যে অবস্থা ছিল, সেটা অনেক উন্নতি ঘটেছে। আরও উন্নতি ঘটাতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা পুলিশের বিধ্বস্ত বাহিনী পেয়েছিলাম। তারা আস্তে আস্তে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। কোমর তুলে দাঁড়াচ্ছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদের মনের ভাব বুঝছি, তাদের উন্নয়ন ঘটানোর সব উদ্যোগ নিচ্ছি।’
দেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করতে একটি গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপতথ্য ছড়াচ্ছে বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তিলকে তাল করে একটি গোষ্ঠি কল্পনার ফানুস উড়াচ্ছে। পুরনো কোনো ঘটনার ছবি বা ভিডিও নতুন করে পোস্ট করে অস্থিতিশীল সৃষ্টি করছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।এরপর থেকে তিনি উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সহ-সভাপতি নিযুক্ত হন এবং আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করেন।
শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর পুলিশ ক্যাম্পের মতিয়ার রহমান বলেন, রাতে স্থানীয়রা গোলাগুলির শব্দ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিনজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।
শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, ‘সোর্সের মাধ্যমে খবর পাই, গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এরপর নিশ্চিত হওয়া যায় ঘটনাস্থলে তিনজনের লাশ পড়ে আছে। লাশ উদ্ধার করে রাতেই থানায় আনা হয়েছে।’
এর আগে, ২০০৩ সালের ৫ ডিসেম্বর ওই এলাকায় পাঁচজনকে হত্যা করে চরমপন্থিরা।