স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের জন্য আলাদা ভোটকেন্দ্র বা কক্ষ স্থাপনের বিধান বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর ফলে, জাতীয় নির্বাচনের পর এবার স্থানীয় নির্বাচন থেকেও কার্যত বাদ পড়ছে ইভিএম।
‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা–২০২৫’ গত ২৬ জুন গেজেট আকারে জারি করা হয় এবং বৃহস্পতিবার তা ইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিন জানিয়েছেন, এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা নেই। এমনকি ২০২৩ সালের নীতিমালায় ইভিএমের জন্য আলাদা ভোটকক্ষ রাখার যে বিধান ছিল, সেটিও নতুন নীতিমালায় রাখা হয়নি।
জাতীয় নির্বাচনেই কমিশনের প্রস্তুতি
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত তাদের সব প্রস্তুতি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরেই।
সিইসি নাসিরউদ্দিন বলেন,
> “আমাদের এ মুহূর্তে প্রস্তুতি জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। যা নিচ্ছি, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই নিচ্ছি; স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের প্রস্তুতি নেই।”
তিনি আরও বলেন,
> “তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হলে, আমরা ভোটার তালিকা ও নির্বাচনি মালামাল ব্যবহার করতে পারব না—এমন নয়। কিন্তু আমাদের ফোকাস এখন কেবল জাতীয় নির্বাচন।”
ভোটকেন্দ্র স্থাপনেও পরিবর্তন
নতুন নীতিমালায় ভোটকেন্দ্র স্থাপনের দায়িত্বেও এসেছে পরিবর্তন। এখন থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির পরিবর্তে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের হাতে।
যদিও স্থানীয় সরকার সংক্রান্ত পাঁচটি আইন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) থেকে এখনো ইভিএমের বিধান সরানো হয়নি, তবে নীতিমালায় ইভিএম বাদ যাওয়ায় তার ব্যবহার কার্যত স্থগিতই হয়ে যাচ্ছে।
আচরণবিধি নিয়ে চলছে জনমত গ্রহণ
কমিশন সভায় ১৯ জুন আচরণবিধির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান,
> “এই খসড়ার কয়েকটি বিষয় আরপিও সংশোধন এবং ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই শর্তসাপেক্ষে এটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।”
৩০ জুন থেকে কমিশনের ওয়েবসাইটে খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করে জনমত আহ্বান করা হয়েছে। জনমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনি সমন্বয় করে তা চূড়ান্ত করবে ইসি।
দেশে প্রথম ইভিএম ব্যবহার হয় ২০১০ সালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে, যেখানে বুয়েটের সহায়তায় একটি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ করা হয় ইভিএমে। এরপর বিভিন্ন সময় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়। তবে সাম্প্রতিক জাতীয় নির্বাচনসহ এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকেও এই পদ্ধতির ব্যবহার বাদ দেওয়া হলো।
---
শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫
স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের জন্য আলাদা ভোটকেন্দ্র বা কক্ষ স্থাপনের বিধান বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এর ফলে, জাতীয় নির্বাচনের পর এবার স্থানীয় নির্বাচন থেকেও কার্যত বাদ পড়ছে ইভিএম।
‘স্থানীয় সরকার নির্বাচন ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা–২০২৫’ গত ২৬ জুন গেজেট আকারে জারি করা হয় এবং বৃহস্পতিবার তা ইসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসিরউদ্দিন জানিয়েছেন, এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের পরিকল্পনা নেই। এমনকি ২০২৩ সালের নীতিমালায় ইভিএমের জন্য আলাদা ভোটকক্ষ রাখার যে বিধান ছিল, সেটিও নতুন নীতিমালায় রাখা হয়নি।
জাতীয় নির্বাচনেই কমিশনের প্রস্তুতি
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আপাতত তাদের সব প্রস্তুতি জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরেই।
সিইসি নাসিরউদ্দিন বলেন,
> “আমাদের এ মুহূর্তে প্রস্তুতি জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে। যা নিচ্ছি, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই নিচ্ছি; স্থানীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের প্রস্তুতি নেই।”
তিনি আরও বলেন,
> “তবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হলে, আমরা ভোটার তালিকা ও নির্বাচনি মালামাল ব্যবহার করতে পারব না—এমন নয়। কিন্তু আমাদের ফোকাস এখন কেবল জাতীয় নির্বাচন।”
ভোটকেন্দ্র স্থাপনেও পরিবর্তন
নতুন নীতিমালায় ভোটকেন্দ্র স্থাপনের দায়িত্বেও এসেছে পরিবর্তন। এখন থেকে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির পরিবর্তে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের হাতে।
যদিও স্থানীয় সরকার সংক্রান্ত পাঁচটি আইন এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) থেকে এখনো ইভিএমের বিধান সরানো হয়নি, তবে নীতিমালায় ইভিএম বাদ যাওয়ায় তার ব্যবহার কার্যত স্থগিতই হয়ে যাচ্ছে।
আচরণবিধি নিয়ে চলছে জনমত গ্রহণ
কমিশন সভায় ১৯ জুন আচরণবিধির খসড়া অনুমোদন দেওয়া হয়।
নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ জানান,
> “এই খসড়ার কয়েকটি বিষয় আরপিও সংশোধন এবং ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। তাই শর্তসাপেক্ষে এটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।”
৩০ জুন থেকে কমিশনের ওয়েবসাইটে খসড়া আচরণবিধি প্রকাশ করে জনমত আহ্বান করা হয়েছে। জনমতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় আইনি সমন্বয় করে তা চূড়ান্ত করবে ইসি।
দেশে প্রথম ইভিএম ব্যবহার হয় ২০১০ সালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে, যেখানে বুয়েটের সহায়তায় একটি ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ করা হয় ইভিএমে। এরপর বিভিন্ন সময় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সীমিত পরিসরে ইভিএম ব্যবহৃত হয়ে আসছিল।
২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ছয়টি আসনে ইভিএমে ভোট নেওয়া হয়। তবে সাম্প্রতিক জাতীয় নির্বাচনসহ এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকেও এই পদ্ধতির ব্যবহার বাদ দেওয়া হলো।
---