পাসপোর্ট করার জন্য আর পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না। জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের পাসপোর্ট ইস্যু করবে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা এই সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ অনুমোদন দেন বলে নিশ্চিত করেছে তাঁর প্রেস উইং। শিগগিরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করবে।
এর আগে রবিবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দেন যে, পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিক অধিকার এবং এটি করতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত নয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, পাসপোর্ট ইস্যু করতে ইতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদনের প্রয়োজন হয়, যা প্রক্রিয়াটি দীর্ঘায়িত করে। বিদ্যমান নিয়মে সাধারণ পাসপোর্ট ১২ কর্মদিবস ও এক্সপ্রেস ডেলিভারির ক্ষেত্রে তিন কর্মদিবসের মধ্যে দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ ভেরিফিকেশন বিলম্বিত হলে আবেদনকারীরা অনাবশ্যক জটিলতার সম্মুখীন হন। এ ভোগান্তি কমাতে সরকার পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জনসাধারণের সুবিধার্থে পরিপত্রে কিছু নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে:
১. নতুন পাসপোর্ট আবেদন: জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন যাচাইকৃত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট দেওয়া হবে।
২. বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট: জন্মনিবন্ধন সনদের অনলাইন যাচাইকৃত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।
৩. পাসপোর্ট পুনঃইস্যু: মৌলিক তথ্য পরিবর্তন হলে, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে।
৪. তদন্ত সংক্রান্ত বিধান: জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন ডেটাবেজের সঙ্গে তথ্য যাচাই হলে তা বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ ১৯৭৩–এর ৫(২) ধারার আওতায় প্রয়োজনীয় তদন্ত হিসেবে গণ্য হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের মধ্যে পরিপত্র জারি করা হবে এবং এরপর থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।
মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
পাসপোর্ট করার জন্য আর পুলিশ ভেরিফিকেশন লাগবে না। জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্যের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের পাসপোর্ট ইস্যু করবে সরকার। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টা এই সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ অনুমোদন দেন বলে নিশ্চিত করেছে তাঁর প্রেস উইং। শিগগিরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করবে।
এর আগে রবিবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ঘোষণা দেন যে, পাসপোর্ট পাওয়া নাগরিক অধিকার এবং এটি করতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের বাধ্যবাধকতা থাকা উচিত নয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, পাসপোর্ট ইস্যু করতে ইতিবাচক পুলিশ প্রতিবেদনের প্রয়োজন হয়, যা প্রক্রিয়াটি দীর্ঘায়িত করে। বিদ্যমান নিয়মে সাধারণ পাসপোর্ট ১২ কর্মদিবস ও এক্সপ্রেস ডেলিভারির ক্ষেত্রে তিন কর্মদিবসের মধ্যে দেওয়া হয়। কিন্তু পুলিশ ভেরিফিকেশন বিলম্বিত হলে আবেদনকারীরা অনাবশ্যক জটিলতার সম্মুখীন হন। এ ভোগান্তি কমাতে সরকার পুলিশ ভেরিফিকেশন ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, জনসাধারণের সুবিধার্থে পরিপত্রে কিছু নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে:
১. নতুন পাসপোর্ট আবেদন: জাতীয় পরিচয়পত্রের অনলাইন যাচাইকৃত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট দেওয়া হবে।
২. বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের পাসপোর্ট: জন্মনিবন্ধন সনদের অনলাইন যাচাইকৃত তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন ছাড়াই পাসপোর্ট ইস্যু করা হবে।
৩. পাসপোর্ট পুনঃইস্যু: মৌলিক তথ্য পরিবর্তন হলে, জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য অনুযায়ী পাসপোর্ট ইস্যু করা যাবে।
৪. তদন্ত সংক্রান্ত বিধান: জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন ডেটাবেজের সঙ্গে তথ্য যাচাই হলে তা বাংলাদেশ পাসপোর্ট আদেশ ১৯৭৩–এর ৫(২) ধারার আওতায় প্রয়োজনীয় তদন্ত হিসেবে গণ্য হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মঙ্গলবারের মধ্যে পরিপত্র জারি করা হবে এবং এরপর থেকেই নতুন নিয়ম কার্যকর হবে।