সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী দেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সাতটি অগ্রাধিকার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কর্মসূচির তালিকা তুলে ধরেন। কর্মসূচির লক্ষ্য তরুণ প্রজন্মের সাংস্কৃতিক উদ্দীপনা বৃদ্ধি এবং দেশের সাংস্কৃতিক পরিবেশকে সমৃদ্ধ করা।
ঘোষিত সাতটি কর্মসূচি:
১. রিমেম্বারিং মনসুন রেভল্যুশন
এই কর্মসূচির আওতায় ৮টি বিভাগের জন্য ৮ জন শীর্ষস্থানীয় নির্মাতার মাধ্যমে ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই কর্মশালা থেকে ৮টি থিয়েটার প্রোডাকশনও তৈরি করা হবে। তরুণদের কাছে পৌঁছানোর জন্য শীর্ষ শিল্পীদের অংশগ্রহণে নজরুলের গানের একটি অ্যালবাম তৈরি করা হবে এবং ঢাকায় একটি কেন্দ্রীয় কনসার্টের আয়োজন করা হবে।
২. তারুণ্যের উৎসব
আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে এই উৎসব পালিত হবে।
৩. দেশব্যাপী প্রতিভা সন্ধান
দেশের শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং তরুণদের মধ্যে সাংস্কৃতিক জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিভা সন্ধান কর্মসূচি শুরু হবে।
৪. ডিজিটাল ওরাল হিস্ট্রি প্রকল্প
এই প্রকল্পের আওতায় জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানের ঘটনার বয়ান সংগ্রহের জন্য দেশের মানুষের কাছে আহ্বান জানানো হবে। ব্যক্তিগত ভিডিও রেকর্ডিং আর্কাইভ করা হবে, যা ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে।
৫. বাংলা একাডেমি সৃজনশীল লেখালেখি কর্মশালা ও গবেষণা প্রকল্প
প্রতিশ্রুতিশীল লেখকদের নিয়ে সৃজনশীল লেখালেখি কর্মশালা আয়োজন এবং গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করবে বাংলা একাডেমি। ৫০টি গবেষণা প্রবন্ধ এবং ১০টি গবেষণাবৃত্তি প্রদান করা হবে।
৬. জাতীয় জাদুঘরে আধুনিক ভিডিও প্রক্ষেপণ ব্যবস্থা
জাতীয় জাদুঘরের অডিটরিয়ামে আধুনিক প্রক্ষেপণ ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে, যাতে স্টেজ পারফরম্যান্স, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র এবং ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট প্রদর্শন করা যায়।
৭. শো-ক্রিয়েটর ওয়ার্কশপ
আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষক দ্বারা তরুণদের জন্য শো-ক্রিয়েটর ওয়ার্কশপ আয়োজন করা হবে, যাতে নতুন নির্মাতারা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন।
উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হবে এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশে নতুন প্রাণের স্পন্দন যোগ হবে। তিনি জানান, ‘রিমেম্বারিং মনসুন রেভল্যুশন’ কর্মসূচির মাধ্যমে আগের সরকারের দুর্নীতি এবং নির্যাতনের ঘটনাগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। উপদেষ্টা ফারুকী আশা প্রকাশ করেন যে এই কর্মসূচি দেশের সাংস্কৃতিক জাগরণে একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।
শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪
সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী দেশের সাংস্কৃতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সাতটি অগ্রাধিকার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কর্মসূচির তালিকা তুলে ধরেন। কর্মসূচির লক্ষ্য তরুণ প্রজন্মের সাংস্কৃতিক উদ্দীপনা বৃদ্ধি এবং দেশের সাংস্কৃতিক পরিবেশকে সমৃদ্ধ করা।
ঘোষিত সাতটি কর্মসূচি:
১. রিমেম্বারিং মনসুন রেভল্যুশন
এই কর্মসূচির আওতায় ৮টি বিভাগের জন্য ৮ জন শীর্ষস্থানীয় নির্মাতার মাধ্যমে ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই কর্মশালা থেকে ৮টি থিয়েটার প্রোডাকশনও তৈরি করা হবে। তরুণদের কাছে পৌঁছানোর জন্য শীর্ষ শিল্পীদের অংশগ্রহণে নজরুলের গানের একটি অ্যালবাম তৈরি করা হবে এবং ঢাকায় একটি কেন্দ্রীয় কনসার্টের আয়োজন করা হবে।
২. তারুণ্যের উৎসব
আগামী ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে এই উৎসব পালিত হবে।
৩. দেশব্যাপী প্রতিভা সন্ধান
দেশের শিশু, কিশোর-কিশোরী এবং তরুণদের মধ্যে সাংস্কৃতিক জাগরণ সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতিভা সন্ধান কর্মসূচি শুরু হবে।
৪. ডিজিটাল ওরাল হিস্ট্রি প্রকল্প
এই প্রকল্পের আওতায় জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানের ঘটনার বয়ান সংগ্রহের জন্য দেশের মানুষের কাছে আহ্বান জানানো হবে। ব্যক্তিগত ভিডিও রেকর্ডিং আর্কাইভ করা হবে, যা ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হবে।
৫. বাংলা একাডেমি সৃজনশীল লেখালেখি কর্মশালা ও গবেষণা প্রকল্প
প্রতিশ্রুতিশীল লেখকদের নিয়ে সৃজনশীল লেখালেখি কর্মশালা আয়োজন এবং গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশ করবে বাংলা একাডেমি। ৫০টি গবেষণা প্রবন্ধ এবং ১০টি গবেষণাবৃত্তি প্রদান করা হবে।
৬. জাতীয় জাদুঘরে আধুনিক ভিডিও প্রক্ষেপণ ব্যবস্থা
জাতীয় জাদুঘরের অডিটরিয়ামে আধুনিক প্রক্ষেপণ ব্যবস্থা স্থাপন করা হবে, যাতে স্টেজ পারফরম্যান্স, আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র এবং ভিজ্যুয়াল কনটেন্ট প্রদর্শন করা যায়।
৭. শো-ক্রিয়েটর ওয়ার্কশপ
আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষক দ্বারা তরুণদের জন্য শো-ক্রিয়েটর ওয়ার্কশপ আয়োজন করা হবে, যাতে নতুন নির্মাতারা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারেন।
উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, এই কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হবে এবং সাংস্কৃতিক পরিবেশে নতুন প্রাণের স্পন্দন যোগ হবে। তিনি জানান, ‘রিমেম্বারিং মনসুন রেভল্যুশন’ কর্মসূচির মাধ্যমে আগের সরকারের দুর্নীতি এবং নির্যাতনের ঘটনাগুলো মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তারা, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। উপদেষ্টা ফারুকী আশা প্রকাশ করেন যে এই কর্মসূচি দেশের সাংস্কৃতিক জাগরণে একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।