ফ্ল্যাপে সমস্যার কারণে ইতালির রোমে আটকা পড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ। গত ২৮ দিনের মধ্যে এটি বিমানের বহরে থাকা বোয়িং উড়োজাহাজের অষ্টম যান্ত্রিক ত্রুটি।
ইতালির স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় রোম থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটটি লিওনার্দো দা ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার কথা থাকলেও উড়োজাহাজটির ফ্ল্যাপে ত্রুটি শনাক্ত করে প্রকৌশলীরা। ফ্ল্যাপ উড়োজাহাজের ডানায় স্থাপিত এমন এক যন্ত্রাংশ যা উড্ডয়ন নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিমান কর্মকর্তারা জানান, লন্ডন থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ পাঠানো হচ্ছে। যন্ত্রাংশ পৌঁছানোর পর ফ্ল্যাপ মেরামত করে একই ফ্লাইটে যাত্রীদের দেশে ফেরানো হবে। নিয়ম অনুযায়ী ২৬২ জন যাত্রীকে হোটেলে পাঠানো হয়েছে। বিমানের মুখপাত্র জানান, বিকল্প কোনো ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে না, মেরামত শেষ না হওয়া পর্যন্ত যাত্রীরা বিমানের খরচে হোটেলেই থাকবেন।
এর আগে গত শনিবার সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিমানের একটি বোয়িংয়ে সমস্যা দেখা দেয়, যা সারাতে দুই ঘণ্টা বিলম্ব হয়। বৃহস্পতিবার রাতে আবুধাবিগামী একটি বোয়িং উড়োজাহাজের সব টয়লেট বিকল হয়ে গেলে সেটি ঢাকায় ফিরে আসে। তার আগের দিন ব্যাংককগামী একটি বোয়িং ৭৩৭ ইঞ্জিনে অতিরিক্ত কম্পন শনাক্ত করে ফিরিয়ে আনা হয়।
গত ৩০ জুলাই শারজাহ বিমানবন্দরে, ২৮ জুলাই দাম্মামগামী বোয়িং ৭৭৭-ইআর, ২৪ জুলাই চট্টগ্রামগামী ড্রিমলাইনার এবং ১৬ জুলাই দুবাইয়ে বোয়িং ৭৮৭-৯–এও ত্রুটি ধরা পড়ে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ফ্লাইট বিলম্ব বা বাতিল হয়েছে।
বর্তমানে বিমানের বহরে মোট ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে, যার মধ্যে ১৬টি বোয়িং—ছয়টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার, চারটি ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং ছয়টি ৭৩৭ ন্যারোবডি। এছাড়া স্বল্পদূরত্বের রুটে চলাচলকারী পাঁচটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নতুন করে ২৫টি বোয়িং কেনার আলোচনা চললেও, ধারাবাহিক যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
সোমবার, ১১ আগস্ট ২০২৫
ফ্ল্যাপে সমস্যার কারণে ইতালির রোমে আটকা পড়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ। গত ২৮ দিনের মধ্যে এটি বিমানের বহরে থাকা বোয়িং উড়োজাহাজের অষ্টম যান্ত্রিক ত্রুটি।
ইতালির স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় রোম থেকে ঢাকাগামী ফ্লাইটটি লিওনার্দো দা ভিঞ্চি বিমানবন্দর থেকে ছাড়ার কথা থাকলেও উড়োজাহাজটির ফ্ল্যাপে ত্রুটি শনাক্ত করে প্রকৌশলীরা। ফ্ল্যাপ উড়োজাহাজের ডানায় স্থাপিত এমন এক যন্ত্রাংশ যা উড্ডয়ন নিয়ন্ত্রণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
বিমান কর্মকর্তারা জানান, লন্ডন থেকে প্রয়োজনীয় যন্ত্রাংশ পাঠানো হচ্ছে। যন্ত্রাংশ পৌঁছানোর পর ফ্ল্যাপ মেরামত করে একই ফ্লাইটে যাত্রীদের দেশে ফেরানো হবে। নিয়ম অনুযায়ী ২৬২ জন যাত্রীকে হোটেলে পাঠানো হয়েছে। বিমানের মুখপাত্র জানান, বিকল্প কোনো ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে না, মেরামত শেষ না হওয়া পর্যন্ত যাত্রীরা বিমানের খরচে হোটেলেই থাকবেন।
এর আগে গত শনিবার সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি বিমানবন্দরে অবতরণের পর বিমানের একটি বোয়িংয়ে সমস্যা দেখা দেয়, যা সারাতে দুই ঘণ্টা বিলম্ব হয়। বৃহস্পতিবার রাতে আবুধাবিগামী একটি বোয়িং উড়োজাহাজের সব টয়লেট বিকল হয়ে গেলে সেটি ঢাকায় ফিরে আসে। তার আগের দিন ব্যাংককগামী একটি বোয়িং ৭৩৭ ইঞ্জিনে অতিরিক্ত কম্পন শনাক্ত করে ফিরিয়ে আনা হয়।
গত ৩০ জুলাই শারজাহ বিমানবন্দরে, ২৮ জুলাই দাম্মামগামী বোয়িং ৭৭৭-ইআর, ২৪ জুলাই চট্টগ্রামগামী ড্রিমলাইনার এবং ১৬ জুলাই দুবাইয়ে বোয়িং ৭৮৭-৯–এও ত্রুটি ধরা পড়ে। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ফ্লাইট বিলম্ব বা বাতিল হয়েছে।
বর্তমানে বিমানের বহরে মোট ২১টি উড়োজাহাজ রয়েছে, যার মধ্যে ১৬টি বোয়িং—ছয়টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার, চারটি ৭৭৭-৩০০ ইআর এবং ছয়টি ৭৩৭ ন্যারোবডি। এছাড়া স্বল্পদূরত্বের রুটে চলাচলকারী পাঁচটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে নতুন করে ২৫টি বোয়িং কেনার আলোচনা চললেও, ধারাবাহিক যান্ত্রিক ত্রুটি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।