চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল পরিবহণ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে শনিবার। চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রকল্পটির উদ্বোধন করবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
২০১৬ সালে প্রকল্পটি হাতে নেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। তবে কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে এবং তিন দফা মেয়াদ বাড়ানোর পর এ বছরের মার্চে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। গত দেড় মাস ধরে পরীক্ষামূলকভাবে পাইপলাইনে তেল সরবরাহ চলার পর এখন নিয়মিতভাবে তা শুরু হচ্ছে।
বিপিসির প্রকল্প পরিচালক আমিনুল হক জানান, পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রতিবছর প্রায় ২৭ লাখ টন ডিজেল সরবরাহ করা যাবে। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে ২২ জুন থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৪ কোটি ৮২ লাখ লিটার ডিজেল সরবরাহ করা হয়েছে।
বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে নদীপথে তেল আনা হয় নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোতে, পরে সেখান থেকে সড়কপথে ঢাকায় নেওয়া হয়। এতে বিপুল ব্যয় হয়। পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ চালু হলে বছরে ২৩৬ কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
তিনি আরও বলেন, “পাইপলাইনে স্বল্প সময়ে ও দ্রুত গতিতে জ্বালানি সরবরাহ করা যাবে। প্রতিকূল আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগেও পরিবহন সম্ভব হবে, এতে পরিবেশ দূষণ ও সিস্টেম লসও কমবে।”
প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপো পর্যন্ত একটি পাইপলাইন এবং গোদনাইল থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত আরেকটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া বুস্টার পাম্প, ৯টি জেনারেটরসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে।
প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা। তবে কয়েক দফা বৃদ্ধি পেয়ে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকায়। বিপিসির এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।
শনিবার, ১৬ আগস্ট ২০২৫
চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পাইপলাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল পরিবহণ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হচ্ছে শনিবার। চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় প্রকল্পটির উদ্বোধন করবেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
২০১৬ সালে প্রকল্পটি হাতে নেয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। তবে কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালে এবং তিন দফা মেয়াদ বাড়ানোর পর এ বছরের মার্চে এর নির্মাণকাজ শেষ হয়। গত দেড় মাস ধরে পরীক্ষামূলকভাবে পাইপলাইনে তেল সরবরাহ চলার পর এখন নিয়মিতভাবে তা শুরু হচ্ছে।
বিপিসির প্রকল্প পরিচালক আমিনুল হক জানান, পাইপলাইনের মাধ্যমে প্রতিবছর প্রায় ২৭ লাখ টন ডিজেল সরবরাহ করা যাবে। পরীক্ষামূলক পর্যায়ে ২২ জুন থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৪ কোটি ৮২ লাখ লিটার ডিজেল সরবরাহ করা হয়েছে।
বর্তমানে চট্টগ্রাম থেকে নদীপথে তেল আনা হয় নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ও ফতুল্লা ডিপোতে, পরে সেখান থেকে সড়কপথে ঢাকায় নেওয়া হয়। এতে বিপুল ব্যয় হয়। পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহ চালু হলে বছরে ২৩৬ কোটি টাকা সাশ্রয় সম্ভব বলে জানান প্রকল্প পরিচালক।
তিনি আরও বলেন, “পাইপলাইনে স্বল্প সময়ে ও দ্রুত গতিতে জ্বালানি সরবরাহ করা যাবে। প্রতিকূল আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক দুর্যোগেও পরিবহন সম্ভব হবে, এতে পরিবেশ দূষণ ও সিস্টেম লসও কমবে।”
প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল ডিপো পর্যন্ত একটি পাইপলাইন এবং গোদনাইল থেকে ফতুল্লা পর্যন্ত আরেকটি পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া বুস্টার পাম্প, ৯টি জেনারেটরসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম স্থাপন করা হয়েছে।
প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ২ হাজার ৮৬১ কোটি টাকা। তবে কয়েক দফা বৃদ্ধি পেয়ে তা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকায়। বিপিসির এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।