ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেডও ব্যবহার করেছে।
রোববার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, "পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাত কলেজের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।" বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও পুলিশকে সহায়তা দিতে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
সন্ধ্যার পর পাঁচ দফা দাবিতে শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব ও টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের ভাষ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের সঙ্গে তারা দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি তাদের অপমান করেন। এর প্রতিবাদেই তারা সড়ক অবরোধ করেন।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও সাত কলেজ আন্দোলনের মুখপাত্র আব্দুর রহমান বলেন, "উপ-উপাচার্যকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি ক্ষমা চাইলে আমরা সড়ক ছেড়ে দেব।"
রাত সোয়া ১১টার দিকে সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে মিছিল নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে রওনা দেন। পরে তাদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। নীলক্ষেত মোড় হয়ে তারা মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নেন এবং উপ-উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
এদিকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন হল থেকে লাঠি-সোঁটা হাতে বেরিয়ে আসেন এবং স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে জড়ো হন।
দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে মধ্যরাতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ইট-পাটকেল ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে নিউমার্কেটের ৪ নম্বর গেটের দিকে সরিয়ে দেয়। পরে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া দেয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
রাত দেড়টায়ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ ও নীলক্ষেত মোড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
সোমবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও অধিভুক্ত সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেডও ব্যবহার করেছে।
রোববার মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সাইফুদ্দিন আহমেদ জানান, "পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাত কলেজের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।" বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি অবস্থান নেওয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ও পুলিশকে সহায়তা দিতে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
সন্ধ্যার পর পাঁচ দফা দাবিতে শাহবাগ, সায়েন্সল্যাব ও টেকনিক্যাল মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। তাদের ভাষ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মামুন আহমেদের সঙ্গে তারা দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলতে গেলে তিনি তাদের অপমান করেন। এর প্রতিবাদেই তারা সড়ক অবরোধ করেন।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও সাত কলেজ আন্দোলনের মুখপাত্র আব্দুর রহমান বলেন, "উপ-উপাচার্যকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তিনি ক্ষমা চাইলে আমরা সড়ক ছেড়ে দেব।"
রাত সোয়া ১১টার দিকে সায়েন্সল্যাব মোড় থেকে মিছিল নিয়ে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দিকে রওনা দেন। পরে তাদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীরাও যোগ দেন। নীলক্ষেত মোড় হয়ে তারা মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণের সামনে অবস্থান নেন এবং উপ-উপাচার্যের বাসভবনের দিকে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
এদিকে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির খবর পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিভিন্ন হল থেকে লাঠি-সোঁটা হাতে বেরিয়ে আসেন এবং স্যার এ এফ রহমান হলের সামনে জড়ো হন।
দুই পক্ষ মুখোমুখি হলে মধ্যরাতে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। একপর্যায়ে ইট-পাটকেল ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিয়ে নিউমার্কেটের ৪ নম্বর গেটের দিকে সরিয়ে দেয়। পরে সাত কলেজের শিক্ষার্থীরাও পাল্টা ধাওয়া দেয়।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।
রাত দেড়টায়ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ ও নীলক্ষেত মোড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।