বাংলাদেশে ভারতের মেডিকেল টিমের উপস্থিতিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার সর্বদা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মানের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে ভালো কর্মসম্পর্ক চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় চেয়েছিলাম যে... প্রথম দিন থেকেই আমরা বলেছিলাম, আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে ভালো কর্মসম্পর্ক চাই। আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার সন্থ্যায় ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ক্রনালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কেউই কখনও বলেনি আমরা ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই না।’
বাংলাদেশে ভারতীয় মেডিকেল টিমের উপস্থিতি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উন্নত সম্পর্কের জন্য ইতিবাচক সূচক হিসেবে দেখছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।
বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য ভারত থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে বুধবার রাতে ঢাকায় পৌঁছেছেন একটি চিকিৎসক দল।
এই বিশেষায়িত দলে রয়েছেন রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্সরা। পোড়া ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসায় ভারতের শীর্ষস্থানে রয়েছে হাসপাতাল দুটি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা এই রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি নির্ধারিত হাসপাতালে তাদের কাজ শুরু করেছেন।
চীনের আশ্বাস পেয়ে তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র নদের উজানে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে ‘বিচলিত’ না হওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “চীনের রাষ্ট্রদূত এসেছেন, তিনি আমার কাছে এক্সপ্লেইন করেছেন যে, তারা এটা ঠিক একটা বাঁধ দিয়ে যে হাইড্রোপাওয়ার করার সিস্টেম, ওইটাতে তারা যাচ্ছেন না, এটা নতুন টেকনোলজি তারা বের করেছেন, অনেকটা কয়েক ধাপে তারা এটা ব্যবহার করবেন পানির প্রবাহটাকে। এবং নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, কোনো ধরনের কোনো ইরিগেশন এলিমেন্ট নেই এটাতে এবং কোনো পানি প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা বা কোনো প্রোগ্রাম এটার মধ্যে নেই। কাজেই, আমাদের বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।”
গত রোববার চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং তিব্বতের ইয়ারলুং জাংপো নদীর উপর নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরুর ঘোষণা দেন। এই ইয়ারলুং জাংপো নদীই ভারতে প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্র নাম নিয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এর মধ্যে গত সোমবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রকল্পটি নিয়ে চীনের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
চীনের ওই আশ্বাসে ঢাকা আশ্বস্ত কি-না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের অবস্থানটা এ পর্যন্ত যেটুকু তাকে জানিয়েছি, সেটা হল যে, আমরা চাই যে হাইড্রোলজিকাল তথ্য আদান-প্রদান হোক আমাদের মধ্যে এবং সেটা বিচার-বিবেচনা করা হোক। তার মানে এই না যে, তারা ড্যাম নিয়ে এগিয়ে যাবে না। আমাদের ক্ষতি যাতে মিনিমাম হয় অথবা যাতে না হয়, আমরা সেই চেষ্টাটা করতে থাকব। এখানে ভারতেরও স্বার্থ আছে। ভারতও বিষয়টাকে দেখছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের নদীগুলো আমাদের দেশে উৎস শুরু না এবং সেই নদীগুলোর উপরে বিভিন্ন স্ট্রাকচার তৈরি হয়েছে এবং হতে থাকবে। আমরা সেটা ঠেকাতে পারব না। আমাদেরকে দেখতে হবে যে, এতে করে আমাদের উপরে ক্ষতি যাতে না হয়, যদি হয় সেটা যাতে খুব সীমিত থাকে- এটা আমাদের চেষ্টা চালু থাকবে। সুতরাং আমরা এটাকে সেভাবেই দেখব।”
বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশে ভারতের মেডিকেল টিমের উপস্থিতিকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার সর্বদা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সম্মানের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে ভালো কর্মসম্পর্ক চায়।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় চেয়েছিলাম যে... প্রথম দিন থেকেই আমরা বলেছিলাম, আমরা পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে ভারতের সঙ্গে ভালো কর্মসম্পর্ক চাই। আমাদের অবস্থান অপরিবর্তিত রয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার সন্থ্যায় ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ক্রনালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কেউই কখনও বলেনি আমরা ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই না।’
বাংলাদেশে ভারতীয় মেডিকেল টিমের উপস্থিতি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে উন্নত সম্পর্কের জন্য ইতিবাচক সূচক হিসেবে দেখছেন কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।
বিমান দুর্ঘটনায় আহতদের চিকিৎসার জন্য ভারত থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সহায়তা নিয়ে বুধবার রাতে ঢাকায় পৌঁছেছেন একটি চিকিৎসক দল।
এই বিশেষায়িত দলে রয়েছেন রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতাল এবং দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্সরা। পোড়া ও প্লাস্টিক সার্জারি চিকিৎসায় ভারতের শীর্ষস্থানে রয়েছে হাসপাতাল দুটি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে তারা এই রোগীদের চিকিৎসার জন্য একটি নির্ধারিত হাসপাতালে তাদের কাজ শুরু করেছেন।
চীনের আশ্বাস পেয়ে তিব্বতে ব্রহ্মপুত্র নদের উজানে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে ‘বিচলিত’ না হওয়ার কথা জানিয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “চীনের রাষ্ট্রদূত এসেছেন, তিনি আমার কাছে এক্সপ্লেইন করেছেন যে, তারা এটা ঠিক একটা বাঁধ দিয়ে যে হাইড্রোপাওয়ার করার সিস্টেম, ওইটাতে তারা যাচ্ছেন না, এটা নতুন টেকনোলজি তারা বের করেছেন, অনেকটা কয়েক ধাপে তারা এটা ব্যবহার করবেন পানির প্রবাহটাকে। এবং নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, কোনো ধরনের কোনো ইরিগেশন এলিমেন্ট নেই এটাতে এবং কোনো পানি প্রত্যাহারের কোনো পরিকল্পনা বা কোনো প্রোগ্রাম এটার মধ্যে নেই। কাজেই, আমাদের বিচলিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।”
গত রোববার চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং তিব্বতের ইয়ারলুং জাংপো নদীর উপর নতুন জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরুর ঘোষণা দেন। এই ইয়ারলুং জাংপো নদীই ভারতে প্রবেশ করে ব্রহ্মপুত্র নাম নিয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
এর মধ্যে গত সোমবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রকল্পটি নিয়ে চীনের অবস্থান ব্যাখ্যা করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
চীনের ওই আশ্বাসে ঢাকা আশ্বস্ত কি-না, এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের অবস্থানটা এ পর্যন্ত যেটুকু তাকে জানিয়েছি, সেটা হল যে, আমরা চাই যে হাইড্রোলজিকাল তথ্য আদান-প্রদান হোক আমাদের মধ্যে এবং সেটা বিচার-বিবেচনা করা হোক। তার মানে এই না যে, তারা ড্যাম নিয়ে এগিয়ে যাবে না। আমাদের ক্ষতি যাতে মিনিমাম হয় অথবা যাতে না হয়, আমরা সেই চেষ্টাটা করতে থাকব। এখানে ভারতেরও স্বার্থ আছে। ভারতও বিষয়টাকে দেখছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের নদীগুলো আমাদের দেশে উৎস শুরু না এবং সেই নদীগুলোর উপরে বিভিন্ন স্ট্রাকচার তৈরি হয়েছে এবং হতে থাকবে। আমরা সেটা ঠেকাতে পারব না। আমাদেরকে দেখতে হবে যে, এতে করে আমাদের উপরে ক্ষতি যাতে না হয়, যদি হয় সেটা যাতে খুব সীমিত থাকে- এটা আমাদের চেষ্টা চালু থাকবে। সুতরাং আমরা এটাকে সেভাবেই দেখব।”