বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পোশাককর্মীকে গুলি করার অভিযোগ, তদন্তে নির্দেশ দিয়েছে আদালত
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় এক পোশাককর্মীকে গুলি করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪৪ জন সাবেক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের আবেদন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে এই আবেদন করেন ভুক্তভোগী পোশাককর্মী আলাদুল ইসলাম।
আবেদনে অভিযোগ করা হয়, গত ৫ আগস্ট দুপুরে ঢাকার অদূরে আশুলিয়া থানার সামনে আলাদুল ইসলামকে গুলি করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মাহবুব হাসান জানান, পোশাককর্মী আলাদুলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এর আগে কোনো মামলা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত তদন্তের ফলাফল জমা দেওয়ার জন্য পিবিআইকে ২০ কার্যদিবস সময় দিয়েছেন।
আবেদনে শেখ হাসিনাসহ আরও ৩৪৪ জন সাবেক সংসদ সদস্যকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী টিপু মুনশি, ফরহাদ হোসেন এবং সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান।
এছাড়া বাদীপক্ষ আরও ১১৯ জনকে আসামি হিসেবে যুক্ত করার আবেদন করেছে।
গত আগস্ট মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সেই আন্দোলনের সময় আশুলিয়া থানার সামনে সংঘর্ষের মধ্যে আলাদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর দাবি, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের নির্দেশেই তাঁর ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবীর ভাষ্যমতে, আলাদুলের অভিযোগের পক্ষে প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। তাই এই মামলার যথাযথ তদন্ত প্রয়োজন।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, পিবিআই তদন্ত করে দেখবে, এ ঘটনায় কোনো মামলা ইতিপূর্বে দায়ের করা হয়েছে কি না। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে, মামলা গ্রহণযোগ্য হবে কি না।
আবেদনে উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করা হলে এটি হবে দেশের ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। এত সংখ্যক সাবেক সংসদ সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে এক মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘটনা আগে ঘটেনি।
দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে এই মামলা নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মামলাটি তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন হলে এটি ন্যায়বিচারের পথে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হতে পারে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পোশাককর্মীকে গুলি করার অভিযোগ, তদন্তে নির্দেশ দিয়েছে আদালত
বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতার আন্দোলনের সময় এক পোশাককর্মীকে গুলি করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৩৪৪ জন সাবেক সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের আবেদন করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতে এই আবেদন করেন ভুক্তভোগী পোশাককর্মী আলাদুল ইসলাম।
আবেদনে অভিযোগ করা হয়, গত ৫ আগস্ট দুপুরে ঢাকার অদূরে আশুলিয়া থানার সামনে আলাদুল ইসলামকে গুলি করা হয়। স্থানীয় লোকজন তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে একটি স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করান। পরে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মাহবুব হাসান জানান, পোশাককর্মী আলাদুলের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় এর আগে কোনো মামলা হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্য আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত তদন্তের ফলাফল জমা দেওয়ার জন্য পিবিআইকে ২০ কার্যদিবস সময় দিয়েছেন।
আবেদনে শেখ হাসিনাসহ আরও ৩৪৪ জন সাবেক সংসদ সদস্যকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের তালিকায় রয়েছেন সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী টিপু মুনশি, ফরহাদ হোসেন এবং সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান।
এছাড়া বাদীপক্ষ আরও ১১৯ জনকে আসামি হিসেবে যুক্ত করার আবেদন করেছে।
গত আগস্ট মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। সেই আন্দোলনের সময় আশুলিয়া থানার সামনে সংঘর্ষের মধ্যে আলাদুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হন। তাঁর দাবি, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতাদের নির্দেশেই তাঁর ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবীর ভাষ্যমতে, আলাদুলের অভিযোগের পক্ষে প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ রয়েছে। তাই এই মামলার যথাযথ তদন্ত প্রয়োজন।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, পিবিআই তদন্ত করে দেখবে, এ ঘটনায় কোনো মামলা ইতিপূর্বে দায়ের করা হয়েছে কি না। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে, মামলা গ্রহণযোগ্য হবে কি না।
আবেদনে উল্লেখিত আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণ করা হলে এটি হবে দেশের ইতিহাসে একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা। এত সংখ্যক সাবেক সংসদ সদস্য ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে এক মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘটনা আগে ঘটেনি।
দেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে এই মামলা নিয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মামলাটি তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন হলে এটি ন্যায়বিচারের পথে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ হতে পারে।