alt

জাতীয়

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ০৪ মে ২০২৫

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। ১৩১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি গত মাসের শেষ দিকে হাতে পেয়েছেন বলে শনিবার (৩ মে) জানিয়েছেন আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু।

সাড়ে পাঁচ বছর আগে বুয়েটের একটি হলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের সবাই ছিলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের (এখন নিষিদ্ধ সংগঠন) নেতাকর্মী। এ ঘটনায় করা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৬ মার্চ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখেন।

মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে বিচারক বলেছিলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের সহায়তায় শিবির সন্দেহে আবরার ফাহাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনেন এবং নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে তাকে হত্যা করেন। এ ঘটনা দেশের সব মানুষকে ব্যথিত করেছে। বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর কখনও না ঘটে, তা রোধে সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা বরকতউল্লাহ ঢাকার চকবাজার থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।’ ফৌজদারি কোনো মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে কারো মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকর করতে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যেটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করতে পারেন। সাধারণত ডেথ রেফারেন্স ও এসব আপিলের ওপর একসঙ্গে হাইকোর্টে শুনানি হয়ে থাকে।

আবরার হত্যা মামলায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়, যেটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে ওই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স ও এসব আপিলের ওপর একসঙ্গে গত ২৪ ফেব্রয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্ট ১৬ মার্চ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন করেন এবং আপিলগুলো খারিজ করে রায় দেয়। ফলে বিচারিক আদালতের দ-াদেশ বহাল থাকে।

মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন বহাল থাকা আসামি

মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা ২০ আসামির সবাই বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তারা হলেন- মেহেদী হাসান (রাসেল), মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান (রবিন), ইফতি মোশাররফ, মো. মনিরুজ্জামান, মো. মেফতাহুল ইসলাম, মো. মাজেদুর রহমান, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল (জেমি), মো. শামসুল আরেফিন, মো. মিজানুর রহমান, এস এম মাহমুদ, মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল, এহতেশামুল রাব্বি ও মুজতবা রাফিদ।

এ ২০ জনের মধ্যে বিচারিক আদালতের রায়ের সময় থেকেই তিন জন পলাতক। তারা হলেন- মোর্শেদ-উজ-জামান, এহতেশামুল রাব্বি ও মুজতবা রাফিদ। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি মুনতাসির আল (জেমি) গত বছরের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যান। বিষয়টি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকা আসামিরা হলেন- মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা ও ইশতিয়াক আহমেদ। এ মামলায় সব মিলিয়ে দণ্ডিত ২৫ আসামির মধ্যে চার জন পলাতক বলে রায় ঘোষণার দিন (গত ১৬ মার্চ) জানিয়েছিল রাষ্ট্রপক্ষ।

অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘ সময় থাকলে নানা সমস্যা তৈরি হয় : এনপিপি

‘নারী কমিশন বাতিলের দাবি গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী

ছবি

যশোরে গ্রামে অ্যানার্জি ইন্ডাস্ট্রি, হুমকিতে মানুষ ও ফসল

জুবাইদা রহমানের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আজ বৈঠকে বসবে পুলিশ

এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে কাল দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া

যৌথ বাহিনীর অভিযানে ২৫৯ জন গ্রেপ্তার, ১১টি আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা, ককটেল উদ্ধার

ছবি

টেকনিশিয়ান ছাড়াই মেডিকেল রিপোর্ট প্রদান, ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা

জামায়াতের ‘রোহিঙ্গা রাজ্যের প্রস্তাব’ নিয়ে জান্তা সরকারের কড়া প্রতিক্রিয়া

ছবি

৪ দফা দাবিতে ২৩ মে দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি হেফাজতের

ছবি

অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচনে আবারও জয়ী লেবার পার্টি, পরাজয় স্বীকার ডাটনের

ছবি

রোহিঙ্গাদের জন্য আলাদা রাজ্যের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করল মায়ানমার, ক্ষুণ্ণ হয়েছে সার্বভৌমত্ব

ছবি

ভিজিট ভিসায় হজে যাওয়া নিয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সতর্কবার্তা

ছবি

সরকারি সফরে কাতারে সেনাপ্রধান

ছবি

মানবিক করিডোরে জাতিসংঘের উদ্যোগে হলে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত: প্রেস সচিব

ছবি

সীমান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তৎপরতায় হুমকি দেখছেন না স্বরাষ্ট্র সচিব

‘পেশাদার পুলিশ চাননি রাজনীতিকরা, সংস্কার এখন সময়ের দাবি’

ছবি

ইসির বক্তব্য বিশেষ একটি দলের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে: এনসিপি

ছবি

পুলিশ সপ্তাহের মতবিনিময় সভা , পুলিশ সংস্কারে রাজনৈতিক নেতাদের সদিচ্ছা রাখার আহ্বান

ছবি

পুলিশ সংস্কারে রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবের সমালোচনা সাবেক আইজিপির

ছবি

শ্রম সংস্কার বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসের

ছবি

আসকের উদ্বেগ: তিন সাংবাদিকের চাকরিচ্যুতি ও সংস্কৃতিকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

ছবি

ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা ঠেকাতে ‘কঠোর পদক্ষেপ’: নির্বাচন কমিশন

অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে

গাবতলী পশুর হাট ইজারায় অনিয়মের খোঁজে ডিএনসিসিতে দুদকের অভিযান

ছবি

খাগড়াছড়িতে সাতটি গ্রামে তীব্র পানির সংকট, দুর্ভোগে সাতশ’ পরিবার

অটোরিকশার ধাক্কায় ছিটকে বাসের নিচে, প্রাণ গেল দুই বাইক আরোহীর

সালমান, মামুন তিন দিনের রিমান্ডে, আনিসুলের দুই দিন

ছবি

ঐক্য গড়তে গণসংহতি ও ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক এনসিপির

ছবি

প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকি থাকায় প্রস্তুতি না নিয়ে থাকা সম্ভব হয় না: প্রধান উপদেষ্টা

২০০১ সালে রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার রায় ৮ মে

ছবি

আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ আমদানিতে শুল্ক ফাঁকির অনুসন্ধানে নেমেছে দুদক

পাল্টা শুল্ক ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রকে চটাবো না: অর্থ উপদেষ্টা

ছবি

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ইসির ‘আশু বাস্তবায়নযোগ্য’ সুপারিশ সরকারের কাছে

চার মাসে ডেঙ্গু আক্রান্ত আড়াই হাজার, মৃত্যু ২০

জ্বালানি তেলের দাম কমলো লিটারে ১ টাকা

ছবি

দুপুরে চিন্ময়ের জামিন, বিকেলে স্থগিত; বারবার শুনানি

tab

জাতীয়

বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ

২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনের যাবজ্জীবন বহাল

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ০৪ মে ২০২৫

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড ও ৫ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে। ১৩১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি গত মাসের শেষ দিকে হাতে পেয়েছেন বলে শনিবার (৩ মে) জানিয়েছেন আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী আজিজুর রহমান দুলু।

সাড়ে পাঁচ বছর আগে বুয়েটের একটি হলে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছিল শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে দেশজুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছিল। হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের সবাই ছিলেন বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের (এখন নিষিদ্ধ সংগঠন) নেতাকর্মী। এ ঘটনায় করা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।

মামলায় আসামিদের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন), আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান (বর্তমানে আপিল বিভাগের বিচারপতি) ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ১৬ মার্চ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্ট বিচারিক আদালতের রায় বহাল রাখেন।

মামলায় ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বর রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১। রায়ে বিচারক বলেছিলেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের সহায়তায় শিবির সন্দেহে আবরার ফাহাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনেন এবং নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে তাকে হত্যা করেন। এ ঘটনা দেশের সব মানুষকে ব্যথিত করেছে। বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদ নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর কখনও না ঘটে, তা রোধে সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরারের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বাবা বরকতউল্লাহ ঢাকার চকবাজার থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে একই বছরের ১৩ নভেম্বর বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ করে ছাত্রশিবিরের কর্মী সন্দেহে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে আবরারকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।’ ফৌজদারি কোনো মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে কারো মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকর করতে হাইকোর্টের অনুমোদন লাগে, যেটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। পাশাপাশি দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা জেল আপিল ও নিয়মিত আপিল করতে পারেন। সাধারণত ডেথ রেফারেন্স ও এসব আপিলের ওপর একসঙ্গে হাইকোর্টে শুনানি হয়ে থাকে।

আবরার হত্যা মামলায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য বিচারিক আদালতের রায়সহ নথিপত্র ২০২২ সালের ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এসে পৌঁছায়, যেটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে নথিভুক্ত হয়। অন্যদিকে ওই দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন। ডেথ রেফারেন্স ও এসব আপিলের ওপর একসঙ্গে গত ২৪ ফেব্রয়ারি শুনানি শেষে হাইকোর্ট ১৬ মার্চ রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্ট ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন করেন এবং আপিলগুলো খারিজ করে রায় দেয়। ফলে বিচারিক আদালতের দ-াদেশ বহাল থাকে।

মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবন বহাল থাকা আসামি

মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা ২০ আসামির সবাই বুয়েটের প্রাক্তন শিক্ষার্থী। তারা হলেন- মেহেদী হাসান (রাসেল), মো. অনিক সরকার, মেহেদী হাসান (রবিন), ইফতি মোশাররফ, মো. মনিরুজ্জামান, মো. মেফতাহুল ইসলাম, মো. মাজেদুর রহমান, মো. মুজাহিদুর রহমান, খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম, হোসাইন মোহাম্মদ তোহা, মো. শামীম বিল্লাহ, এ এস এম নাজমুস সাদাত, মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম, মুনতাসির আল (জেমি), মো. শামসুল আরেফিন, মো. মিজানুর রহমান, এস এম মাহমুদ, মোর্শেদ-উজ-জামান মণ্ডল, এহতেশামুল রাব্বি ও মুজতবা রাফিদ।

এ ২০ জনের মধ্যে বিচারিক আদালতের রায়ের সময় থেকেই তিন জন পলাতক। তারা হলেন- মোর্শেদ-উজ-জামান, এহতেশামুল রাব্বি ও মুজতবা রাফিদ। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আরেক আসামি মুনতাসির আল (জেমি) গত বছরের ৬ আগস্ট গাজীপুরের হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পালিয়ে যান। বিষয়টি গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল থাকা আসামিরা হলেন- মুহতাসিম ফুয়াদ হোসেন, মো. আকাশ হোসেন, মুয়াজ আবু হুরায়রা, অমিত সাহা ও ইশতিয়াক আহমেদ। এ মামলায় সব মিলিয়ে দণ্ডিত ২৫ আসামির মধ্যে চার জন পলাতক বলে রায় ঘোষণার দিন (গত ১৬ মার্চ) জানিয়েছিল রাষ্ট্রপক্ষ।

back to top