আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের ‘বিতর্কিত নির্বাচনে’ দায়িত্ব পালন করা প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের বাদ দিয়ে নতুনদের নিয়োগ দেওয়া যায় কি না—সেই সম্ভাবনা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলা–সংশ্লিষ্ট উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই নির্দেশ দেন তিনি। পরে রাত আটটায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই লক্ষ্যেই সব প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে। এর অংশ হিসেবে পূর্বের বিতর্কিত নির্বাচনগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যতটা সম্ভব বাদ দিয়ে নতুনভাবে নিয়োগের কথা বিবেচনা করতে বলেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভোটে যাতে অনিয়ম না হয়, সেজন্য উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। পাশাপাশি, এক থানার পুলিশ সদস্যকে অন্য থানায় দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
প্রেস সচিব জানান, এবারের নির্বাচনে প্রায় ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্র থাকবে। এর মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো ও পুলিশ সদস্যদের বডি ক্যামেরা ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সঠিক মনিটরিংয়ের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনের আগে প্রয়োজনে ‘রিহার্সাল নির্বাচন’ আয়োজনের কথাও বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। যেন সবাই অনুশীলন করতে পারে ও ভোটাররা কীভাবে ভোট দেবেন, তা বুঝতে পারেন। ভোটারদের জন্য ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে টেলিভিশন ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নারী কর্মকর্তা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “অর্ধেক ভোটার নারী, কেউ যেন তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে না পারে।”
ভোটের সময় ইন্টারনেট সচল রাখা, প্রকৃত গণমাধ্যমের দায়িত্ব পালনের সুযোগ নিশ্চিত করা, এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষকের নামে দলীয় লোককে কেন্দ্রে না পাঠানোর বিষয়েও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, “১৬ বছর মানুষ প্রকৃত ভোট দেখেনি। তাঁদের স্মৃতিতে আছে ভোট চুরি, কেন্দ্র দখল। আগামী নির্বাচন যেন ভোটারদের জন্য একটি সম্মানের অভিজ্ঞতা হয়—এমনটা নিশ্চিত করতে চান প্রধান উপদেষ্টা।”
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের ‘বিতর্কিত নির্বাচনে’ দায়িত্ব পালন করা প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসারদের বাদ দিয়ে নতুনদের নিয়োগ দেওয়া যায় কি না—সেই সম্ভাবনা যাচাইয়ের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ আইনশৃঙ্খলা–সংশ্লিষ্ট উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এই নির্দেশ দেন তিনি। পরে রাত আটটায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ফেব্রুয়ারি বা এপ্রিলের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেই লক্ষ্যেই সব প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে। এর অংশ হিসেবে পূর্বের বিতর্কিত নির্বাচনগুলোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের যতটা সম্ভব বাদ দিয়ে নতুনভাবে নিয়োগের কথা বিবেচনা করতে বলেছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ভোটে যাতে অনিয়ম না হয়, সেজন্য উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় এবং কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মনিটরিং সেল গঠন করা হবে। পাশাপাশি, এক থানার পুলিশ সদস্যকে অন্য থানায় দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।
প্রেস সচিব জানান, এবারের নির্বাচনে প্রায় ৪৭ হাজার ভোটকেন্দ্র থাকবে। এর মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো ও পুলিশ সদস্যদের বডি ক্যামেরা ব্যবহারের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। সঠিক মনিটরিংয়ের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও নিতে বলা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনের আগে প্রয়োজনে ‘রিহার্সাল নির্বাচন’ আয়োজনের কথাও বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। যেন সবাই অনুশীলন করতে পারে ও ভোটাররা কীভাবে ভোট দেবেন, তা বুঝতে পারেন। ভোটারদের জন্য ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে টেলিভিশন ও সামাজিক মাধ্যমে প্রচারের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নারী কর্মকর্তা রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “অর্ধেক ভোটার নারী, কেউ যেন তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে না পারে।”
ভোটের সময় ইন্টারনেট সচল রাখা, প্রকৃত গণমাধ্যমের দায়িত্ব পালনের সুযোগ নিশ্চিত করা, এবং নির্বাচন পর্যবেক্ষকের নামে দলীয় লোককে কেন্দ্রে না পাঠানোর বিষয়েও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, “১৬ বছর মানুষ প্রকৃত ভোট দেখেনি। তাঁদের স্মৃতিতে আছে ভোট চুরি, কেন্দ্র দখল। আগামী নির্বাচন যেন ভোটারদের জন্য একটি সম্মানের অভিজ্ঞতা হয়—এমনটা নিশ্চিত করতে চান প্রধান উপদেষ্টা।”