প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা সেটি উদঘাটনে সিসি ক্যামেরা ফুটেজে খুলতে পারে রহস্যের জট। ইতোমধ্যে দপ্তরগুলোর সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো একটি কুকুরের মৃতদেহসহ বিভিন্ন আলামত অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
যদিও সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ও আলামত পরীক্ষার বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য জানায়নি সংশ্লিষ্টরা। এদিকে কারণ উদঘাটনে অনুসন্ধান শুরু করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ৭ নম্বর ভবনে অনুসন্ধান কাজ শুরু করেন তারা। তদন্ত কমিটির পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারও অনুসন্ধান করছেন। বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটও।
অন্যদিকে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সচিবালয় ঘিরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কড়া পাহারা দেখা যায়। সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আট সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা সচিবালয়ে ঢোকেন। পরে তারা সচিবালয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ওসমান গণি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক তানভীর মনজুরসহ তদন্ত কমিটির অন্য সদস্য অংশ নেন। তারা সবাই আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবন পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন ও সভা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ফায়ার সার্ভিসের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছি। তদন্তকাজটা শুরু হয়েছে। তদন্ত চলছে। আজ তদন্ত কমিটির সদস্যরা আবার বৈঠক করবেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাহেদ কামাল বলেন, তদন্ত শেষ না হলে আগুন লাগার কারণ নিয়ে মন্তব্য করা যাবে না। সচিবালয়ের ভেতরের অবস্থা ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবারের মতোই রয়েছে। তিনি বলেন, এ অগ্নিকা- নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা এই বিষয়ে মন্তব্য করার মতো অবস্থা হয়নি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসেছি। বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে বাকি কথা বলা যাবে। এদিকে শুক্রবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটও ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেন।
সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে সচিবালয়ের পুড়ে যাওয়া ৭ নম্বর ভবনে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এবং পুড়ে ধ্বংসস্তূপ থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। সরজমিনে দেখা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকেই সচিবালয়ের মূল ফটকে পুলিশ ছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তদন্ত কাজের সঙ্গে জড়িত, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সদস্যরা ছাড়া কাউকেই প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনো সচিবালয়ের সব ভবনে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা জানান, সচিবালয়ে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। সরকারের ঊচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাকেও মূল প্রবেশপথের বাইরে গাড়ি রেখে সচিবালয়ে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র জানায়, কমিটির সব সদস্য উপস্থিত আছেন। কমিটি কর্মপন্থা নির্ধারণ সংক্রান্ত আলোচনা শেষে মন্ত্রণালয়ের আগুনে পোড়া ফ্লোরগুলো পরিদর্শন করেছে। পরিদর্শন শেষে আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সভায় যোগ দিয়েছেন কমিটির সদস্যরা। এছাড়াও কী কারণে আগুন লেগেছে, তা যাচাইয়ে সিআইডি, র্যাব, পুলিশের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহের চেষ্টা করছে। তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দলও রয়েছে বলে জানা গেছে।
গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগে। ওই ভবনের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগুনে মন্ত্রণায়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে কম্পিউটার ও আসবাব। দেয়াল ও মেঝেতে বড় ক্ষতি হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রবেশে কড়াকপি আরোপ করা হয়। তদন্ত কাজের প্রয়োজনে সাংবাদিকদেরও প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
অগ্নিকা-ের কারণ অনুসন্ধানে আগের সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি বাতিল করে বৃহস্পতিবার আট সদস্যের কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ডিজিকে। কমিটির কর্মপরিধিতে বলা হয়, সংঘটিত অগ্নিকা-ের উৎসব ও কারণ উদ্ঘাটন, অগ্নি দুর্ঘটনার পেছনে কারও ব্যক্তিগত বা পেশাগত দায়দায়িত্ব আছে কিনা তা উদ্ঘাটন এবং সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সুপারিশ করা এবং আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন এবং পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে হবে।
অন্যদিকে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য দুটি কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একটিতে অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) মোহাম্মদ শফিউল আরিফকে আহ্বায়ক করা হয়। আরেকটি কমিটিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন) আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া আগুনের ঘটনায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। এতে মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অধিশাখার যুগ্মসচিব মো. আবদুছ সামাদ আল আজাদকে আহ্বায়ক করা হয়। গত বুধবার রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটে। আগুনে ভবনের ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম তলা পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা সেটি উদঘাটনে সিসি ক্যামেরা ফুটেজে খুলতে পারে রহস্যের জট। ইতোমধ্যে দপ্তরগুলোর সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ করে খতিয়ে দেখছে তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো একটি কুকুরের মৃতদেহসহ বিভিন্ন আলামত অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
যদিও সিসি ক্যামেরা ফুটেজ ও আলামত পরীক্ষার বিষয়ে এখনও কোনো তথ্য জানায়নি সংশ্লিষ্টরা। এদিকে কারণ উদঘাটনে অনুসন্ধান শুরু করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তদন্ত কমিটি। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) ৭ নম্বর ভবনে অনুসন্ধান কাজ শুরু করেন তারা। তদন্ত কমিটির পাশাপাশি গোয়েন্দা সংস্থা ও সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারও অনুসন্ধান করছেন। বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডির ক্রাইমসিন ইউনিটও।
অন্যদিকে শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সচিবালয় ঘিরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) কড়া পাহারা দেখা যায়। সকালে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আট সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা সচিবালয়ে ঢোকেন। পরে তারা সচিবালয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ওসমান গণি, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হামিদুর রহমান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক তানভীর মনজুরসহ তদন্ত কমিটির অন্য সদস্য অংশ নেন। তারা সবাই আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবন পরিদর্শন করেন।
পরিদর্শন ও সভা শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য ফায়ার সার্ভিসের ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ জাহেদ কামাল সাংবাদিকদের বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেছি। তদন্তকাজটা শুরু হয়েছে। তদন্ত চলছে। আজ তদন্ত কমিটির সদস্যরা আবার বৈঠক করবেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জাহেদ কামাল বলেন, তদন্ত শেষ না হলে আগুন লাগার কারণ নিয়ে মন্তব্য করা যাবে না। সচিবালয়ের ভেতরের অবস্থা ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবারের মতোই রয়েছে। তিনি বলেন, এ অগ্নিকা- নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা এই বিষয়ে মন্তব্য করার মতো অবস্থা হয়নি। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসেছি। বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ করছি। তদন্ত সাপেক্ষে বাকি কথা বলা যাবে। এদিকে শুক্রবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী ও কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটও ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেন।
সিআইডি সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে সচিবালয়ের পুড়ে যাওয়া ৭ নম্বর ভবনে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এবং পুড়ে ধ্বংসস্তূপ থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে সিআইডির ক্রাইম সিন ইউনিট। সরজমিনে দেখা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকেই সচিবালয়ের মূল ফটকে পুলিশ ছাড়াও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। তদন্ত কাজের সঙ্গে জড়িত, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট সদস্যরা ছাড়া কাউকেই প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এখনো সচিবালয়ের সব ভবনে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা জানান, সচিবালয়ে কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। সরকারের ঊচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাকেও মূল প্রবেশপথের বাইরে গাড়ি রেখে সচিবালয়ে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র জানায়, কমিটির সব সদস্য উপস্থিত আছেন। কমিটি কর্মপন্থা নির্ধারণ সংক্রান্ত আলোচনা শেষে মন্ত্রণালয়ের আগুনে পোড়া ফ্লোরগুলো পরিদর্শন করেছে। পরিদর্শন শেষে আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সভায় যোগ দিয়েছেন কমিটির সদস্যরা। এছাড়াও কী কারণে আগুন লেগেছে, তা যাচাইয়ে সিআইডি, র্যাব, পুলিশের বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহের চেষ্টা করছে। তাদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর বিশেষজ্ঞ দলও রয়েছে বলে জানা গেছে।
গত বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগে। ওই ভবনের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আগুনে মন্ত্রণায়গুলোর গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পুড়ে কয়লা হয়ে গেছে কম্পিউটার ও আসবাব। দেয়াল ও মেঝেতে বড় ক্ষতি হয়েছে। এরপর বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে প্রবেশে কড়াকপি আরোপ করা হয়। তদন্ত কাজের প্রয়োজনে সাংবাদিকদেরও প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি।
অগ্নিকা-ের কারণ অনুসন্ধানে আগের সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি বাতিল করে বৃহস্পতিবার আট সদস্যের কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে আহ্বায়ক করে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে ফায়ার সার্ভিসের ডিজিকে। কমিটির কর্মপরিধিতে বলা হয়, সংঘটিত অগ্নিকা-ের উৎসব ও কারণ উদ্ঘাটন, অগ্নি দুর্ঘটনার পেছনে কারও ব্যক্তিগত বা পেশাগত দায়দায়িত্ব আছে কিনা তা উদ্ঘাটন এবং সচিবালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সুপারিশ করা এবং আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক প্রতিবেদন এবং পরবর্তী ১০ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দিতে হবে।
অন্যদিকে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য দুটি কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একটিতে অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন-২) মোহাম্মদ শফিউল আরিফকে আহ্বায়ক করা হয়। আরেকটি কমিটিতে স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (প্রশাসন) আহ্বায়ক করা হয়েছে। এছাড়া আগুনের ঘটনায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। এতে মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অধিশাখার যুগ্মসচিব মো. আবদুছ সামাদ আল আজাদকে আহ্বায়ক করা হয়। গত বুধবার রাত ১টা ৫২ মিনিটে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুনের ঘটনা ঘটে। আগুনে ভবনের ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম তলা পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিটের চেষ্টায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।