অন্তর্বর্তী সরকারের দেয়া প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাজেট বাড়ানোর সুপারিশ করা হলেও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেটে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪১ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের (২০২৪-২৫) ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা বরাদ্দের তুলনায় ৫০১ কোটি টাকা বেশি।
তবে, বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ যেমন বাড়েনি, তেমনই স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশও প্রতিফলিত হয়নি। তাছাড়া আগের মতোই বরাদ্দের পুরো অর্থ খরচ করতে না পারার আশঙ্কা রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। তারা মনে করছেন, প্রস্তাবিত বাজেট স্বাস্থ্য খাতের সমস্যা সমাধানে কাজে আসবে না।
গত অর্থবছরে বরাদ্দের পুরো অর্থ খরচ করতে পারেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যে কারণে সংশোধিত বাজেটের আকার কমিয়ে ২৭ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা করা হয়, যা বিদায়ী অর্থবছরের মোট সংশোধিত বাজেটের ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং জিডিপির শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশে দাঁড়ায়।
এবারের স্বাস্থ্য বাজেট নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘বাজেট তো গতানুগতিক। স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবটা করেছে তার কিছু তো রিফ্লেকশন হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু এ বাজেটে তা দেখলাম না। বিশেষ করে, শহরাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র হওয়ার কথা বা সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার যে অঙ্গীকার, সে বিষয়ে বরাদ্দের কোনো অঙ্গীকার নেই। সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কতগুলো জায়গায় পাইলটিং হচ্ছে আর ২০৩০ সাল নাগাদ সারাদেশেই করার কথা, আজ ২০২৫ সাল ওইটার কোনো উল্লেখই নাই।’
বাজেটে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও কোনো আশার কথা বলা হয়নি। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় একটি নির্দিষ্ট দেশ বা অঞ্চলের সব বাসিন্দার স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চিত করা হয়। এই সেবা সাধারণত ওই সমস্ত বাসিন্দার জন্য যারা নিজেরাই স্বাস্থ্যসেবা বা সেগুলো অর্জনের সামর্থ্য রাখে না।
ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘সেই সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা যে উপজেলায় হবে সেই উপজেলার সব দরিদ্র মানুষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পাবে, খরচটা হবে সেটা সরকার ইন্সুরেন্সের মাধ্যমে পে করবে। কিন্তু সেখানে কোনো বরাদ্দ নেই।’
‘কাজেই বৈষম্য বিরোধিতা করা বা জনস্বাস্থ্যভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাÑ যেটা আমাদের রোগ-প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন এই বিষয়ে কোনো নতুন প্রতিষ্ঠান যেমন বলা যায়; স্বাস্থ্য কমিশন করার কথা, সেখানে তারা যদি ৫ টাকাও বাজেট রাখতো তাহলে বোঝা যেত তারা এটা করবে। কিন্তু সেটার জন্য কোনো বরাদ্দ নেই’, বলেন তিনি।
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় সরকার সবক্ষেত্রেই সংস্কারের কথা বলছে। সেই অনুযায়ী স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনও কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। তার প্রত্যাশা ছিল, এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সংস্কারগুলো বাস্তবায়নের রূপরেখা তৈরি হবে।
‘গত কয়েকবছর ধরে বাজেটে স্বাস্থ্যের বরাদ্দ ১ শতাংশের নিচে থাকে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ছিল সেটা ৫ শতাংশে উন্নীত করা। কিন্তু আগে যেমন ছিল, এবারও তাই হয়েছে। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, বাজেটের বরাদ্দ ব্যবহার করে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন এবং জনবান্ধবমুখী গতি আনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা নেই। সেটি সক্ষম করার জন্য যে দিকদর্শন দরকারÑ তার অর্থনৈতিক ভাষ্য হবে বাজেট; কিন্তু তা হয়নি। আমাদের ভাবনা ছিল যে কিছু পরিবর্তন হবে, যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে একটি নতুন ধারা তৈরি হবে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে স্বাস্থ্য খাতে কোনো পূর্ণাঙ্গ সেবাদান পরিকল্পনা নেই, কিন্তু সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে সেটি ছিল। সেই পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে এবারের স্বাস্থ্য বাজেট তৈরির সুযোগ ছিল, কিন্তু তা হয়নি।’
ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘গ্রাম পর্যায়ে প্রান্তিক মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে কিন্তু সেটা কীভাবে দেবে সেটার বিস্তারিত ব্যাখ্যা নেই। অন্যদিকে শহরে বাস করে প্রায় ৩২ শতাংশ মানুষ তাদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ভার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আগেও দেয়া হয়নি, এবারও দেয়া হয়নি। এটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় করে এটি একেবারেই সংযুক্তিহীন ব্যাপার। কারণ ওই মন্ত্রণালয় এ কাজে দক্ষ না।’
‘আমাদের এবারের প্রত্যাশা ছিল অন্তত এবার নগর স্বাস্থ্যের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যাপারটা প্রজেক্টভিত্তিক কাজ থেকে বের করে নিয়ে এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেয়া উচিত ছিল। সেটাও হলেও ঠিক ছিল’, বলে মত তার।
এবারের বাজেটটা গতানুগতিক ধারায় যে বাজেট হয় তার বাইরে নয়। প্রতি বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে যে পরিমাণ বাজেট দেয়া হয় সেটাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যবহার করার সক্ষমতা রাখে না। সব মিলিয়ে বলতে ‘থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়’ মন্তব্য তার।
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি আবু মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জাতীয় বাজেটের ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে রাখার কথা বলে আসছে বহু বছর ধরে। স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনও এই সুপারিশ করেছে। তবে এবারের বাজেটে এই স্বাস্থ্য বাজেট আরও কমানো হয়েছে। এটার কারণ স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার।
বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
অন্তর্বর্তী সরকারের দেয়া প্রস্তাবিত বাজেটে স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বাজেট বাড়ানোর সুপারিশ করা হলেও ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাজেটে তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪১ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা, যা আগের অর্থবছরের (২০২৪-২৫) ৪১ হাজার ৪০৭ কোটি টাকা বরাদ্দের তুলনায় ৫০১ কোটি টাকা বেশি।
তবে, বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ যেমন বাড়েনি, তেমনই স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের সুপারিশও প্রতিফলিত হয়নি। তাছাড়া আগের মতোই বরাদ্দের পুরো অর্থ খরচ করতে না পারার আশঙ্কা রয়েছে বিশেষজ্ঞদের। তারা মনে করছেন, প্রস্তাবিত বাজেট স্বাস্থ্য খাতের সমস্যা সমাধানে কাজে আসবে না।
গত অর্থবছরে বরাদ্দের পুরো অর্থ খরচ করতে পারেনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। যে কারণে সংশোধিত বাজেটের আকার কমিয়ে ২৭ হাজার ৯২৫ কোটি টাকা করা হয়, যা বিদায়ী অর্থবছরের মোট সংশোধিত বাজেটের ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ এবং জিডিপির শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশে দাঁড়ায়।
এবারের স্বাস্থ্য বাজেট নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ জনস্বাস্থ্য সমিতির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘বাজেট তো গতানুগতিক। স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশন যে প্রস্তাবটা করেছে তার কিছু তো রিফ্লেকশন হওয়া উচিত ছিল, কিন্তু এ বাজেটে তা দেখলাম না। বিশেষ করে, শহরাঞ্চলে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র হওয়ার কথা বা সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবার যে অঙ্গীকার, সে বিষয়ে বরাদ্দের কোনো অঙ্গীকার নেই। সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য কতগুলো জায়গায় পাইলটিং হচ্ছে আর ২০৩০ সাল নাগাদ সারাদেশেই করার কথা, আজ ২০২৫ সাল ওইটার কোনো উল্লেখই নাই।’
বাজেটে সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও কোনো আশার কথা বলা হয়নি। সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় একটি নির্দিষ্ট দেশ বা অঞ্চলের সব বাসিন্দার স্বাস্থ্যসেবার নিশ্চিত করা হয়। এই সেবা সাধারণত ওই সমস্ত বাসিন্দার জন্য যারা নিজেরাই স্বাস্থ্যসেবা বা সেগুলো অর্জনের সামর্থ্য রাখে না।
ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, ‘সেই সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা যে উপজেলায় হবে সেই উপজেলার সব দরিদ্র মানুষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা পাবে, খরচটা হবে সেটা সরকার ইন্সুরেন্সের মাধ্যমে পে করবে। কিন্তু সেখানে কোনো বরাদ্দ নেই।’
‘কাজেই বৈষম্য বিরোধিতা করা বা জনস্বাস্থ্যভিত্তিক স্বাস্থ্যব্যবস্থাÑ যেটা আমাদের রোগ-প্রতিরোধ ও স্বাস্থ্য উন্নয়ন এই বিষয়ে কোনো নতুন প্রতিষ্ঠান যেমন বলা যায়; স্বাস্থ্য কমিশন করার কথা, সেখানে তারা যদি ৫ টাকাও বাজেট রাখতো তাহলে বোঝা যেত তারা এটা করবে। কিন্তু সেটার জন্য কোনো বরাদ্দ নেই’, বলেন তিনি।
প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনায় সরকার সবক্ষেত্রেই সংস্কারের কথা বলছে। সেই অনুযায়ী স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনও কিছু প্রস্তাব দিয়েছে। তার প্রত্যাশা ছিল, এবারের বাজেটে স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সংস্কারগুলো বাস্তবায়নের রূপরেখা তৈরি হবে।
‘গত কয়েকবছর ধরে বাজেটে স্বাস্থ্যের বরাদ্দ ১ শতাংশের নিচে থাকে। সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ছিল সেটা ৫ শতাংশে উন্নীত করা। কিন্তু আগে যেমন ছিল, এবারও তাই হয়েছে। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে, বাজেটের বরাদ্দ ব্যবহার করে স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন এবং জনবান্ধবমুখী গতি আনার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সক্ষমতা নেই। সেটি সক্ষম করার জন্য যে দিকদর্শন দরকারÑ তার অর্থনৈতিক ভাষ্য হবে বাজেট; কিন্তু তা হয়নি। আমাদের ভাবনা ছিল যে কিছু পরিবর্তন হবে, যে পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতে একটি নতুন ধারা তৈরি হবে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে স্বাস্থ্য খাতে কোনো পূর্ণাঙ্গ সেবাদান পরিকল্পনা নেই, কিন্তু সংস্কার কমিশনের রিপোর্টে সেটি ছিল। সেই পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে এবারের স্বাস্থ্য বাজেট তৈরির সুযোগ ছিল, কিন্তু তা হয়নি।’
ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, ‘গ্রাম পর্যায়ে প্রান্তিক মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে কিন্তু সেটা কীভাবে দেবে সেটার বিস্তারিত ব্যাখ্যা নেই। অন্যদিকে শহরে বাস করে প্রায় ৩২ শতাংশ মানুষ তাদের স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার ভার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আগেও দেয়া হয়নি, এবারও দেয়া হয়নি। এটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় করে এটি একেবারেই সংযুক্তিহীন ব্যাপার। কারণ ওই মন্ত্রণালয় এ কাজে দক্ষ না।’
‘আমাদের এবারের প্রত্যাশা ছিল অন্তত এবার নগর স্বাস্থ্যের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যাপারটা প্রজেক্টভিত্তিক কাজ থেকে বের করে নিয়ে এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেয়া উচিত ছিল। সেটাও হলেও ঠিক ছিল’, বলে মত তার।
এবারের বাজেটটা গতানুগতিক ধারায় যে বাজেট হয় তার বাইরে নয়। প্রতি বছর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে যে পরিমাণ বাজেট দেয়া হয় সেটাকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ব্যবহার করার সক্ষমতা রাখে না। সব মিলিয়ে বলতে ‘থোড় বড়ি খাড়া, খাড়া বড়ি থোড়’ মন্তব্য তার।
স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনের সদস্য ও কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের সভাপতি আবু মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জাতীয় বাজেটের ১৫ শতাংশ স্বাস্থ্য খাতে রাখার কথা বলে আসছে বহু বছর ধরে। স্বাস্থ্য খাত সংস্কার কমিশনও এই সুপারিশ করেছে। তবে এবারের বাজেটে এই স্বাস্থ্য বাজেট আরও কমানো হয়েছে। এটার কারণ স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্ব দিচ্ছে না সরকার।