জাতীয় ঐকমত্য সনদ প্রণয়নের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে চায় ঐকমত্য কমিশন। সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ৩৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের মতামত নিয়ে শিগগিরই এই সনদ চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে ৩৪টি দল ও জোটের কাছে ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দলগুলোর মতামত পাওয়ার পরই তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু হবে।”
২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়েছে। এসব সুপারিশ পর্যালোচনা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতেই গঠিত হয়েছে ঐকমত্য কমিশন।
কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ জানান, মোট ১৬৬টি সুপারিশ চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত ৭০টি, নির্বাচন ব্যবস্থা ২৭টি, বিচার বিভাগ ২৩টি, জনপ্রশাসন ২৬টি এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংক্রান্ত ২০টি সুপারিশ রয়েছে।
প্রতিটি সুপারিশের ওপর দলগুলোর মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। তারা ‘একমত’, ‘একমত নই’ অথবা ‘আংশিক একমত’ এই তিনটি বিকল্পের মধ্যে যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত দিতে পারবে। এছাড়া, সুপারিশ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে ছয়টি বিকল্প দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’, ‘গণভোটের মাধ্যমে’, ‘গণপরিষদের মাধ্যমে’ এবং ‘নির্বাচনের পর সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে’ ইত্যাদি।
আলী রীয়াজ আরও জানান, শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতই নয়, সাধারণ নাগরিকদের মতামত জানার জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মতামত চাওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি বাদে বাকি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতাদের মধ্যে ছিলেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান। এছাড়া, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫
জাতীয় ঐকমত্য সনদ প্রণয়নের কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে চায় ঐকমত্য কমিশন। সংস্কার কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে ৩৪টি রাজনৈতিক দল ও জোটের মতামত নিয়ে শিগগিরই এই সনদ চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
সোমবার জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হল মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “সংস্কার কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে ৩৪টি দল ও জোটের কাছে ১৩ মার্চের মধ্যে মতামত চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। দলগুলোর মতামত পাওয়ার পরই তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা শুরু হবে।”
২০২৪ সালের জুলাই-অগাস্টের গণঅভ্যুত্থানের পর মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে ১১টি সংস্কার কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, দুর্নীতি দমন কমিশন এবং পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা পড়েছে। এসব সুপারিশ পর্যালোচনা ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করতেই গঠিত হয়েছে ঐকমত্য কমিশন।
কমিশনের সহ-সভাপতি আলী রীয়াজ জানান, মোট ১৬৬টি সুপারিশ চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে সংবিধান সংস্কার সংক্রান্ত ৭০টি, নির্বাচন ব্যবস্থা ২৭টি, বিচার বিভাগ ২৩টি, জনপ্রশাসন ২৬টি এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংক্রান্ত ২০টি সুপারিশ রয়েছে।
প্রতিটি সুপারিশের ওপর দলগুলোর মতামত জানতে চাওয়া হয়েছে। তারা ‘একমত’, ‘একমত নই’ অথবা ‘আংশিক একমত’ এই তিনটি বিকল্পের মধ্যে যেকোনো একটিতে টিক চিহ্ন দিয়ে মতামত দিতে পারবে। এছাড়া, সুপারিশ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে ছয়টি বিকল্প দেওয়া হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ‘নির্বাচনের আগে অধ্যাদেশের মাধ্যমে’, ‘গণভোটের মাধ্যমে’, ‘গণপরিষদের মাধ্যমে’ এবং ‘নির্বাচনের পর সাংবিধানিক সংস্কারের মাধ্যমে’ ইত্যাদি।
আলী রীয়াজ আরও জানান, শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতই নয়, সাধারণ নাগরিকদের মতামত জানার জন্যও উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মতামত চাওয়া হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি বাদে বাকি সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত নেতাদের মধ্যে ছিলেন- জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন প্রধান আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, পুলিশ সংস্কার কমিশনের প্রধান সফর রাজ হোসেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান বিচারপতি এমদাদুল হক এবং দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান ইফতেখারুজ্জামান। এছাড়া, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।