সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের নামে থাকা ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম এই আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সংশ্লিষ্টরা তাদের অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর করার চেষ্টা করছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে; তাই অ্যাকাউন্টগুলো অবরুদ্ধ করা জরুরি।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের এই ১২৪টি অ্যাকাউন্টে মোট ৬৩৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ক সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য দিয়েছে।
এছাড়া, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের নামে বিপুল অর্থ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের পর ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশও দিয়েছে আদালত। নিষেধাজ্ঞার আদেশ পাওয়া অন্যান্যরা হলেন, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার তিন সন্তান টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সপরিবারে গোপনে দেশত্যাগের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা বিদেশ পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে দুদকে অনুসন্ধান চলছে। এই অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এই অভিযোগগুলোকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ এবং ‘মানহানিকর প্রচারণা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, তার পরিবার বা তিনি কখনো কোনো সরকারি প্রকল্প থেকে অর্থ গ্রহণ করেননি।
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং মেয়ে সায়মা ওয়াজেদের নামে থাকা ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম জানান, দুদকের উপ-পরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম এই আবেদন করেন। আবেদনে উল্লেখ করা হয়, সংশ্লিষ্টরা তাদের অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর করার চেষ্টা করছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে; তাই অ্যাকাউন্টগুলো অবরুদ্ধ করা জরুরি।
বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) জানিয়েছে, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের এই ১২৪টি অ্যাকাউন্টে মোট ৬৩৫ কোটি ১৪ লাখ টাকা রয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিষয়ক সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক এ তথ্য দিয়েছে।
এছাড়া, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের নামে বিপুল অর্থ লোপাটের অভিযোগ রয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের পর ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশও দিয়েছে আদালত। নিষেধাজ্ঞার আদেশ পাওয়া অন্যান্যরা হলেন, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব আহমেদ ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার তিন সন্তান টিউলিপ সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক ও রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সপরিবারে গোপনে দেশত্যাগের প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা বিদেশ পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়া প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগে দুদকে অনুসন্ধান চলছে। এই অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পাঁচ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে।
এদিকে, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এই অভিযোগগুলোকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ এবং ‘মানহানিকর প্রচারণা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, তার পরিবার বা তিনি কখনো কোনো সরকারি প্রকল্প থেকে অর্থ গ্রহণ করেননি।