ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার ও ক্ষমতা পুনঃস্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার অষ্টম কমিশন সভা শেষে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভোটে অনিয়ম হলে ‘পুরো নির্বাচনি আসনের ভোট গ্রহণ বন্ধ’ করার যে ক্ষমতা এক সময় ইসির ছিল, সেটি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের শুধু ভোটকেন্দ্র বাতিলের ক্ষমতা আছে। কিন্তু পুরো আসনের নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা আগেও ছিল, যা পরে আইন সংশোধনের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হয়। আমরা সেই ক্ষমতা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছি এবং আশাবাদী আমরা তা পাব।”
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর ৯১ ধারায় ২০২৩ সালের সংশোধনীতে ‘ইলেকশন’ শব্দের পরিবর্তে ‘পোলিং’ শব্দ যুক্ত হওয়ায় ইসির পুরো নির্বাচনি প্রক্রিয়া বন্ধ করার ক্ষমতা খর্ব হয়। এতে কমিশন শুধু ভোটের দিনেই কেন্দ্র স্থগিত করতে পারে, তবে তফসিল ঘোষণার পর বা ভোটের আগেই পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল করতে পারে না।
সানাউল্লাহ জানান, কমিশন এ বিষয়ে আবার প্রস্তাব দিয়েছে এবং আশা করা যাচ্ছে, আইন সংশোধনের মাধ্যমে সেই ক্ষমতা পুনঃস্থাপন হবে।
তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা বুথ বা ভোটার তালিকা তৈরির প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন কমিশনার সানাউল্লাহ। তবে তিনি বলেন, “ভোট বিমুখ তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে ভালো কোনও প্রস্তাব এলে তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।”
মনোনয়নপত্র জমার সময় হলফনামায় প্রার্থীদের ফৌজদারি মামলার তথ্যের সময়সীমা ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে আজীবন করার প্রস্তাবও এসেছে কমিশনের আলোচনায়।
এবার ৪৪ লাখ ৬ হাজার নতুন ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছে, যা থেকে আগামী সপ্তাহেই সম্পূরক খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে আগস্টে।
ইসি জানিয়েছে, আসন সংখ্যা ৩০০-ই থাকবে। তবে জনসংখ্যার ভারসাম্য ও ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে সীমানা পুনঃবিন্যাস করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২২১টি আসনে কোনও আপত্তি আসেনি।
এবার ১৪৪টি রাজনৈতিক দল ১৪৭টি আবেদন করেছে নিবন্ধনের জন্য। যাচাই-বাছাই চলছে, যাদের আবেদন অপূর্ণ তারা ১৫ দিনের সময় পেয়েছে।
নাগরিক ঐক্য ও এনসিপির অনুরোধ সত্ত্বেও ‘শাপলা’ প্রতীক নির্বাচন কমিশনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
প্রবাসীদের জন্য এই প্রথমবার পোস্টাল ব্যালট চালু হচ্ছে। তারা অনলাইনে আবেদন করে ব্যালট পাবেন ও ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসন্ন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইসি সচিবালয় আইনের আওতায় একটি আলাদা ‘ইসি সার্ভিস’ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এনআইডি সংশোধনে আগের সাত মাসে ৯ লাখ আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে, বাকি আছে মাত্র ৭৪ হাজার। ধর্ম পরিবর্তনসহ নানা বিষয়ে সংশোধন প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন ব্যবস্থায় সংস্কার ও ক্ষমতা পুনঃস্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার অষ্টম কমিশন সভা শেষে কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ভোটে অনিয়ম হলে ‘পুরো নির্বাচনি আসনের ভোট গ্রহণ বন্ধ’ করার যে ক্ষমতা এক সময় ইসির ছিল, সেটি ফিরিয়ে আনার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে।
কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, “বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের শুধু ভোটকেন্দ্র বাতিলের ক্ষমতা আছে। কিন্তু পুরো আসনের নির্বাচন বন্ধ করার ক্ষমতা আগেও ছিল, যা পরে আইন সংশোধনের মাধ্যমে সরিয়ে নেওয়া হয়। আমরা সেই ক্ষমতা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রস্তাব দিয়েছি এবং আশাবাদী আমরা তা পাব।”
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও)-এর ৯১ ধারায় ২০২৩ সালের সংশোধনীতে ‘ইলেকশন’ শব্দের পরিবর্তে ‘পোলিং’ শব্দ যুক্ত হওয়ায় ইসির পুরো নির্বাচনি প্রক্রিয়া বন্ধ করার ক্ষমতা খর্ব হয়। এতে কমিশন শুধু ভোটের দিনেই কেন্দ্র স্থগিত করতে পারে, তবে তফসিল ঘোষণার পর বা ভোটের আগেই পুরো আসনের নির্বাচন বাতিল করতে পারে না।
সানাউল্লাহ জানান, কমিশন এ বিষয়ে আবার প্রস্তাব দিয়েছে এবং আশা করা যাচ্ছে, আইন সংশোধনের মাধ্যমে সেই ক্ষমতা পুনঃস্থাপন হবে।
তরুণ ভোটারদের জন্য আলাদা বুথ বা ভোটার তালিকা তৈরির প্রয়োজন নেই বলেও মন্তব্য করেন কমিশনার সানাউল্লাহ। তবে তিনি বলেন, “ভোট বিমুখ তরুণদের উদ্বুদ্ধ করতে ভালো কোনও প্রস্তাব এলে তা বিবেচনায় নেওয়া হবে।”
মনোনয়নপত্র জমার সময় হলফনামায় প্রার্থীদের ফৌজদারি মামলার তথ্যের সময়সীমা ২০ বছর থেকে বাড়িয়ে আজীবন করার প্রস্তাবও এসেছে কমিশনের আলোচনায়।
এবার ৪৪ লাখ ৬ হাজার নতুন ভোটার তালিকাভুক্ত হয়েছে, যা থেকে আগামী সপ্তাহেই সম্পূরক খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে আগস্টে।
ইসি জানিয়েছে, আসন সংখ্যা ৩০০-ই থাকবে। তবে জনসংখ্যার ভারসাম্য ও ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে সীমানা পুনঃবিন্যাস করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ২২১টি আসনে কোনও আপত্তি আসেনি।
এবার ১৪৪টি রাজনৈতিক দল ১৪৭টি আবেদন করেছে নিবন্ধনের জন্য। যাচাই-বাছাই চলছে, যাদের আবেদন অপূর্ণ তারা ১৫ দিনের সময় পেয়েছে।
নাগরিক ঐক্য ও এনসিপির অনুরোধ সত্ত্বেও ‘শাপলা’ প্রতীক নির্বাচন কমিশনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি।
প্রবাসীদের জন্য এই প্রথমবার পোস্টাল ব্যালট চালু হচ্ছে। তারা অনলাইনে আবেদন করে ব্যালট পাবেন ও ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আসন্ন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করা হবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত ও সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ইসি সচিবালয় আইনের আওতায় একটি আলাদা ‘ইসি সার্ভিস’ চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। এনআইডি সংশোধনে আগের সাত মাসে ৯ লাখ আবেদন নিষ্পত্তি হয়েছে, বাকি আছে মাত্র ৭৪ হাজার। ধর্ম পরিবর্তনসহ নানা বিষয়ে সংশোধন প্রক্রিয়া সহজ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।