বাংলাদেশে রাষ্ট্র পুনর্গঠন এবং অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে উদ্যোগ চলছে, তাতে ‘পূর্ণ সমর্থন’ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের—বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।
বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,
“গত বছরের ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে ঘটে যাওয়া জনপ্রিয় গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে। আজ যে রাষ্ট্র পুনর্গঠন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রয়াস আমরা দেখছি, তার ভিত্তি তৈরি হয়েছিল সেই সাহস, অঙ্গীকার এবং আত্মত্যাগের পথ ধরেই।”
তিনি বলেন,
“গত বছর যারা জীবন দিয়েছেন, আমরা তাদের ত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। সংস্কারের পথে জাতীয় ঐক্য গঠনের চেষ্টায় এবং আগামী বছরের শুরুতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা যে পরিকল্পনা নিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র তা পুরোপুরি সমর্থন করে।”
ট্রেসি জ্যাকবসন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে সাম্প্রতিক টেলিফোন সংলাপেও এই সমর্থনের বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই বার্তা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিক প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সমর্থনের দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন,
“যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। তবে পূর্ববর্তী মার্কিন প্রশাসনের আমলে যেসব শুল্ক আরোপ হয়েছিল, তা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমরা আবারও আলোচনায় বসছি।”
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনার জন্য তিনি বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন রওনা হচ্ছেন এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শুল্ক প্রত্যাহারে ইতিবাচক সমঝোতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও মানবাধিকারকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়, যেখানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
---
বৃহস্পতিবার, ০৩ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশে রাষ্ট্র পুনর্গঠন এবং অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের যে উদ্যোগ চলছে, তাতে ‘পূর্ণ সমর্থন’ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের—বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন।
বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,
“গত বছরের ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে ঘটে যাওয়া জনপ্রিয় গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে। আজ যে রাষ্ট্র পুনর্গঠন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রয়াস আমরা দেখছি, তার ভিত্তি তৈরি হয়েছিল সেই সাহস, অঙ্গীকার এবং আত্মত্যাগের পথ ধরেই।”
তিনি বলেন,
“গত বছর যারা জীবন দিয়েছেন, আমরা তাদের ত্যাগকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করি। সংস্কারের পথে জাতীয় ঐক্য গঠনের চেষ্টায় এবং আগামী বছরের শুরুতে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে প্রধান উপদেষ্টা যে পরিকল্পনা নিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র তা পুরোপুরি সমর্থন করে।”
ট্রেসি জ্যাকবসন জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে সাম্প্রতিক টেলিফোন সংলাপেও এই সমর্থনের বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের এই বার্তা বাংলাদেশের বর্তমান রাজনীতিক প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক সমর্থনের দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন,
“যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক অংশীদার। তবে পূর্ববর্তী মার্কিন প্রশাসনের আমলে যেসব শুল্ক আরোপ হয়েছিল, তা তুলে নেওয়ার বিষয়ে আমরা আবারও আলোচনায় বসছি।”
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের সঙ্গে আলোচনার জন্য তিনি বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন রওনা হচ্ছেন এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে শুল্ক প্রত্যাহারে ইতিবাচক সমঝোতার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, কূটনীতিক, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও মানবাধিকারকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়, যেখানে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
---