ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকারী কোনো ব্যক্তির অপরাধের দায় তার সম্প্রদায়ের ওপর চাপানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ব্যক্তির অপরাধের জন্য কোনো সম্প্রদায়ের বাড়িঘর আক্রমণ করা ফৌজদারি অপরাধ।
সোমবার চট্টগ্রামের পিটিআই সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
খালিদ হোসেন বলেন, “ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করা অপরাধ। যে-ই করুক, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা মুসলমান—আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। তবে এর জেরে তার আত্মীয়স্বজন বা সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাঙচুর বা আগুন দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ। ব্যক্তির অপরাধের দায় সম্প্রদায়ের ওপর চাপানো যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “এ দেশ আমাদের সবার। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে ঐতিহ্য বাংলাদেশে আছে, তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে, তবে সেটিকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।”
সম্প্রতি ঢাকা ও চট্টগ্রাম কারাগার পরিদর্শনের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জেলে যাওয়া মানেই অপরাধী হওয়া নয়। আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত কেউ অপরাধী নন। অনেকে মিথ্যা মামলায় বা সন্দেহভাজন হিসেবেও জেলে যান।”
হিন্দুদের বেদখল হওয়া দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি জানান, কোনো মামলা জটিলতা না থাকলে সরকার সেসব সম্পত্তি উদ্ধার করে দেবে। মতিঝিলের লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর মন্দির ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রকল্প পরিচালক শ্রীকান্ত কুমার চন্দ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি দীপক কুমার পালিত, পরিমল কান্তি শীল, অ্যাডভোকেট পার্থ পাল চৌধুরী, উপ-প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাস ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামের পরিচালক সরকার সরোয়ার আলম বক্তব্য দেন।
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
ধর্ম নিয়ে কটূক্তিকারী কোনো ব্যক্তির অপরাধের দায় তার সম্প্রদায়ের ওপর চাপানো যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, ব্যক্তির অপরাধের জন্য কোনো সম্প্রদায়ের বাড়িঘর আক্রমণ করা ফৌজদারি অপরাধ।
সোমবার চট্টগ্রামের পিটিআই সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং নৈতিক শিক্ষার প্রসারে মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের ভূমিকা’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
খালিদ হোসেন বলেন, “ধর্ম নিয়ে কটূক্তি করা অপরাধ। যে-ই করুক, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান বা মুসলমান—আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। তবে এর জেরে তার আত্মীয়স্বজন বা সম্প্রদায়ের বাড়িঘর ভাঙচুর বা আগুন দেওয়া ফৌজদারি অপরাধ। ব্যক্তির অপরাধের দায় সম্প্রদায়ের ওপর চাপানো যাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “এ দেশ আমাদের সবার। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে ঐতিহ্য বাংলাদেশে আছে, তা আমাদের ধরে রাখতে হবে। বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটে, তবে সেটিকে কেন্দ্র করে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।”
সম্প্রতি ঢাকা ও চট্টগ্রাম কারাগার পরিদর্শনের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জেলে যাওয়া মানেই অপরাধী হওয়া নয়। আদালতের রায় না হওয়া পর্যন্ত কেউ অপরাধী নন। অনেকে মিথ্যা মামলায় বা সন্দেহভাজন হিসেবেও জেলে যান।”
হিন্দুদের বেদখল হওয়া দেবোত্তর সম্পত্তি উদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি জানান, কোনো মামলা জটিলতা না থাকলে সরকার সেসব সম্পত্তি উদ্ধার করে দেবে। মতিঝিলের লক্ষ্মী নারায়ণ জিউর মন্দির ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শরীফ উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রকল্প পরিচালক শ্রীকান্ত কুমার চন্দ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি দীপক কুমার পালিত, পরিমল কান্তি শীল, অ্যাডভোকেট পার্থ পাল চৌধুরী, উপ-প্রকল্প পরিচালক নিত্য প্রকাশ বিশ্বাস ও ইসলামিক ফাউন্ডেশন চট্টগ্রামের পরিচালক সরকার সরোয়ার আলম বক্তব্য দেন।