সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণে ‘জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫’ গঠন করেছে সরকার। সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে প্রধান করে ২৩ সদস্যের এই কমিশনকে প্রথম সভা করার পর ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
রোববার (২৭ জুলাই) প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কমিশন সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। তবে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা কমিশনের আওতার বাইরে থাকবেন।
২০১৫ সালের পে স্কেল অনুযায়ী বর্তমানে ২০টি বেতন গ্রেডে দেশের প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বেতন পান। মূল্যস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় নতুন পে-স্কেলের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে।
২০২৪ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মহার্ঘ ভাতা প্রদানের দাবি উঠলেও তা না দিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ আর্থিক সুবিধা কার্যকর করা হয় ১ জুলাই থেকে।
কমিশনের কাজ ও সদস্যরা
কমিশনের কার্যপরিধিতে উল্লেখ রয়েছে, সময়োপযোগী বেতন কাঠামো প্রণয়ন, বিশেষায়িত চাকরির জন্য আলাদা কাঠামো নির্ধারণ, করপূর্ব ও করোত্তর বেতনের ভারসাম্য, ভাতাগুলোর যৌক্তিকতা ও নগদায়ন, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বেতনের স্বয়ংক্রিয় সমন্বয় ব্যবস্থা প্রস্তাব, এবং অবসর ও পেনশন সুবিধা হালনাগাদ করাসহ মোট ১০টি গুরুত্বপূর্ণ দিক অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সুপারিশ প্রণয়নে একটি পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয়, শিক্ষা-চিকিৎসা খরচ, সরকারের রাজস্ব ও প্রবৃদ্ধি, জনসেবার মানোন্নয়ন, দক্ষ জনবল ধরে রাখার প্রণোদনাসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচক বিবেচনায় নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
পূর্ণকালীন সদস্যরা হলেন সাবেক সচিব মোহাম্মদ আলী খান, সাবেক হিসাব মহানিয়ন্ত্রক মোসলেম উদ্দীন এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম।
খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-গভর্নর, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইনস্টিটিউট ও এফবিসিসিআই-এর সভাপতি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি এবং অর্থ বিভাগের দুইজন অতিরিক্ত সচিব।
কমিশন প্রয়োজনে আরও সদস্য যুক্ত করতে পারবে।
---
সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন কাঠামো পুনর্নির্ধারণে ‘জাতীয় বেতন কমিশন, ২০২৫’ গঠন করেছে সরকার। সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে প্রধান করে ২৩ সদস্যের এই কমিশনকে প্রথম সভা করার পর ছয় মাসের মধ্যে সুপারিশ জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
রোববার (২৭ জুলাই) প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, কমিশন সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সরকারি মঞ্জুরিপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। তবে সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা কমিশনের আওতার বাইরে থাকবেন।
২০১৫ সালের পে স্কেল অনুযায়ী বর্তমানে ২০টি বেতন গ্রেডে দেশের প্রায় ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী বেতন পান। মূল্যস্ফীতির কারণে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় নতুন পে-স্কেলের দাবি দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে।
২০২৪ সালের আগস্টে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর মহার্ঘ ভাতা প্রদানের দাবি উঠলেও তা না দিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ আর্থিক সুবিধা কার্যকর করা হয় ১ জুলাই থেকে।
কমিশনের কাজ ও সদস্যরা
কমিশনের কার্যপরিধিতে উল্লেখ রয়েছে, সময়োপযোগী বেতন কাঠামো প্রণয়ন, বিশেষায়িত চাকরির জন্য আলাদা কাঠামো নির্ধারণ, করপূর্ব ও করোত্তর বেতনের ভারসাম্য, ভাতাগুলোর যৌক্তিকতা ও নগদায়ন, মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বেতনের স্বয়ংক্রিয় সমন্বয় ব্যবস্থা প্রস্তাব, এবং অবসর ও পেনশন সুবিধা হালনাগাদ করাসহ মোট ১০টি গুরুত্বপূর্ণ দিক অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সুপারিশ প্রণয়নে একটি পরিবারের জীবনযাত্রার ব্যয়, শিক্ষা-চিকিৎসা খরচ, সরকারের রাজস্ব ও প্রবৃদ্ধি, জনসেবার মানোন্নয়ন, দক্ষ জনবল ধরে রাখার প্রণোদনাসহ বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচক বিবেচনায় নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
পূর্ণকালীন সদস্যরা হলেন সাবেক সচিব মোহাম্মদ আলী খান, সাবেক হিসাব মহানিয়ন্ত্রক মোসলেম উদ্দীন এবং সাবেক রাষ্ট্রদূত ফজলুল করিম।
খণ্ডকালীন সদস্য হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সাবেক সরকারি কর্মকর্তা, বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-গভর্নর, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস ইনস্টিটিউট ও এফবিসিসিআই-এর সভাপতি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি এবং অর্থ বিভাগের দুইজন অতিরিক্ত সচিব।
কমিশন প্রয়োজনে আরও সদস্য যুক্ত করতে পারবে।
---