সরকার ভোটার তালিকা আইন সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বছরের যেকোনো সময় ভোটার তালিকা প্রকাশ ও সংশোধনের ক্ষমতা দিয়েছে। এতে করে তফসিল ঘোষণার আগেই খসড়া তালিকা প্রকাশে আর কোনো বাধা থাকল না।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে। এর মধ্য দিয়ে সংশোধন হয়েছে ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯।
নতুন বিধান অনুযায়ী, এখন থেকে বছরে নির্ধারিত সময় ছাড়াও— যে কোনো সময়, এমনকি তফসিল ঘোষণার আগেও— ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রকাশ করতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
সংসদের বাইরে থাকা বর্তমান নির্বাচন কমিশন (এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন) ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করে। জুনের মধ্যে প্রায় **৪৪ লাখ ৫০ হাজার** নতুন ভোটারকে নিবন্ধন করা হয়।
কিন্তু আইনি বাধায় তালিকাটি প্রকাশ সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ, বিদ্যমান আইনে প্রতি বছর **২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা** এবং **২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা** প্রকাশের বিধান ছিল। অথচ সরকার ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে, যা ইসিকে চাপের মুখে ফেলে।
এই জটিলতা নিরসনে সরকার আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। গত ১৭ জুলাই উপদেষ্টা পরিষদ অধ্যাদেশের খসড়ায় সম্মতি দেয়।
কী আছে নতুন অধ্যাদেশে?
২০০৯ সালের ভোটার তালিকা আইনের ধারা ৩(জ)-তে ‘জানুয়ারি মাসের পহেলা তারিখ’ শব্দগুলোর পর যুক্ত করা হয়েছে— **‘কমিশন কর্তৃক ঘোষিত অন্য কোনো তারিখ’**। অর্থাৎ, এখন থেকে কমিশন চাইলে বছরের অন্য সময়েও ভোটার তালিকা সংশোধন বা হালনাগাদ করতে পারবে।
এ ছাড়া, ধারা ১১-এ নতুন উপধারা (১) যোগ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে—
> ‘কম্পিউটার ডেটাবেজে সংরক্ষিত ভোটার তালিকা প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত অথবা তফসিল ঘোষণার পূর্বে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হালনাগাদ করা যাবে।’**
এই হালনাগাদের মধ্যে থাকবে:
* ১৮ বছর পূর্ণ করা ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি
* মৃত বা অযোগ্য ভোটারের নাম কর্তন
* বাসস্থান পরিবর্তনকারী ভোটারের স্থানান্তর
এছাড়া, নতুন সংযোজন হিসেবে বলা হয়েছে— এই সময়সীমার মধ্যে তালিকা হালনাগাদ না হলেও তার বৈধতা বা ধারাবাহিকতা প্রভাবিত হবে না।
বড় ধরনের পরিবর্তন
এই সংশোধনের ফলে এখন আর ১ জানুয়ারি জন্মদিন পার না হওয়ায় ভোটার হতে এক বছর অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। এখন থেকে বছরের অন্য সময়েও যারা ১৮ বছর পূর্ণ করবেন, তারা তালিকাভুক্ত হতে পারবেন।
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
সরকার ভোটার তালিকা আইন সংশোধন করে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) বছরের যেকোনো সময় ভোটার তালিকা প্রকাশ ও সংশোধনের ক্ষমতা দিয়েছে। এতে করে তফসিল ঘোষণার আগেই খসড়া তালিকা প্রকাশে আর কোনো বাধা থাকল না।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ‘ভোটার তালিকা (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করে। এর মধ্য দিয়ে সংশোধন হয়েছে ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯।
নতুন বিধান অনুযায়ী, এখন থেকে বছরে নির্ধারিত সময় ছাড়াও— যে কোনো সময়, এমনকি তফসিল ঘোষণার আগেও— ভোটার তালিকা হালনাগাদ ও প্রকাশ করতে পারবে নির্বাচন কমিশন।
সংসদের বাইরে থাকা বর্তমান নির্বাচন কমিশন (এএমএম নাসির উদ্দিন নেতৃত্বাধীন) ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করে। জুনের মধ্যে প্রায় **৪৪ লাখ ৫০ হাজার** নতুন ভোটারকে নিবন্ধন করা হয়।
কিন্তু আইনি বাধায় তালিকাটি প্রকাশ সম্ভব হচ্ছিল না। কারণ, বিদ্যমান আইনে প্রতি বছর **২ জানুয়ারি খসড়া তালিকা** এবং **২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা** প্রকাশের বিধান ছিল। অথচ সরকার ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে, যা ইসিকে চাপের মুখে ফেলে।
এই জটিলতা নিরসনে সরকার আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেয়। গত ১৭ জুলাই উপদেষ্টা পরিষদ অধ্যাদেশের খসড়ায় সম্মতি দেয়।
কী আছে নতুন অধ্যাদেশে?
২০০৯ সালের ভোটার তালিকা আইনের ধারা ৩(জ)-তে ‘জানুয়ারি মাসের পহেলা তারিখ’ শব্দগুলোর পর যুক্ত করা হয়েছে— **‘কমিশন কর্তৃক ঘোষিত অন্য কোনো তারিখ’**। অর্থাৎ, এখন থেকে কমিশন চাইলে বছরের অন্য সময়েও ভোটার তালিকা সংশোধন বা হালনাগাদ করতে পারবে।
এ ছাড়া, ধারা ১১-এ নতুন উপধারা (১) যোগ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে—
> ‘কম্পিউটার ডেটাবেজে সংরক্ষিত ভোটার তালিকা প্রতি বছর ২ জানুয়ারি থেকে ২ মার্চ পর্যন্ত অথবা তফসিল ঘোষণার পূর্বে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে হালনাগাদ করা যাবে।’**
এই হালনাগাদের মধ্যে থাকবে:
* ১৮ বছর পূর্ণ করা ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তি
* মৃত বা অযোগ্য ভোটারের নাম কর্তন
* বাসস্থান পরিবর্তনকারী ভোটারের স্থানান্তর
এছাড়া, নতুন সংযোজন হিসেবে বলা হয়েছে— এই সময়সীমার মধ্যে তালিকা হালনাগাদ না হলেও তার বৈধতা বা ধারাবাহিকতা প্রভাবিত হবে না।
বড় ধরনের পরিবর্তন
এই সংশোধনের ফলে এখন আর ১ জানুয়ারি জন্মদিন পার না হওয়ায় ভোটার হতে এক বছর অপেক্ষার প্রয়োজন নেই। এখন থেকে বছরের অন্য সময়েও যারা ১৮ বছর পূর্ণ করবেন, তারা তালিকাভুক্ত হতে পারবেন।