ভোটার হালনাগাদের ২০২৫ সালের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রকাশিত ২০২৫ সালের খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন, যা ২০২৪ সালের ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার ছিল ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন ছিল। সে হিসেবে ২০২৫ সালের খসড়া তালিকায় ভোটার বেড়েছে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন। ভোটার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন এই তালিকা প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে ভোটার হালনাগাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
কমিশন জানিয়েছে, দেশে এবার পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ১০৩ জন এবং নারী ভোটার ৬ কোটি ৩ লাখ ৫২ হাজার ৪১৫ জন ও হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৯৯৪ জন। যা ২০২৪ সালে পুরুষ ভোটার ছিলো ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ জন ও হিজড়া ভোটার ৯৩২ জন।
হিসেব অনুযায়ী দেশে নারী ভোটারের চেয়ে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা বেশি। এবারের খসড়া তালিকা অনুযায়ী পুরুষ ভোটার বেড়েছে ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫১৬ জন এবং নারী ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৪ ও হিজড়া ৬২ জন। নারীদেরে থেকে প্রায় দ্বিগুণ অর্থাৎ ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪২ জন পুরুষ বেশি ভোটার হয়েছেন।
কমিশন থেকে বলা হয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাদ পড়াদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে ২০ জানুয়ারি থেকে। দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই সময়ের মধ্যে কারো কোনো দাবি বা আপত্তি থাকলে তা জানাতে পারবেন। দাবি আপত্তি জানানোর শেষ সময় ১৭ জানুয়ারি, আর এ বিষয়ে শুনানি নিষ্পত্তির শেষ দিন আগামী ৩০ জানুয়ারি।
মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘বিতর্কিত ভোটার তালিকা আমরা বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে দেখেছি; সাংবাদিকরা আলোচনা করেছেন। এমনকি সাধারণ মানুষের মধ্যেও এ ধরনের একটা ধারণা রয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটা শুদ্ধ ভোটার তালিকা ছাড়া আমরা আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি না। ভোটার তালিকাকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করবে বর্তমান কমিশন।’
ভুল এড়াতে অনলাইনে নতুন ভোটারের আবেদন করার আহ্বান জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘২০০৭ সালের ১ জানুয়ারির আগে যাদের জন্ম তাদের ভোটার করা হবে। ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবার উপযুক্ত হবেন তারা ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রয়োজনে অর্ডিন্যান্স জারি হতে পারে, তবে সেটা আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটারের বয়স নিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত হলে সময়মতো ব্যবস্থা নিবে কমিশন। পুরো ভোটার তালিকা যাচাই হবে। ভোটার তালিকার শুদ্ধতা নিশ্চিতে দ্বৈত ভোটার, রোহিঙ্গা ভোটার ও কম বয়সীদের ভোটার করা হয়েছে কিনা, তা যাচাই করে দেখবে নির্বাচন কমিশন।’
এই নির্বাচন কমিশনার মনে করেন, ‘ভোটার তালিকার শুদ্ধতার অভাব মূলত তিনটি কারণে। একটা হলো মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ না দেয়া। দ্বিতীয়ত, নির্দেশনা থাকার পরও কোথাও কোথাও দ্বৈত ভোটার, অর্থাৎ একই ভোটার দুই জায়গায় তালিকাভুক্ত হওয়ার আশঙ্কা। তৃতীয় কারণ হলো, অনেক বিদেশি নাগরিকও প্রতারণার মাধ্যমে তালিকায় ঢুকে গেছেন। আমরা সম্প্রতি একাধিক ঘটনা পেয়েছি।’
সব ভোটারের তথ্যই যাচাই হবে কিনা জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সবার তথ্য যাচাই হচ্ছে। আজ যখন খসড়া প্রকাশ করছি, একজনের তথ্যও লুকাচ্ছি না। সবার তথ্য প্রকাশ্যে রয়েছে। সুতরাং সবাই যাচাই-বাছাইয়ের অধীনে।’
প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের এনআইডি সেবা দিতে নিবন্ধন কার্যক্রম চালু হয়েছে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য ও ইতালিতে। মো: সানাউল্লাহ বলেন, ‘সাতটি দেশে সেবা চালু হয়েছে। আরও দুটি দেশে প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় নিবন্ধন চালু হবে শিগগির।’
শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫
ভোটার হালনাগাদের ২০২৫ সালের খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। প্রকাশিত ২০২৫ সালের খসড়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী দেশে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার ৫১২ জন, যা ২০২৪ সালের ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার ছিল ১২ কোটি ১৮ লাখ ৫০ হাজার ১৬০ জন ছিল। সে হিসেবে ২০২৫ সালের খসড়া তালিকায় ভোটার বেড়েছে ১৮ লাখ ৩৩ হাজার ৩৫২ জন। ভোটার বৃদ্ধির হার ১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন এই তালিকা প্রকাশ করে। সংবাদ সম্মেলনে ভোটার হালনাগাদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেন নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
কমিশন জানিয়েছে, দেশে এবার পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার ১০৩ জন এবং নারী ভোটার ৬ কোটি ৩ লাখ ৫২ হাজার ৪১৫ জন ও হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৯৯৪ জন। যা ২০২৪ সালে পুরুষ ভোটার ছিলো ৬ কোটি ২১ লাখ ৪৪ হাজার ৫৮৭ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৯৭ লাখ ৪ হাজার ৬৪১ জন ও হিজড়া ভোটার ৯৩২ জন।
হিসেব অনুযায়ী দেশে নারী ভোটারের চেয়ে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা বেশি। এবারের খসড়া তালিকা অনুযায়ী পুরুষ ভোটার বেড়েছে ১১ লাখ ৮৫ হাজার ৫১৬ জন এবং নারী ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৭৭৪ ও হিজড়া ৬২ জন। নারীদেরে থেকে প্রায় দ্বিগুণ অর্থাৎ ৫ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪২ জন পুরুষ বেশি ভোটার হয়েছেন।
কমিশন থেকে বলা হয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাদ পড়াদের তথ্য সংগ্রহ শুরু হবে ২০ জানুয়ারি থেকে। দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি শেষে আগামী ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। এই সময়ের মধ্যে কারো কোনো দাবি বা আপত্তি থাকলে তা জানাতে পারবেন। দাবি আপত্তি জানানোর শেষ সময় ১৭ জানুয়ারি, আর এ বিষয়ে শুনানি নিষ্পত্তির শেষ দিন আগামী ৩০ জানুয়ারি।
মো. সানাউল্লাহ বলেন, ‘বিতর্কিত ভোটার তালিকা আমরা বিভিন্ন সময় সংবাদমাধ্যমে দেখেছি; সাংবাদিকরা আলোচনা করেছেন। এমনকি সাধারণ মানুষের মধ্যেও এ ধরনের একটা ধারণা রয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে একটা শুদ্ধ ভোটার তালিকা ছাড়া আমরা আত্মবিশ্বাস পাচ্ছি না। ভোটার তালিকাকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করবে বর্তমান কমিশন।’
ভুল এড়াতে অনলাইনে নতুন ভোটারের আবেদন করার আহ্বান জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘২০০৭ সালের ১ জানুয়ারির আগে যাদের জন্ম তাদের ভোটার করা হবে। ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবার উপযুক্ত হবেন তারা ভোট দিতে পারবেন কিনা তা নিয়ে আলোচনা চলছে। প্রয়োজনে অর্ডিন্যান্স জারি হতে পারে, তবে সেটা আলোচনার পরে সিদ্ধান্ত হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভোটারের বয়স নিয়ে রাজনৈতিক ঐক্যমত হলে সময়মতো ব্যবস্থা নিবে কমিশন। পুরো ভোটার তালিকা যাচাই হবে। ভোটার তালিকার শুদ্ধতা নিশ্চিতে দ্বৈত ভোটার, রোহিঙ্গা ভোটার ও কম বয়সীদের ভোটার করা হয়েছে কিনা, তা যাচাই করে দেখবে নির্বাচন কমিশন।’
এই নির্বাচন কমিশনার মনে করেন, ‘ভোটার তালিকার শুদ্ধতার অভাব মূলত তিনটি কারণে। একটা হলো মৃত ভোটারদের তালিকা থেকে বাদ না দেয়া। দ্বিতীয়ত, নির্দেশনা থাকার পরও কোথাও কোথাও দ্বৈত ভোটার, অর্থাৎ একই ভোটার দুই জায়গায় তালিকাভুক্ত হওয়ার আশঙ্কা। তৃতীয় কারণ হলো, অনেক বিদেশি নাগরিকও প্রতারণার মাধ্যমে তালিকায় ঢুকে গেছেন। আমরা সম্প্রতি একাধিক ঘটনা পেয়েছি।’
সব ভোটারের তথ্যই যাচাই হবে কিনা জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সবার তথ্য যাচাই হচ্ছে। আজ যখন খসড়া প্রকাশ করছি, একজনের তথ্যও লুকাচ্ছি না। সবার তথ্য প্রকাশ্যে রয়েছে। সুতরাং সবাই যাচাই-বাছাইয়ের অধীনে।’
প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটারদের এনআইডি সেবা দিতে নিবন্ধন কার্যক্রম চালু হয়েছে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য ও ইতালিতে। মো: সানাউল্লাহ বলেন, ‘সাতটি দেশে সেবা চালু হয়েছে। আরও দুটি দেশে প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। অস্ট্রেলিয়া ও কানাডায় নিবন্ধন চালু হবে শিগগির।’