দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে জন্ম নেওয়া পাকিস্তানের বিপরীতে, তারই কবর রচনা করে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন—এ দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
জেড আই খান পান্না বলেন, “এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি নিজেকেই সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু মনে করি। আজ মুক্তিযোদ্ধাদের গলায় জুতার মালা পরানো হয়, জুতা দিয়ে মারা হয়, অথচ আমরা কিছু করতে পারি না। এটাই সবচেয়ে বড় অসহায়ত্ব।”
বক্তব্য দেওয়ার সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন পান্না। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করিনি। আজ যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন, তাদেরই উচিত অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।”
তিনি আরও বলেন, “৩০ লাখ শহীদ, ২ লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। এটা কোনো সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র নয়। সংবিধান যেন কেউ ছুঁয়ে না দেখে। এখন এমনও দেখা যায়, কেউ কেউ বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখান।”
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের আরেক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক ও মানবাধিকার আজ প্রশ্নবিদ্ধ। বিচার নেই, সুবিচার নেই। হামলাকারীরা ধরা পড়লেও বেরিয়ে যায়।”
আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, “সব সরকারের আমলেই সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হয়েছে। এমনকি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেও তাদের সবচেয়ে বেশি উপেক্ষা করা হচ্ছে। সংস্কার কমিশনে তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে হামলার পরও সরকার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায় না।”
তিনি অভিযোগ করেন, “গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ দমন করতেই ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এইভাবে নেতৃত্ব দমন ও বাক্স্বাধীনতা রুদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে।”
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী জে কে পাল এবং সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। বক্তব্য দেন আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, তাঁদের মধ্যে ছিলেন মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।
সেমিনারে বক্তারা সর্বসম্মতিক্রমে সাম্প্রদায়িকতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে জন্ম নেওয়া পাকিস্তানের বিপরীতে, তারই কবর রচনা করে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্না বলেছেন—এ দেশে সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট বারের হলরুমে ‘বাংলাদেশে মানবাধিকার সংকট ও আইনি প্রতিকার পাওয়ার পথ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সেমিনারটির আয়োজন করে আন্তর্জাতিক সংস্থা হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিস (এইচআরসিবিএম), বাংলাদেশ চ্যাপ্টার।
জেড আই খান পান্না বলেন, “এখানে সংখ্যালঘুর কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এখন আমি নিজেকেই সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু মনে করি। আজ মুক্তিযোদ্ধাদের গলায় জুতার মালা পরানো হয়, জুতা দিয়ে মারা হয়, অথচ আমরা কিছু করতে পারি না। এটাই সবচেয়ে বড় অসহায়ত্ব।”
বক্তব্য দেওয়ার সময় আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন পান্না। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “জীবনে কখনো জেনে-বুঝে অন্যায়ের সঙ্গে আপস করিনি। আজ যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করেন, তাদেরই উচিত অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো।”
তিনি আরও বলেন, “৩০ লাখ শহীদ, ২ লাখ মা-বোনের আত্মত্যাগের বিনিময়ে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে। এটা কোনো সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র নয়। সংবিধান যেন কেউ ছুঁয়ে না দেখে। এখন এমনও দেখা যায়, কেউ কেউ বিদেশি হয়েও স্বদেশি ভাব দেখান।”
সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের আরেক জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের মৌলিক ও মানবাধিকার আজ প্রশ্নবিদ্ধ। বিচার নেই, সুবিচার নেই। হামলাকারীরা ধরা পড়লেও বেরিয়ে যায়।”
আইনজীবী সুমন কুমার রায় বলেন, “সব সরকারের আমলেই সংখ্যালঘুরা নির্যাতিত হয়েছে। এমনকি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারেও তাদের সবচেয়ে বেশি উপেক্ষা করা হচ্ছে। সংস্কার কমিশনে তাদের কোনো প্রতিনিধিত্ব নেই। রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে হামলার পরও সরকার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায় না।”
তিনি অভিযোগ করেন, “গত বছর ৫ আগস্টের পর থেকে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদ দমন করতেই ষড়যন্ত্র চলছে। বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এইভাবে নেতৃত্ব দমন ও বাক্স্বাধীনতা রুদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে।”
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন আইনজীবী জে কে পাল এবং সঞ্চালনায় ছিলেন এইচআরসিবিএমের আহ্বায়ক লাকি বাছাড়। বক্তব্য দেন আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, তাঁদের মধ্যে ছিলেন মনজিল মোরশেদ ও মো. গোলাম মোস্তফা।
সেমিনারে বক্তারা সর্বসম্মতিক্রমে সাম্প্রদায়িকতা ও সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ আরও জোরদার করার আহ্বান জানান।