রাজনীতিতে হঠাৎ করে তৈরি হওয়া উত্তেজনা, গুঞ্জন ও বিভ্রান্তির আবহে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার রাতেই তার রাজধানীর বাসভবন ‘যমুনা’য় এ বৈঠক দুটি অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির সঙ্গে বৈঠকটি রাত সাড়ে ৭টায় এবং জামায়াতে ইসলামী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকটি সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং জামায়াতের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেবেন দলের আমির শফিকুর রহমান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, “সাড়ে ৭টায় সাক্ষাতের সময় আমাদেরকে জানানো হয়েছে।” জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, “বর্তমান উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমাদের আমির সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বানের অনুরোধ করেছেন। সেই আলোচনার অংশ হিসেবেই এই সাক্ষাৎ।”
উল্লেখ্য, গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করলে, তিন দিন পর ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। এর সাড়ে নয় মাস পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন প্রশ্নে একমত হতে পারেনি বিএনপি ও অভ্যুত্থানের নেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সম্প্রতি বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ করানো এবং নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য, এমনকি উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবিও উঠেছে।
এমন পটভূমিতে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন সাবেক ছাত্রনেতা ও এনসিপির সাবেক সদস্য নাহিদ, যিনি ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। একই দিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এরপর বিএনপির স্থায়ী কমিটি ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে। একই দিনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় বৈঠকে নির্বাচন ও রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা হয় এবং দলটির আমির প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সর্বদলীয় সংলাপ আয়োজনের আহ্বান জানান।
এদিকে, সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সম্প্রতি সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলার খবর গণমাধ্যমে আসার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয়।
এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এক ফেইসবুক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ না করার পক্ষে আশা প্রকাশ করেন এবং সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক ‘শক্তিশালী’ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যদিও পরবর্তীতে তিনি সেই পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন।
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
রাজনীতিতে হঠাৎ করে তৈরি হওয়া উত্তেজনা, গুঞ্জন ও বিভ্রান্তির আবহে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ মুহাম্মদ ইউনূস। শনিবার রাতেই তার রাজধানীর বাসভবন ‘যমুনা’য় এ বৈঠক দুটি অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপির সঙ্গে বৈঠকটি রাত সাড়ে ৭টায় এবং জামায়াতে ইসলামী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকটি সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকে বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং জামায়াতের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেবেন দলের আমির শফিকুর রহমান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেন, “সাড়ে ৭টায় সাক্ষাতের সময় আমাদেরকে জানানো হয়েছে।” জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, “বর্তমান উদ্ভূত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আমাদের আমির সর্বদলীয় বৈঠক আহ্বানের অনুরোধ করেছেন। সেই আলোচনার অংশ হিসেবেই এই সাক্ষাৎ।”
উল্লেখ্য, গত বছর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশত্যাগ করলে, তিন দিন পর ৮ আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার শপথ নেয়। এর সাড়ে নয় মাস পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন প্রশ্নে একমত হতে পারেনি বিএনপি ও অভ্যুত্থানের নেতাদের দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সম্প্রতি বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ করানো এবং নির্বাচনকালীন সরকারের কাঠামো নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য, এমনকি উপদেষ্টাদের পদত্যাগ দাবিও উঠেছে।
এমন পটভূমিতে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করেন সাবেক ছাত্রনেতা ও এনসিপির সাবেক সদস্য নাহিদ, যিনি ফেব্রুয়ারিতে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করেন। একই দিন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এরপর বিএনপির স্থায়ী কমিটি ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে নিজেদের অবস্থান জানিয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে। একই দিনে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় বৈঠকে নির্বাচন ও রাজনৈতিক উত্তেজনা নিয়ে আলোচনা হয় এবং দলটির আমির প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সর্বদলীয় সংলাপ আয়োজনের আহ্বান জানান।
এদিকে, সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান সম্প্রতি সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলার খবর গণমাধ্যমে আসার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয়।
এই প্রেক্ষাপটে শুক্রবার মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব এক ফেইসবুক পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ না করার পক্ষে আশা প্রকাশ করেন এবং সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক ‘শক্তিশালী’ বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। যদিও পরবর্তীতে তিনি সেই পোস্টটি সরিয়ে ফেলেন।