যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক কমে ২০ শতাংশে নামার খবরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে মিলেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ একে বলছে ‘সুসংবাদ’, আবার কেউ প্রশ্ন তুলেছে গোপন চুক্তি নিয়ে।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং জাতীয় পার্টির (একাংশ) নেতারা এই ছাড়কে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিএনপি ও জাতীয় পার্টির অন্য অংশ এই শুল্ক ছাড়ের পেছনের চুক্তির বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “এটা একটা ভালো খবর। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছিল, যা এখন ২০ শতাংশে নেমেছে। এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ।” তবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রশ্ন তোলেন, “শুল্ক ছাড়ের বিনিময়ে বাংলাদেশ কী দিয়েছে, তা জানতে না পারলে আমরা এর প্রকৃত প্রভাব নির্ধারণ করতে পারি না।”
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এক ফেইসবুক পোস্টে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সরকারের যৌথ উদ্যোগে শুল্ক হার কমেছে। এ জন্য উভয় পক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।”
জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারীও শুল্ক ছাড়কে ইতিবাচক বললেও গোপন চুক্তির ব্যাপারে সতর্ক করে বলেন, “দেশের স্বার্থে চুক্তির শর্ত জনসম্মুখে প্রকাশ হওয়া উচিত।” তবে জাপার অন্য অংশ— আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এবি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মুজিবুল হক চুন্নুর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্য ইতিবাচক। আমরা আশা করি, দেশের অর্থনীতি এতে উপকৃত হবে।”
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, “শুল্ক ছাড় নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। তবে আলোচনার ধারাবাহিকতা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
অন্যদিকে সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহীন হোসেন প্রিন্স বলেন, “এই ছাড় কোনো গোপন বা অসম চুক্তির মাধ্যমে হয়ে থাকলে তা দেশের প্রকৃত কল্যাণ বয়ে আনবে না। জনগণের সামনে সব কিছু খোলাসা করা উচিত।”
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্র শতাধিক দেশের ওপর ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে। বাংলাদেশের ওপরও সেই শুল্ক আরোপ করা হয়। পরে দুই দেশের একাধিক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের দাবিতে বাংলাদেশ বোয়িং থেকে উড়োজাহাজ কেনা, মার্কিন খাদ্যপণ্য আমদানি বাড়ানোসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক পদক্ষেপ নেয়। এরপর বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ঘোষণা দেয়, বাংলাদেশের জন্য শুল্ক হার ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে এই সিদ্ধান্তের পেছনে থাকা চুক্তি ও শর্তাবলি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা এখন জনমনে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
শনিবার, ০২ আগস্ট ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক কমে ২০ শতাংশে নামার খবরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে মিলেছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ একে বলছে ‘সুসংবাদ’, আবার কেউ প্রশ্ন তুলেছে গোপন চুক্তি নিয়ে।
বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এবং জাতীয় পার্টির (একাংশ) নেতারা এই ছাড়কে ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিএনপি ও জাতীয় পার্টির অন্য অংশ এই শুল্ক ছাড়ের পেছনের চুক্তির বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “এটা একটা ভালো খবর। যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের পণ্যে ৩৫ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছিল, যা এখন ২০ শতাংশে নেমেছে। এ জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ।” তবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রশ্ন তোলেন, “শুল্ক ছাড়ের বিনিময়ে বাংলাদেশ কী দিয়েছে, তা জানতে না পারলে আমরা এর প্রকৃত প্রভাব নির্ধারণ করতে পারি না।”
জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান এক ফেইসবুক পোস্টে বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সরকারের যৌথ উদ্যোগে শুল্ক হার কমেছে। এ জন্য উভয় পক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।”
জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারীও শুল্ক ছাড়কে ইতিবাচক বললেও গোপন চুক্তির ব্যাপারে সতর্ক করে বলেন, “দেশের স্বার্থে চুক্তির শর্ত জনসম্মুখে প্রকাশ হওয়া উচিত।” তবে জাপার অন্য অংশ— আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এবি এম রুহুল আমিন হাওলাদার ও মুজিবুল হক চুন্নুর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, “এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্য ইতিবাচক। আমরা আশা করি, দেশের অর্থনীতি এতে উপকৃত হবে।”
এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দিন মোহাম্মদ বলেন, “শুল্ক ছাড় নিঃসন্দেহে ইতিবাচক। তবে আলোচনার ধারাবাহিকতা ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।”
অন্যদিকে সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহীন হোসেন প্রিন্স বলেন, “এই ছাড় কোনো গোপন বা অসম চুক্তির মাধ্যমে হয়ে থাকলে তা দেশের প্রকৃত কল্যাণ বয়ে আনবে না। জনগণের সামনে সব কিছু খোলাসা করা উচিত।”
প্রসঙ্গত, গত এপ্রিল মাসে যুক্তরাষ্ট্র শতাধিক দেশের ওপর ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করে। বাংলাদেশের ওপরও সেই শুল্ক আরোপ করা হয়। পরে দুই দেশের একাধিক বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের দাবিতে বাংলাদেশ বোয়িং থেকে উড়োজাহাজ কেনা, মার্কিন খাদ্যপণ্য আমদানি বাড়ানোসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক পদক্ষেপ নেয়। এরপর বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ঘোষণা দেয়, বাংলাদেশের জন্য শুল্ক হার ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে এই সিদ্ধান্তের পেছনে থাকা চুক্তি ও শর্তাবলি নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা এখন জনমনে নতুন প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে।