বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা সম্পূরক শুল্ক নিয়ে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মার্কিন সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি। শনিবার,(২৮ জুন ২০২৫) প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্কারোপের ঘোষণা দেন। ৯ এপ্রিল এই অতিরিক্ত শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৮ জুলাই। এ সময়ের মধ্যেই অন্যান্য সব দেশের পণ্যের ওপর অন্তত ১০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর করা হয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অত্যন্ত গঠনমূলক আলোচনা করেছি। উভয়পক্ষই যত দ্রুত সম্ভব চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ খলিলুর রহমান এর আগে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলন (ইউএনসিটিএডি) এর বাণিজ্য নীতি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮৪০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, যার মধ্যে তৈরি পোশাকের পরিমাণ ৭৩৪ কোটি ডলার।
ট্রাম্পের নতুন ঘোষণা কার্যকর হলে বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩৭ শতাংশ ‘হ্রাসকৃত সম্পূরক শুল্ক’ দিতে হবে। এতদিন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ। সম্পূরক শুল্ক যোগ হয়ে শুল্কহার দাঁড়ায় ৫২ শতাংশ।
এ অবস্থায় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর আরোপ করা সম্পূরক শুল্ক পুনর্বিবেচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেয়ার কথা তুলে ধরে গত সোমবার পাঠানো ওই চিঠিতে শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত তিন মাস স্থগিতের অনুরোধ করেন তিনি।
এদিকে বাড়তি শুল্কারোপের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ‘সংলাপের প্রস্তুতি ও পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনার’ অংশ হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আসছে অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বাজেটে ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড় দিয়েছে। এর মধ্যে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।
শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
বাংলাদেশি পণ্যে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা সম্পূরক শুল্ক নিয়ে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর। সবশেষ গত বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে নেতৃত্ব দেন মার্কিন সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি। শনিবার,(২৮ জুন ২০২৫) প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গত ২ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বের শতাধিক দেশের পণ্যের ওপর নতুন করে শুল্কারোপের ঘোষণা দেন। ৯ এপ্রিল এই অতিরিক্ত শুল্ক তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, যার মেয়াদ শেষ হবে আগামী ৮ জুলাই। এ সময়ের মধ্যেই অন্যান্য সব দেশের পণ্যের ওপর অন্তত ১০ শতাংশ হারে অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর করা হয়েছে।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে অত্যন্ত গঠনমূলক আলোচনা করেছি। উভয়পক্ষই যত দ্রুত সম্ভব চুক্তিটি চূড়ান্ত করতে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।’ খলিলুর রহমান এর আগে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলন (ইউএনসিটিএডি) এর বাণিজ্য নীতি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ৮৪০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করে, যার মধ্যে তৈরি পোশাকের পরিমাণ ৭৩৪ কোটি ডলার।
ট্রাম্পের নতুন ঘোষণা কার্যকর হলে বাংলাদেশি পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৩৭ শতাংশ ‘হ্রাসকৃত সম্পূরক শুল্ক’ দিতে হবে। এতদিন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ছিল গড়ে ১৫ শতাংশ। সম্পূরক শুল্ক যোগ হয়ে শুল্কহার দাঁড়ায় ৫২ শতাংশ।
এ অবস্থায় বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ওপর আরোপ করা সম্পূরক শুল্ক পুনর্বিবেচনা করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে চিঠি দেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনতে পদক্ষেপ নেয়ার কথা তুলে ধরে গত সোমবার পাঠানো ওই চিঠিতে শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত তিন মাস স্থগিতের অনুরোধ করেন তিনি।
এদিকে বাড়তি শুল্কারোপের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য ‘সংলাপের প্রস্তুতি ও পর্যায়ক্রমে কমিয়ে আনার’ অংশ হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার আসছে অর্থবছরের (২০২৫-২৬) বাজেটে ৬২৬টি পণ্যে শুল্ক ছাড় দিয়েছে। এর মধ্যে ১১০টি পণ্যের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।