জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক পুলিশ প্রধান ও এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালকসহ ৮ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালে শুনানি চলার সময় কাঁদলেন রাজধানীর গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম। শুনানিতে তিনি দাবি করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ শুনানিতে হাজির হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরছিলেন। এসময় মাজহারুলকে সাভার এলাকার ওসি উল্লেখ করে সেখানকার মানুষ পোড়ানোর ঘটনায় অভিযুক্ত করেন চিফ প্রসিকিউটর।
তখন কাঁদতে শুরু করেন মাজহারুল। বলেন, তিনি কখনও সাভার এলাকায় দায়িত্বে ছিলেন না। আন্দোলনের সময় গুলশান থানার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি ভুল করে মাজহারুলকে সাভার এলাকায় দায়িত্ব পালনের কথা বলেছেন। আন্দোলনের সময় মাজহারুল গুলশান থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শুনানিতে বাড্ডা এলাকায় মাজহারুলের নেতৃত্ব হত্যাকা-ের চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
এ সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আপনি ন্যায়বিচার পাবেন।’
এরপর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি ভুল করে মাজহারুলকে সাভার এলাকায় দায়িত্ব পালনের কথা বলেছেন। আন্দোলনের সময় মাজহারুল গুলশান থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শুনানিতে বাড্ডা এলাকায় মাজহারুলের নেতৃত্ব হত্যাকা-ের চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
কারাগারে পাঠাানো ৮ কর্মকর্তারা হলেন, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, বরখাস্ত ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল হক ও ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
আরও আগে থেকেই ট্রাইব্যুনালের অধীনে গ্রেপ্তার ছিলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্লা ও ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম।
একইসঙ্গে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। একইদিন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুলিশের সাবেক ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের কয়েকশত অভিযোগ এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে।
গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪
জুলাই-আগস্টের গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে সাবেক পুলিশ প্রধান ও এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালকসহ ৮ কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালে শুনানি চলার সময় কাঁদলেন রাজধানীর গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল ইসলাম। শুনানিতে তিনি দাবি করেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন তিনি।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ শুনানিতে হাজির হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরছিলেন। এসময় মাজহারুলকে সাভার এলাকার ওসি উল্লেখ করে সেখানকার মানুষ পোড়ানোর ঘটনায় অভিযুক্ত করেন চিফ প্রসিকিউটর।
তখন কাঁদতে শুরু করেন মাজহারুল। বলেন, তিনি কখনও সাভার এলাকায় দায়িত্বে ছিলেন না। আন্দোলনের সময় গুলশান থানার দায়িত্বে ছিলেন। তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন বলেও দাবি করেন তিনি।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি ভুল করে মাজহারুলকে সাভার এলাকায় দায়িত্ব পালনের কথা বলেছেন। আন্দোলনের সময় মাজহারুল গুলশান থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শুনানিতে বাড্ডা এলাকায় মাজহারুলের নেতৃত্ব হত্যাকা-ের চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
এ সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘আপনি ন্যায়বিচার পাবেন।’
এরপর চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, তিনি ভুল করে মাজহারুলকে সাভার এলাকায় দায়িত্ব পালনের কথা বলেছেন। আন্দোলনের সময় মাজহারুল গুলশান থানার ওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। শুনানিতে বাড্ডা এলাকায় মাজহারুলের নেতৃত্ব হত্যাকা-ের চিত্র তুলে ধরেন তিনি।
কারাগারে পাঠাানো ৮ কর্মকর্তারা হলেন, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসান, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান, বরখাস্ত ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল্লাহিল কাফী, গুলশান থানার সাবেক ওসি মো. মাজহারুল হক ও ঢাকা উত্তর ডিবির সাবেক পরিদর্শক মো. আরাফাত হোসেন।
আরও আগে থেকেই ট্রাইব্যুনালের অধীনে গ্রেপ্তার ছিলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিরপুর বিভাগের সাবেক উপকমিশনার (ডিসি) জসিম উদ্দিন মোল্লা ও ঢাকা জেলা পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম।
একইসঙ্গে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল। একইদিন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৭ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুলিশের সাবেক ১৭ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল।
প্রসঙ্গত, গত ৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত সারাদেশে সংঘটিত গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের কয়েকশত অভিযোগ এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা ও প্রসিকিউশন অফিসে জমা পড়েছে।
গত ১৭ অক্টোবর শেখ হাসিনাসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়।