ছবি: সংগৃহিত
টানা কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে দেখা দেওয়া বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে কিছুটা স্বস্তির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার থেকে বৃষ্টিপাত ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের অনেক স্থানে এখনও বৃষ্টি হতে পারে, তবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় কম হবে।
এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা—এই চারটি সমুদ্রবন্দরকে সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
লঘুচাপ দুর্বল, মৌসুমী বায়ু সক্রিয়
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে মৌসুমী বায়ুর অক্ষরেখায় বিলীন হয়ে গেছে। এ কারণে বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমেছে এবং শুক্রবার তা আরও কমে আসবে।
বুলেটিনে বলা হয়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল ও আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে এটি মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
কোথায় কেমন বৃষ্টি হতে পারে?
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহের কিছু কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণও হতে পারে।
এ সময় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার পরিসংখ্যান
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে—৮৫ মিলিমিটার।
গোপালগঞ্জে ৮০, রাজশাহীর বাঘাবাড়িতে ৭৩ এবং আরিচায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নীলফামারীর ডিমলায়—৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাদারীপুরে—২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ছবি: সংগৃহিত
শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫
টানা কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বেড়ে দেখা দেওয়া বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে কিছুটা স্বস্তির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শুক্রবার থেকে বৃষ্টিপাত ধীরে ধীরে কমে আসবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের অনেক স্থানে এখনও বৃষ্টি হতে পারে, তবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় কম হবে।
এদিকে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়ার সম্ভাবনা না থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা—এই চারটি সমুদ্রবন্দরকে সতর্কতা সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
লঘুচাপ দুর্বল, মৌসুমী বায়ু সক্রিয়
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির জানিয়েছেন, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করা লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে মৌসুমী বায়ুর অক্ষরেখায় বিলীন হয়ে গেছে। এ কারণে বৃহস্পতিবার বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা কমেছে এবং শুক্রবার তা আরও কমে আসবে।
বুলেটিনে বলা হয়, মৌসুমী বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল ও আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে এটি মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
কোথায় কেমন বৃষ্টি হতে পারে?
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ময়মনসিংহের কিছু কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণও হতে পারে।
এ সময় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
বৃষ্টিপাত ও তাপমাত্রার পরিসংখ্যান
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে—৮৫ মিলিমিটার।
গোপালগঞ্জে ৮০, রাজশাহীর বাঘাবাড়িতে ৭৩ এবং আরিচায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এ সময়ে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল নীলফামারীর ডিমলায়—৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাদারীপুরে—২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।