ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ইউনিয়ন পরিষদে তালা দিয়ে সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগে স্থানীয় বিএনপি নেতা মহিদুল ইসলামসহ ছয়জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বৃহস্পতিবার, (৩১ জুলাই ২০২৫) দুপুরে উপজেলার নিত্যানন্দপুরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণের তালিকায় নিজের পছন্দ অনুযায়ী নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কয়েকদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হাফিজুর রহমানকে চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তার তালিকা গ্রহণ না করায় তিনি বৃহস্পতিবার সকালে ২০-২৫ জন সমর্থক নিয়ে পরিষদে গিয়ে সচিবকে টেনে হিচড়ে বাইরে নিয়ে যান এবং পরিষদের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। এ সময় পরিষদের ভেতরে থাকা সেবা নিতে আসা মানুষ ও কর্মচারীরা আটকে পড়েন। পরে মহিদুল ইসলাম সচিবকে নিয়ে শৈলকূপা ইউএনওর কার্যালয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে সেনাবাহিনীর একটি টিম অভিযান চালিয়ে মহিদুল ইসলামসহ ৬ জনকে আটক করে এবং সচিবকে উদ্ধার করে। ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তালা ভেঙে ভেতরে থাকা লোকজনকে বের করে আনে। ভিজিডি কার্ড বিতরণে বিএনপির স্থানীয় কোন্দলের জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা জানান।
অভিযুক্তরা শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন বাবর ফিরোজের সমর্থক বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দলীয়ভাবে প্রকৃত উপকারভোগীদের কিছু তালিকা দেয়া হয়েছিল ইউপি সচিবের কাছে। সচিব ট্যাগ অফিসারকে দায়ী করেন। বিষয়টি মোকাবিলা করার জন্য সচিবকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে নিয়ে আসা হয়। তবে ইউনিয়ন পরিষদে তালা মারা অন্যায় হয়েছে বলে জানান তিনি। শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেয়ার ঘটনায় বিএনপি নেতাসহ ৬ জন আটক হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সচিব হাফিজুর রহমানকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইউএনও শুভ্রা দাস বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে তালা দিয়ে সচিবকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে তারা উপজেলায় আমার কার্যালয়ে আসে। আমি ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি।
শুক্রবার, ০১ আগস্ট ২০২৫
ঝিনাইদহের শৈলকূপায় ইউনিয়ন পরিষদে তালা দিয়ে সেবা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগে স্থানীয় বিএনপি নেতা মহিদুল ইসলামসহ ছয়জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বৃহস্পতিবার, (৩১ জুলাই ২০২৫) দুপুরে উপজেলার নিত্যানন্দপুরে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানায়, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম ভিজিডি কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণের তালিকায় নিজের পছন্দ অনুযায়ী নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কয়েকদিন ধরে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হাফিজুর রহমানকে চাপ দিচ্ছিলেন। কিন্তু তার তালিকা গ্রহণ না করায় তিনি বৃহস্পতিবার সকালে ২০-২৫ জন সমর্থক নিয়ে পরিষদে গিয়ে সচিবকে টেনে হিচড়ে বাইরে নিয়ে যান এবং পরিষদের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেন। এ সময় পরিষদের ভেতরে থাকা সেবা নিতে আসা মানুষ ও কর্মচারীরা আটকে পড়েন। পরে মহিদুল ইসলাম সচিবকে নিয়ে শৈলকূপা ইউএনওর কার্যালয়ে যান। বিষয়টি জানাজানি হলে সেনাবাহিনীর একটি টিম অভিযান চালিয়ে মহিদুল ইসলামসহ ৬ জনকে আটক করে এবং সচিবকে উদ্ধার করে। ঘটনার পর উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তালা ভেঙে ভেতরে থাকা লোকজনকে বের করে আনে। ভিজিডি কার্ড বিতরণে বিএনপির স্থানীয় কোন্দলের জেরে এমন ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা জানান।
অভিযুক্তরা শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন বাবর ফিরোজের সমর্থক বলে জানিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, দলীয়ভাবে প্রকৃত উপকারভোগীদের কিছু তালিকা দেয়া হয়েছিল ইউপি সচিবের কাছে। সচিব ট্যাগ অফিসারকে দায়ী করেন। বিষয়টি মোকাবিলা করার জন্য সচিবকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে নিয়ে আসা হয়। তবে ইউনিয়ন পরিষদে তালা মারা অন্যায় হয়েছে বলে জানান তিনি। শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেয়ার ঘটনায় বিএনপি নেতাসহ ৬ জন আটক হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। সচিব হাফিজুর রহমানকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ইউএনও শুভ্রা দাস বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে তালা দিয়ে সচিবকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে তারা উপজেলায় আমার কার্যালয়ে আসে। আমি ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছি।