চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ঈদের পর ‘কঠোর’ আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সোমবার (২ জুন) সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর এ হুঁশিয়ারি দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশের পর কর্মচারী নেতারা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দেন। এ সময় দুই উপদেষ্টা দপ্তরে ছিলেন না। এর আগের দিনও তারা অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেন।
কর্মচারী নেতা বাদিউল কবীর আরও বলেন, ‘আমরা আনুগত্য, নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী। কিন্তু আজকে আমাদের আনুগত্যের বাইরে ঠেলে দেয়ার অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে।’
তিনি এই ‘অপতৎপরতার তীব্র’ নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘সরকার কালো অধ্যাদেশ থেকে যে খারাপ বিষয়গুলো আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে, সেকারণে শুধু বাংলাদেশ সচিবালয় নয়, সারা বাংলাদেশের সব দপ্তর, সংস্থা ও পরিষেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারীরা ক্ষোভে ফুঁসছে।’
তারা এই ‘কালো আইনকে ধিক্কার’ জানাচ্ছেন দাবি করে বাদিউল কবীর বলেন, ‘এই নিবর্তনমূলক কালো আইন প্রত্যাহার করা না পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবে। এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।’
প্রায় ১৮ লাখ সরকারি কর্মচারী আত্মীয় মিলে মোট দুই কোটি মানুষের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আজকে সরকারকে এই দুই কোটি মানুষের মুখোমুখি করা হয়েছে এই কালো আইন প্রবর্তন করে। আজ বিভিন্ন জায়গায় অস্থিরতা বিরাজ করছে। সেই অস্থিরতা প্রশমনের কোনো উদ্যোগ নেই।’
‘স্বল্প’ সময়ের মধ্যে এই ‘কালো’ আইন সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বাদিউল কবীর বলেন, ‘আরেকটি কথা না বললেই নয়। কর্মচারীদের শাস্তি ও শৃঙ্খলাপূর্ণ এবং ভদ্রোচিত আচরণকে আপনারা যদি দুর্বলতা মনে করেন, সেটা আপনাদের জন্য বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে। দেশটা মুসলিম প্রধান দেশ, সামনে কোরবানি ও বাজেট, তাই আমরা কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেইনি।’
‘কঠোর’ আন্দোলনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা; প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সেক্টরের কর্মচারীরা ঈদের পরে কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন। উপজেলা, জেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে যেখানে সরকারের কর্মচারীরা কর্মরত আছেন, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন বাস্তবায়ন করবেন।’
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে ঈদের পর ‘কঠোর’ আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সচিবালয়ের কর্মচারীরা।
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ-২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সোমবার (২ জুন) সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদিউল কবীর এ হুঁশিয়ারি দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশের পর কর্মচারী নেতারা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দেন। এ সময় দুই উপদেষ্টা দপ্তরে ছিলেন না। এর আগের দিনও তারা অন্তর্বর্তী সরকারের তিন উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দেন।
কর্মচারী নেতা বাদিউল কবীর আরও বলেন, ‘আমরা আনুগত্য, নিয়মানুবর্তিতা ও শৃঙ্খলায় বিশ্বাসী। কিন্তু আজকে আমাদের আনুগত্যের বাইরে ঠেলে দেয়ার অপতৎপরতা চালানো হচ্ছে।’
তিনি এই ‘অপতৎপরতার তীব্র’ নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘সরকার কালো অধ্যাদেশ থেকে যে খারাপ বিষয়গুলো আমাদের ওপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে, সেকারণে শুধু বাংলাদেশ সচিবালয় নয়, সারা বাংলাদেশের সব দপ্তর, সংস্থা ও পরিষেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মচারীরা ক্ষোভে ফুঁসছে।’
তারা এই ‘কালো আইনকে ধিক্কার’ জানাচ্ছেন দাবি করে বাদিউল কবীর বলেন, ‘এই নিবর্তনমূলক কালো আইন প্রত্যাহার করা না পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবে। এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার দৃঢ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে।’
প্রায় ১৮ লাখ সরকারি কর্মচারী আত্মীয় মিলে মোট দুই কোটি মানুষের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘আজকে সরকারকে এই দুই কোটি মানুষের মুখোমুখি করা হয়েছে এই কালো আইন প্রবর্তন করে। আজ বিভিন্ন জায়গায় অস্থিরতা বিরাজ করছে। সেই অস্থিরতা প্রশমনের কোনো উদ্যোগ নেই।’
‘স্বল্প’ সময়ের মধ্যে এই ‘কালো’ আইন সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বাদিউল কবীর বলেন, ‘আরেকটি কথা না বললেই নয়। কর্মচারীদের শাস্তি ও শৃঙ্খলাপূর্ণ এবং ভদ্রোচিত আচরণকে আপনারা যদি দুর্বলতা মনে করেন, সেটা আপনাদের জন্য বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে। দেশটা মুসলিম প্রধান দেশ, সামনে কোরবানি ও বাজেট, তাই আমরা কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি দেইনি।’
‘কঠোর’ আন্দোলনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা; প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সেক্টরের কর্মচারীরা ঈদের পরে কঠোর আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখেন। উপজেলা, জেলা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে যেখানে সরকারের কর্মচারীরা কর্মরত আছেন, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন বাস্তবায়ন করবেন।’